হকিং কেন নোবেল পুরস্কার পেলেন না

আমাদের কালের নায়ক স্যার স্টিফেন উইলিয়াম হকিং। তাঁকে বলা হয় আইনস্টাইন পরবর্তী তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান বিজ্ঞনী। অথচ নোবেল পুরস্কার পাননি তিনি। কেন? আজ তাঁর মৃত্যু দিবস। এ দিনে মুনির হাসান বিশ্লেষণ করেছেন হকিংয়ের নোবেল পুরস্কার বঞ্চনার রহস্য...

বিগ ব্যাং থেকে বিশ্ব ও সময়ের সূচনা কিংবা কৃষ্ণগহবর থেকে বেরিয়ে আসা হকিং বিকিরণ—এর কোনোটাই শেষ পর্যন্ত হকিংয়ের নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ‘ব্যবহারিক ভাবে প্রমাণিত’ হয়নি!  

না, শেষ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার পাওয়া হয়নি স্টিফেন উইলিয়াম হকিংয়ের। যা কিছু সম্ভাবনা ছিল, সেটাও শেষ হয়ে যায় ২০১৮ সালের এই দিনে। মৃত্যুর পর কাউকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার নিয়ম নেই। অথচ আমাদের কালের নায়ক স্টিফেন হকিংকে বলা হয় আইনস্টাইন পরবর্তী তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান বিজ্ঞনী। বিগ ব্যাং থেকে বিশ্ব ও সময়ের সূচনা কিংবা কৃষ্ণগহবর থেকে বেরিয়ে আসা হকিং বিকিরণ—এর কোনোটাই শেষ পর্যন্ত হকিংয়ের নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ‘ব্যবহারিক ভাবে প্রমাণিত’ হয়নি!  

হুইল চেয়ারের এই বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কারের জন্য কি কেউ কখনো মনোনীত করেছেন? সঠিক উত্তর পাওয়া মুশকিল। নোবেল কমিটি পুরস্কার ঘোষণার ৫০ বছর পর সে বছরের মনোনয়নের নামগুলো প্রকাশ করে। সে হিসেবে গত বছর ১৯৭২ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে। সে সময় হকিংয়ের বয়স মাত্র ৩০। কাজেই আমরা এখনই জানতে পারছি না, হকিংয়ের নাম কেউ আসলেই প্রস্তাব করেছিলেন কি না।

১৯১৬ সালে আইনস্টান তাঁর আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব প্রকাশ করেন। ১৯২২ সালে ফ্রিডম্যান আপেক্ষিতার সমীকরণের সমাধান করেন। তাতে দেখা যায়, এই দুনিয়া (Universe) ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। নিউটনের স্থির দুনিয়া তত্ত্বের লোকজন  এতে আঁতকে ওঠেন। খোদ আইনস্টাইনও নাকচ করে দেন এই সমাধান। কিন্তু ১৯২৯ সালে এডউইন হাবল দুরবিন দিয়ে সত্যটা দেখে ফেলেন—দুনিয়া আসলেই সম্প্রসারিত হচ্ছে! গ্যালাক্সিগুলো পরস্পর পরস্পর থেকে দ্রুত সরে যাচ্ছে। অর্থাৎ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি আপনি পেছনে যান, তাহলে এক সময় দেখা যাবে এই দুনিয়ায় সবকিছু এক বিন্দুতে ছিল। কোনো এক সন্ত্রাসী ঘটনায় সব দিগ্বিদিক হয়ে ছুটে চলেছে। এ থেকে উদ্ভব বিগ ব্যাং তত্ত্বের, যা আজকের কসমোলজির প্রাণ।

হকিংয়ের নামেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে তাঁর সম্মানে, বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়

বিগ ব্যাং-এর সমস্যা অন্যত্র। দুনিয়ার সবকিছুকে এক জায়গায় জড়ো করলে যা হয়, তাতে বিজ্ঞান একটু অস্বস্তিতে পড়ে। কারণ এক বিন্দুর দুনিয়ার নাম ‘সিংগুলারিটি’, যাতে জানা সমীকরণগুলোর ভগ্নদশা। ষাটের দশকে রজার পেনরোজের সঙ্গে হকিং দেখালেন তাঁর প্রথম খেল। বললেন, যতই আপত্তি থাকুক, সিংগুলারিটি থেকেই দুনিয়ার শুরু। শুধু তা-ই নয়, বিগ ব্যাং থেকেই শুরু সময়ের। অর্থাৎ, বিগ ব্যাংয়ের আগে বলে কিছু নেই। ক্ষ্যাপা লোকজনের অনেকে হকিংয়ের কাছে জানতে চাইত, বিগ ব্যাংয়ের আগে ঈশ্বর কী করছিলেন?

