কপার প্লেটিং

Janne Torikka
যা যা লাগবে ছোট জার, ভিনেগার, লবণ, তামার ১০টি মলিন মুদ্রা, প্রলেপহীন লোহার পেরেক

কিছু কিছু দ্রবণে পদার্থ আয়নে পরিণত হয়। মানে কণার ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আধান (চার্জ) থাকে। ইলেকট্রোপ্লেটিং প্রক্রিয়ার সাহায্যে এক পদার্থের পৃষ্ঠে অন্য পদার্থের আবরণ দেওয়া হয়। লোহার পেরেকের রং ধূসর। কিন্তু তামার আবরণ পেলে তারা হয়ে যায় গোলাপি।

১. একটি জারকে ভিনেগার দিয়ে অর্ধপূর্ণ করে চামচ দিয়ে নাড়িয়ে নিতে হবে। এবার এতে ১০টি কপারের (তামা) মুদ্রা ফেলে দ্রবণটিকে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। কয়েন যত কালো হয়ে যাবে, ততই ভালো। কালো আবরণটি জন্য দায়ী কপার অক্সাইড, যা বায়ুর সঙ্গে কপারের বিক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়।

২. ভিনেগার থেকে মুদ্রাগুলো বের করে পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এবার এদের চকচকে দেখাবে। ভিনেগারে কিছু পেরেক রেখে আবার ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

কৌশল

কিছু কিছু ধাতব পেরেকে অন্য পদার্থের প্রলেপ থাকে। এমন পেরেক দিয়ে এই পরীক্ষা করা যাবে না। করতে হলে প্রলেপ দূর করে নিতে হবে।

এটা কীভাবে কাজ করে?

ভিনেগার ও লবণ মুদ্রা থেকে কপার অক্সাইডের আবরণ তুলে ফেলে। দ্রবণে কপার অক্সাইড ধনাত্মক কপার আয়ন ও ঋণাত্মক অক্সিজেন আয়ন হিসেবে অবস্থান করে। লোহার পেরেক মিশ্রিত করলে লোহা এর লোহার ধনাত্মক আয়ন তৈরি করে। ফলে, পেরেকে ঋণাত্মক আয়ন তৈরি হয়। তামার ধনাত্মক আয়ন পেরেকের দিকে আকৃষ্ট হয় এবং এর সঙ্গে লেগে যায়। ব্যস! তৈরি হয়ে যায় তামার প্রলেপ।

বেকিং সোডা ও লবণের দ্রবণে সিলভার সালফাইড ধনাত্মক সিলভার (রুপা) আয়ন ও ঋণাত্মক সালফার আয়ন তৈরি করে। অন্যদিকে, অ্যালুমিনিয়ামের পাত থেকে ধনাত্মক অ্যালুমিনিয়াম আয়ন সৃষ্টি হয়। ধনাত্মক অ্যালুমিনিয়াম আয়ন ঋণাত্মক সালফার আয়নকে আকৃষ্ট করে। তৈরি হয় অ্যালুমিনিয়াম সালফাইড, যার রং হলুদ। অন্যদিকে রুপা একাকী কিন্তু সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়ে পড়ে থাকে।