জলবায়ু বিপন্ন বিশ্বে আশার আলো ফুটছে
এই শতাব্দী মানবজাতির ইতিহাসে নানা কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ সময় থেকে বিজ্ঞানীরা যে আশঙ্কার কথা বলে আসছিলেন, তা বিংশ শতাব্দীর শুরুতে এসে সত্য প্রমাণিত হতে থাকল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে প্রকৃতি নানা উল্টাপাল্টা আচরণ করে। এ কারণে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে বিশ্বের ফুসফুস হিসেবে চিহ্নিত আমাজানের বিশাল বন, কোনো কিছুই রেহাই পাচ্ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় ক্যাটরিনা থেকে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় সিডর, সবই মানবজাতির সামনে একে একে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব হিসেবে হাজির হতে থাকল।
এই পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আর সামনে আরও মারাত্মক ভবিষ্যতের আশঙ্কায় ২০০৯ সালে বিশ্ববাসীর কাছে বহু আশা নিয়ে হাজির হয়েছিল ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-১৫। যুক্তরাষ্ট্রে তখন সবে ক্ষমতায় এসেছেন বারাক ওবামা। তিনিসহ বিশ্বের তাবৎ রাষ্ট্রপ্রধান মিলেও কোনো চুক্তিতে আসতে পারলেন না। বিশ্ববাসীকে হতাশায় ডুবিয়ে এরপর অনেকগুলো সম্মেলন হলো। সবই ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১৫ সালে শেষ পর্যন্ত আশার আলো দেখাল ফ্রান্সের প্যারিসের জলবায়ু সম্মেলন। কপ-২১ নামের ওই সম্মেলনে বিশ্ববাসী আবারও একত্র হয়ে একটি চুক্তিতে এল। এর নাম হলো প্যারিস চুক্তি। কিন্তু সেই চুক্তিও অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র তাতে অংশ নিল না। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বেশি দায়ী দেশটি যদি ওই চুক্তিতে না থাকে, তাহলে তা বাস্তবায়ন করেই–বা লাভ কী? এই প্রশ্ন বিশ্বের জলবায়ুবিজ্ঞানী ও জলবায়ু বিপন্ন দেশগুলোর মধ্যে রয়েই গেল।
কারণ, বিশ্বের তাপমাত্রা যাতে এই শতাব্দীর মধ্যে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ে, সেই জন্যই তো এই চুক্তি। আর এ পর্যন্ত বিশ্বের তাপমাত্রা যতটুকু বেড়েছে, তাতেই দরিদ্র দেশগুলোর বেসামাল অবস্থা। বাংলাদেশও ওই তালিকায় কয়েক বছর ধরেই শীর্ষ স্থানে আছে। অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো হচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর মানুষের জীবন ও সম্পদ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে। এসব দুর্যোগের জন্য এই দেশগুলো দায়ী না থাকলেও তার ফলাফল তাদের ভোগ করতে হচ্ছে।
জলবায়ুর আপদ, করোনার বিপদ
একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে একের পর এক বিপর্যয় আর অন্যদিকে বিশ্বের তাপমাত্রা কমানোর কোনো আশাবাদ তৈরি না হওয়া নিয়ে হতাশা বাড়ছিল। ঠিক এমন সময়ে ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীন থেকে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ল। করোনার কারণে মানুষের মৃত্যু আর দুর্ভোগ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববাসী জলবায়ু পরিবর্তনের কথা প্রায় ভুলতে বসেছিল। ২০১৫ সালে যে প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে বিশ্ববাসী একটি অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়েছিল, তা–ও করোনার দাপটে হারিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের জুন-জুলাইয়ের দিকে বিশ্বের বেশির ভাগ শিল্পোন্নত রাষ্ট্র তার জনগণকে করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে কঠোর লকডাউনে চলে গেল। বিশ্বের বড় বড় শহর আর শিল্পাঞ্চল যেন জনমানবহীন এক জনপদে পরিণত হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা ভূ-উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্য ও গবেষণার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখালেন, প্যারিস চুক্তির শর্ত যা করতে পারেনি। জলবায়ু বিপন্ন দেশগুলোর আর্তি আর হাহাকার যে কার্বন নিঃসরণের গতিতে লাগাম টানতে পারেনি। এক করোনা মহামারি তা করে দেখিয়ে দিয়েছে। লকডাউনের কারণে মানুষের চলাচল আর ভোগ কমে যাওয়ায় তেল, কয়লা ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর পরিমাণ গেল কমে। বিশ্বনেতারাও বুঝতে পারলেন, এক করোনার কারণেই বিশ্বের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে এই শতাব্দীর মধ্যে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা দু–তিন ডিগ্রি বেড়ে যায়, তাহলে কী হবে।
উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে বছরে কমপক্ষে একটি করে ঘূর্ণিঝড় আর বন্যা এবং ভারতে দুই থেকে তিনটি করে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের কথা। বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্র ইউরোপে তুষারপাত ও দাবদাহ বেড়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা উঠে আসে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে। বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীনও একের পর এক বন্যা ও ঝড়ের কবলে পড়তে থাকে।
বাইডেনের ফিরে আসার ঘোষণায় আশার আলো
২০২১–এর শুরুতে প্যারিস চুক্তির বিরোধিতাকারী ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা হারান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জো বাইডেন। দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম সপ্তাহে তিনি প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরের ঘোষণা দেন। এপ্রিলে তিনি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক একটি বৈশ্বিক লিডার্স সামিট ডাকেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রপ্রধানেরা এতে যোগ দিয়ে নতুন আশার বাণী শোনান। আগামী নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে যে পরবর্তী বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন হবে, তাতে নতুন অনেক আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, কী সেই আশার আলো? যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে ফেরার ফলে বিশ্ববাসীর কী লাভ। এসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এরই মধ্যে বাস্তব জগতে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। কারণ, বিশ্বের যেকোনো দেশের উন্নয়নের ধরন কী হবে, তা নির্ভর করে সেই দেশের উন্নয়নের রাষ্ট্রীয় নীতির ওপরে। যেমন গত শতাব্দীতে বিশ্বের বেশির ভাগ শিল্পোন্নত দেশ মনে করত কয়লা ও তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। কারণ, এতে সবচেয়ে সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। যানবাহন চালানোর প্রধান জ্বালানি এত দিন ছিল খনি থেকে উত্তোলন করা তেল। পেট্রল, ডিজেল, অকটেন ও কেরোসিনের মতো জ্বালানি ছাড়া শিল্পকারখানা বা গাড়ির চাকা ঘুরবে, এটা কল্পনাও করা যেত না। কিন্তু গত এক যুগে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা জ্বালানির অনেক নতুন উৎসের সন্ধান দিচ্ছেন। এর আগের জ্বালানিগুলো ছিল মূলত খনিজ বা জীবাশ্ম থেকে পাওয়া। অর্থাৎ এগুলো একসময় শেষ হয়ে যাবে।
পথ দেখাচ্ছে প্রযুক্তি
কিন্তু মানবজাতিকে তো এরপরও টিকে থাকতে হবে। সভ্যতার চাকাকেও ঘোরাতে হবে। তাহলে কোন সে শক্তি এই বিশাল সভ্যতাকে টিকে থাকার শক্তি জোগাবে। বিজ্ঞানীরা এর সমাধানও এরই মধ্যে আবিষ্কার করে ফেলেছেন। সূর্যের আলো আর বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে এত দিন শৌখিন আর উন্নত দেশগুলোর পরীক্ষা–নিরীক্ষার বিষয় হিসেবে মনে করা হতো। কিন্তু এখন খোদ বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লাখ ঘরে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে, যা এশিয়া তো বটেই, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
বিশ্বজুড়ে সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের অনেক সস্তা ও সহজ প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হচ্ছে। ইউরোপ তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন, এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতও আস্তে আস্তে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসছে। সৌরবিদ্যুতের দিকে তারা ঝুঁকছে। চীন, ভারত, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি বা যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কে কত বড় সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে। এর বাইরে জ্বালানির আরও অনেক উৎস একে একে বেরিয়ে