মুচকি হেসে হকিং বলতেন, অবিশ্বাসীদের জন্য নরক বানাচ্ছিলেন!

সময়ের শুরুর ধারণা জেনে হকিং এগোলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে। এরই মধ্যে জানা হয়েছে, বস্তুজগতে এমন বস্তু সম্ভব, যার থেকে দুনিয়ায় সবচেয়ে দ্রুতযান আলোও বের হতে পারে না—ব্ল্যাকহোল। কিন্তু ব্ল্যাকহোল কি আসলেই ব্ল্যাক বা কালো? কিছুই কি সেখান থেকে বের হতে পারে না?

হুইল চেয়ারের বিজ্ঞানী ভাবেন। ভাবেন কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের অনিশ্চয়তার তত্ত্ব নিয়ে। পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুটো কোয়ান্টাম রাশির যুগপৎ নিশ্চয়তা নেই। শূন্যস্থানে এই তত্ত্বের প্রয়োগ এরই মধ্যে বলে ফেলেছে, শূন্যস্থান আসলে শূন্য নয়। সেখানে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে কণা ও প্রতিকণা, আবার তা লয়ও পাচ্ছে। হকিং এই ঘটনাকে প্রয়োগ করলেন ব্ল্যাকহোলের আশপাশে। আর আশ্চর্য হয়ে দেখলেন, ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর থেকেও বেরিয়ে আসছে অবিরল কণাস্রোত। ১৯৭৩ সালে হকিং প্রকাশ করলেন তাঁর ধারণা। অচিরেই তা গৃহীত হলো। বিজ্ঞানজগৎ ওই বিকিরণকে অভিহিত করল হকিংয়ের-ই নামে—হকিং রেডিয়েশন। ১৯৭৪ সালে হকিং রাজকীয় বিজ্ঞান সমিতির (রয়্যাল সোসাইটি) সভ্য হলেন।

কেমব্রিজে কাজ করার সময় তিনি ব্ল্যাকহোলের আর্তনাদের বিষয়টা খুঁজে পান। ব্ল্যাকহোল থেকে যদি প্রতিনিয়ত বিকিরণ বেরিয়ে আসে, তাহলে তো এক সময় সেটি লয় পাবে। বিগ ব্যাংয়ের সময় যদি কোনো ছোট আকারের ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয়ে থাকে, তাহলে সেটি এখন এসে ‘মৃত্যৃবরণ’ করতে পারে। 

আলবার্ট আইনস্টাইন পদক পেয়েছেন স্টিফেন হকিং

হকিংকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার নানা চেষ্টা থাকলেও ২০১০-১২ সালের আগে নোবেল পুরস্কার পাওয়া সম্পর্কে হকিংয়ের চিন্তাভাবনা সেভাবে প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু এরপর থেকে নোবেল পুরস্কার নিয়ে হকিংয়ের আগ্রহের কথা অনেক শোনা যায়। এক বড় মিলনায়তনে বক্তৃতা করছেন হুইলচেয়ারের বিজ্ঞানী। স্লাইডের পর স্লাইড আসছে, কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। হঠাৎ সবাই নড়েচড়ে বসলেন। কারণ, পর্দায় বড় করে একটা নোবেল পুরস্কারের ছবি! শোনা গেল হকিংয়ের ধাতব কণ্ঠস্বর—যদি কম ভরের কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কৃত হয়, তাহলেই আমি নোবেল পুরস্কার পেয়ে যাব।

