রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন: ডার্ক লেডি অব ডিএনএ

আজ ১৬ এপ্রিল রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিনের মৃত্যুদিবস। ডিএনএ গবেষণায় মেধাবী এই নারী বিজ্ঞানীর অবদান অনস্বীকার্য। সংক্ষেপে জানুন তাঁর অবদানের কথা।

রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন

ইংরেজ রসায়নবিদ

১৯২০-১৯৫৮

বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বিজ্ঞানীদের বেশ কয়েকটি দল ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) নামে একটি রহস্যময় অণুকে বোঝার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। প্রতিটি জীবের কোষে এ অণু থাকে। বিজ্ঞানীরা জানতেন, ডিএনএ জীবের বংশগতির তথ্য বহন করে। কিন্তু এটি কীভাবে কাজ করে, তা কেউ জানতেন না।

রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন ক্ষুদ্র অণুর ছবি তোলার ক্ষেত্রে ছিলেন বিশেষজ্ঞ। এসব ছবি দেখে তিনি বুঝতে পারতেন, অণুগুলো কী দিয়ে তৈরি। ১৯৫২ সালের মে মাসে তিনি নিজের সেরা ছবিটি তোলেন। ছবিতে দেখা যায়, ডিএনএ আসলে প্যাঁচানো মইয়ের মতো। বাংলায় এ আকৃতিকে বলা হয় দ্বিসূত্রক, অর্থাৎ দুটো প্যাঁচানো সুতাবিশিষ্ট। ডিএনএ সম্পর্কে এটি এমন এক সূত্র, অর্থাৎ রোজালিন্ড এমন এক তথ্য খুঁজে পেয়েছিলেন, যা ডিএনএ গবেষণার মূল বিষয়টিকে তুলে ধরে। পরবর্তী সময়ে অন্য বিজ্ঞানীরা এ সূত্র ব্যবহার করে ডিএনএর গঠন ও সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলো করেন। এ জন্যই রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিনের গবেষণা এত গুরুত্বপূর্ণ।

এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি

রোজালিন্ড ছবি তোলার জন্য সাধারণ ক্যামেরা ব্যবহার করতেন না। তিনি অণুর স্ফটিকের মধ্য দিয়ে এক্স-রে ছুড়ে দিতেন। এরপর এক্স-রে ছবিতে তৈরি হওয়া ছায়া ছায়া নকশাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন। ওসব নকশাতেই ফুটে উঠত অণুর ভেতরে পরমাণুগুলো কীভাবে সাজানো রয়েছে।

সূত্র: সায়েন্টিস্টস

*লেখাটি ২০২৩ সালে বিজ্ঞানচিন্তার জুলাই সংখ্যায় প্রকাশিত