আসছে। যেমন সুইডেন ও ডেনমার্ক তাদের জ্বালানি শক্তির এক–তৃতীয়াংশ তৈরি করে ফেলে দেওয়া বর্জ্য থেকে। বাংলাদেশেও ঘরবাড়ি ও শিল্পকারখানার ফেলে দেওয়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের আবহাওয়া ও ঋতুচক্রের বদল হচ্ছে। গরমের সময় ভীষণ গরম আর শীতের সময়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো না হয় এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু সব দেশের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না। আবার মানুষ না হয় তা করল, কিন্তু ফসল, গাছ বা বন্য প্রাণীর কী হবে। বিশেষ করে মানুষের প্রধান খাদ্য গম, চাল, তেল, চিনি ও সবজির উৎপাদনের যে চক্র বা নিয়ম এত দিন ধরে ছিল। জলবায়ুর এই বদলে যাওয়ার সঙ্গে তো আর তারা নিজেরা খাপ খাওয়াতে পারছে না।
বিজ্ঞানীরা এরও অনেক সমাধানের পথ বের করেছেন। যেমন সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর উপকূলীয় এলাকার নদীগুলোর পানি ও মাটি লবণাক্ত হয়ে উঠছে। সেখানে আগে যেসব ফসল ফলত, তা লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ার কারণে আর টিকতে পারছে না। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে লবণাক্ত, বন্যা ও প্রচণ্ড গরম সহ্য করতে পারে, এমন ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। সবজিতেও এ খাতে সাফল্য আসছে। উপকূলীয় এলাকার জন্য সূর্যমুখী ও ভুট্টার জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। সেগুলোর চাষ দ্রুত বাড়ছে। বাংলাদেশের লবণাক্তসহিষ্ণু ধানের জাত বিশ্বের আটটি দেশ নিয়ে গিয়ে তাদের দেশে চাষ করছে।
শুধু ফসলের জাত দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা যাবে, তা অবশ্য বলা যাবে না। কারণ, দেশের বিপুলসংখ্যক মৎস্যজীবীর জীবিকা নদী ও সমুদ্রের আচরণের ওপর নির্ভর করছে। সাগরে যদি ঝড় আসে, নদীতে যদি ঢেউ আর বাতাস বাড়ে, তাহলে নৌপথে চলাচল ও মাছ ধরা তো কঠিন হয়ে যাবে। বিজ্ঞানীরা সৌরশক্তি দিয়ে চলে এমন নৌযান, পানির পাম্প থেকে শুরু করে শিল্পকারখানা চালানোর প্রযুক্তিও বের করেছেন। উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য বন্যার পানিতে ডুববে না, এমন বাড়ি তৈরি করেছেন। বাংলাদেশের প্রকৌশলী ও গবেষক ড. নন্দন মুখার্জির উদ্ভাবন করা ‘স্বপ্নের বাড়ি’ ২০১৯ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব ঝুঁকি পুরস্কার পেয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে এখন চলছে ঝড়ে উড়ে যাবে না বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এমন বাড়ির নকশা তৈরির কাজ।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় রাজনীতিবিদেরা যে সদিচ্ছার বার্তা দিচ্ছেন, তার ঢেউ খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেগেছে। যে যুক্তরাষ্ট্র সৌর, বায়ু ও অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক গবেষণা থেকে সরে এসেছিল, তারা আবার নতুন উদ্যমে নেমেছে। বিশ্ব তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো এ ধরনের গবেষণায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। সবাই আশা করছে, আসন্ন গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু বিপন্ন দেশগুলোর জন্য তৈরি করা বিশ্ব সবুজ জলবায়ু তহবিলে অর্থ বাড়বে।
গত শতাব্দীর প্রায় পুরো সময়ে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ আর দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছে। দুটি মহাযুদ্ধ মানবজাতির অনেক ক্ষতি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কয়েক দশক ধরে লেগে থাকা স্নায়ুযুদ্ধের ফলে বিজ্ঞানীদের বড় অংশ মানুষ মারার অস্ত্র আর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন আর করোনা মহামারি বিশ্ববাসীকে অন্তত একটি শিক্ষা দিতে পেরেছে। তা হচ্ছে আমাদের পৃথিবীর সীমিত শক্তিকে মানুষ বাঁচানোর কাজে লাগাতে হবে। কীভাবে আমরা সবাই মিলে জলবায়ু পরিবর্তন ও মহামারির মতো বড় সংকট কাটাব, তা নিয়ে এখন মনোযোগ বাড়ছে। মানুষ মারার কাজ বাদ দিয়ে বাঁচানোর এই প্রতিযোগিতায় যে–ই জিতুক, তাতে মানুষেরই জয় হবে। এটা অন্তত বলা যায়। বিশ্ব নিশ্চয়ই সেই সুদিনের অপেক্ষায় আছে।
লেখক: পরিবেশবিষয়ক সাংবাদিক