আলফ্রেড নোবেল যখন তাঁর পুরস্কারের উইল করেন, তখন সেখানে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেন। বড় অংশ জুড়ে ছিল ‘ব্যবহারিকভাবে প্রমাণিত’—এই বাক্যটি। আর এ কারণে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানীদের এই পুরস্কারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘদিন। আইনস্টাইনও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। নোবেল কমিটি আইনস্টাইনকে পুরস্কার দিয়েছে ১৯২২ সালে। ১৯১৯ সালের সূর্যগ্রহণের সময় আর্থার এডিংটনের পর্যবেক্ষণের পর। তার ওপর তারা শেষ পর্যন্ত পুরস্কারের বর্ণনায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আলোর তড়িৎ ক্রিয়ার ব্যাপারটাও জুড়ে দেয়। বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক মন্তব্যে হকিং ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে বলেছিলেন, তিনি এমনভাবে কাজ করছেন, যাতে কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে তাঁর কাজটা সত্য বলে প্রমাণিত হতে পারে। একই বছর আগস্টে নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধের ফলাফল সত্য হলে হকিংয়ের এই অপেক্ষার পালার অবসান হতে পারত।

নোবেল পুরস্কার ছাড়া আর সব পুরস্কার ও স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর একটি আবক্ষ মূর্তি আছে, তাঁর নামে একটা ভবনও আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনেও তাঁর একটি মূর্তি আছে। এল সালভাদরের রাজধানী সান সালভাদরের বিজ্ঞান জাদুঘরটির নাম ‘স্টিফেন হকিং বিজ্ঞান জাদুঘর’। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রানি তাঁকে ‘অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ এবং ‘অর্ডার অব দ্য কম্প্যানিয়ন’ সম্মানে ভূষিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছেন ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ পদক। পেয়েছেন বেশ কটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার, যার মধ্যে রয়েছে তত্ত্বীয় পদার্থবিদদের সর্বোচ্চ সম্মান—আলবার্ট আইনস্টাইন পদক। ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে, তাঁর পুরোনো অক্সফোর্ডসহ। আর ১৯৭৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হকিংকে বানায় গণিতের লুকাসিয়ান প্রফেসর, একসময় যে পদ অলংকৃত করেছিলেন স্যার আইজ্যাক নিউটন। ২০০৯ সালে আবার এই পদে যোগ দেন। এর আগে ১৯৭৪ সালেই রাজকীয় বিজ্ঞান সমিতির ফেলো হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পেয়েছেন বিবিভিএ ফাউন্ডেশন ফ্রন্টিয়ার অব নলেজ অ্যাওয়ার্ড।

সত্যি কথা বলতে, কেবল নোবেল পাওয়াটাই বাকি ছিল তাঁর।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হকিংয়ের গলায় ঝুলিয়ে দিচ্ছেন ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ পদক
হকিংকে নোবেল পুরস্কার দিতে না পারার একটা কারণ হলো, বাস্তবে একটা ব্ল্যাকহোল থেকে হকিং বিকিরণ বের হয়ে আসছে কি না, সেটা মাপার মতো কারিগরি দক্ষতা এখনো মানুষের আয়ত্ত হয়নি।

হকিংকে নোবেল পুরস্কার দিতে না পারার একটা কারণ হলো, বাস্তবে একটা ব্ল্যাকহোল থেকে হকিং বিকিরণ বের হয়ে আসছে কি না, সেটা মাপার মতো কারিগরি দক্ষতা এখনো মানুষের আয়ত্ত হয়নি। তাহলে বাকি থাকে ল্যাবরেটরিতে একটা ব্ল্যাকহোল বানানো! সেটার একটা সম্ভাবনা ছিল ইউরোপের সার্নে অবস্থিত লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার। সেখানে কণাদের মারামারি-ধাক্কাধাক্কিতে খুবই ছোট ব্ল্যাকহোল সৃষ্টি হতেও পারে। যদিও এখনো তার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল কিছুদিন আগে। ১৯৮০ সালে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী বিল আনরু হকিং বিকিরণ পরীক্ষা করার একটি ভিন্ন পদ্ধতি প্রস্তাব করেন। তিনি এমন একটি মাধ্যমের কথা ভাবলেন, যা কিনা ত্বরিত গতিতে চলমান। জলপ্রপাতের বেলায় এটি দেখা যায়। জলপ্রপাতের একটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছালে কোনো সাঁতারুই এমন গতিতে সাঁতার কাটতে পারে না, যা জলপ্রপাতের আকর্ষণকে নাকচ করতে পারে। ফলে সে যেমন সাঁতারু হোক না কেন, তাকে জলপ্রপাতে আত্মসমর্পণ করতেই হয়। আনরুর বক্তব্য ছিল, এটিই একটি ঘটনা দিগন্ত। কাজেই শব্দের জন্য যদি কোনো ‘ব্ল্যাকহোল’ বানানো যায়, তাহলে সেখানে হকিং বিকিরণও দেখা যাবে।

২০১৬ সালে বিজ্ঞানী স্টেইনহওয়ার ঠিক এই কাজটা করেন। তিনি রুবিডিয়াম পরমাণুর একটি মেঘমালার তাপমাত্রাকে নিয়ে গেলেন পরম শূন্যের (-২৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সামান্য ওপরে। ফলে রুবিডিয়াম পরমাণুর মেঘমালাটি চলে যাচ্ছে বোস-আইনস্টাইন ঘনায়ন (BEC-Bose-Einstein Condensate) নামের এক কোয়ান্টাম স্তরে। সেগুলোকে দিয়ে বানানো হলো সিগারের মতো লম্বা একটি আকৃতি, যা কিনা মাত্র কয়েক মিলিমিটার লম্বা। এতে শব্দের গতিবেগ দাঁড়াল সেকেন্ডে আধা মিলিমিটারের মতো। তারপর তিনি ওই পরমাণুগুলোকে ত্বরণ দিয়ে এমন অবস্থায় আনলেন, যার ফলে কোনো কোনো কণার গতিবেগ হয়ে গেল সেকেন্ডে এক মিলিমিটারের বেশি। ফলে তৈরি হয়ে গেল শব্দের জন্য একটি ঘটনা দিগন্ত! আর ওই স্বল্প তাপমাত্রায় বিইসি খুবই দুর্বল কোয়ান্টাম চাঞ্চল্যের ভেতর দিয়ে যায়। এর ফলে সেখানে তৈরি হয় শব্দের জোড়া কণা, ফোনোন। ব্ল্যাকহোলে যেমনটি হয় ফোটন কণা। আর এই ফোনোন কণার একটা হারিয়ে যাচ্ছে বিইসির এক পাশে, আর অন্য পাশে আবির্ভূত হচ্ছে অপরটি। স্টেইনহওয়ারের মতে এর একটাই অর্থ, বিইসি থেকে বেরিয়ে আসছে হকিং বিকিরণ!

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ স্টিফেন হকিংয়ের সঙ্গে কথা বলছেন

বিজ্ঞানীরা স্টেইনহওয়ারের এই ব্যাপারটিতে নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে সবাই এটি মেনেছেন যে স্টেইনহওয়ারের পরীক্ষা সফল হওয়ার মানেই হচ্ছে হকিং বিকিরণ প্রমাণিত হওয়া। আর তাই অনেকেই এই পরীক্ষণটি নিজেরা করবেন বলে ঠিক করেছেন, অনেকে শুরুও করেছেন। কিন্তু সেটি এখনও প্রমাণিত হয়নি।

২০২০ সালে নোবেল কমিটি ব্ল্যাকহোলের বিষয়টি বিবেচনা করে। ১৯৬০ সালে রজার পেনরোজ দেখিয়েছিলেন, সাধারণ তত্ত্বের আঙ্গিনায় সত্যি সত্যি ব্ল্যাকহোল সৃষ্টির কথা আছে। তার সেই কাজের জন্য পেনরোজ পেলেন নোবেল পুরস্কারের অর্ধেক টাকা (আসলে ডলার)। আর  আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্রে একটা সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল আছে, সেটা প্রমাণ করে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন রেইনহার্ড গেনজেল ও আন্দ্রিয়া গেজ।

বেঁচে থাকলে পেনরোজের সঙ্গে হকিংয়ের নামও কি যুক্ত হতো? আমি জানি না। কিন্তু ততদিনে নোবেল পুরস্কারের প্রথম শর্ত ‘জীবিত’ থাকার শর্ত ভঙ্গ করে ফেলেছেন আমাদের কালের নায়ক স্যার স্টিফেন উইলিয়াম হকিং।

লেখক: সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড এবং প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক