নিজের প্রিয় কাজকে পেশা হিসেবে নিলে সুখী হওয়া যায়

ছোটবেলায় গোয়েন্দা হতে চেয়েছিলেন রিচার্ড জন রবার্টস। ১৯৪৩ সালে ইংল্যান্ডের ডার্বিতে জন্ম তাঁর। রবার্টসের শিক্ষাজীবন কাটে সামারসেটের বাথে। গোয়েন্দা হয়ে রহস্যের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানী হয়ে ওঠেন তিনি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল শেষে গবেষক হিসেবে কাজ শুরু করেন কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে। ১৯৬৭ সালে ফিলিপ অ্যালেনের সঙ্গে তিনি ইউক্যারিওটিক ডিএনএতে ইন্ট্রন আবিষ্কার ও জিন স্পলাইসিংয়ের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেন। এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৯৩ সালে তাঁরা চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পান। গত ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশে আসেন এই বিজ্ঞানী। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স বিভাগ ‘জিএমও ফসল: দক্ষিণ এশিয়ায় নীতি ও অনুশীলন’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই সেমিনারে যোগ দিতেই ঢাকায় এসেছিলেন রিচার্ড জন রবার্টস। শত ব্যস্ততার মধ্যেই সেমিনারের ফাঁকে তিনি বিজ্ঞানচিন্তাকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। জিএমওর (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অর্গানিজম) ভবিষ্যৎ, বাংলাদেশের এর সাফল্য আর আগামী দিনের বিজ্ঞানচর্চা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শিক্ষক ও গবেষক গওহর নাইম ওয়ারা ও বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার।

প্রশ্ন :

বিজ্ঞানচিন্তা: আমাদের দেশের মেধাবী তরুণ–তরুণীরা মৌলিক বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখন প্রায়োগিক বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। এই সমস্যা শুধু আমাদের দেশের নয়, সারা বিশ্বেই কম বেশি আছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী?

রিচার্ড জন: এর সমাধান শুরু হতে পারে শিশুকাল থেকে। শিশুরা অনেক বেশি আগ্রহী থাকে। তাদের সামনে তখন বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারলে, এগুলো নিয়ে তারা আগ্রহী হয়ে উঠবে। স্কুলশিক্ষার্থীদের যেন জটিল পদ্ধতিতে বিজ্ঞানের শিক্ষা না দেওয়া হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিজ্ঞান বিষয়টা যদি শুরুতেই কঠিনভাবে শিশুদের কাছে তুলে ধরা হয়, তাহলে তারা বিজ্ঞানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। সারা বিশ্বেই মানুষ ভুলভাবে অর্থের পেছনে ছুটছে। টেলিভিশন, খবরের কাগজ, মিডিয়ায় যেভাবে দেখানো হয়, অর্থ না থাকলে সমাজে কারও মূল্য নেই, সেটাই আগামী প্রজন্মকে দিকভ্রষ্ট করছে। ভালো থাকার জন্য, সম্মান পাওয়ার জন্য কিংবা একটা সুন্দর জীবনের জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন নেই। সুখী থাকতে নিজের ভালো লাগার কাজটা করতে পারা জরুরি। যদি কোনো কাজ করে নিজের ভালো না লাগে, তাহলে অবশ্যই নিজের প্রিয় কাজে ফিরে যাওয়া উচিত। নিজের প্রিয় কাজকে পেশা হিসেবে নিলে সুখী হওয়া যায়।

প্রশ্ন :

বিজ্ঞানচিন্তা: জিএমওভিত্তিক গবেষণায় কীভাবে তরুণ প্রজন্মকে আগ্রহী করে তোলা যায়?

রিচার্ড জন: জিএমও-এর মত নতুন নতুন প্রযুক্তি দিয়ে মানুষের জীবনে কী অভুতপূর্ব পরিবর্তন, উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব, এই কথাটা তরুণদের সামনে তুলে ধরতে হবে। তরুণেরা যুক্তির ভিত্তিতে চিন্তা করেন। তাঁরা বিজ্ঞানকে যুক্তির ভিত্তিতে বিবেচনা করতে পারেন। কিছুদিন আগে আমি এরকম একটা সেমিনারে অংশ নিই। সেই সেমিনারের দর্শক–শ্রোতারা ছিল এগারো–বারো বছর বয়সের শিক্ষার্থী। তারা প্রত্যেকে কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পেরেছিল। তাদের একজন আমাকে ই–মেইলে জানায়, সে বাড়ি ফিরে বাবা–মাকেও এ বিষয়টা বোঝাতে পেরেছে। আসলে যুক্তি ও বুদ্ধি দিয়ে বোঝানো গেলে যেকোনো শিক্ষার্থীই বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

প্রশ্ন :

বিজ্ঞানচিন্তা: জিএমও নিয়ে সহজভাবে যদি আমাদের পাঠকদের বুঝিয়ে বলতেন।

রিচার্ড জন: আমরা সবাই জিপিএস ব্যবহার করি। আমাদের অনেকের গাড়িতেই এটা থাকে। জিপিএসের প্রাণ হচ্ছে এর মধ্যে থাকা চিপস। শুধু চিপও কিন্তু কোনো কাজের নয়। আমাদের জিন হচ্ছে জিপিএস সিস্টেমের মতো। এটা বের করে নিয়ে সেটা কোথায় আমি বসাব, তার ওপর নির্ভর করবে এটা থেকে কেমন ফল পাব। এখানে মজার বিষয় হলো, নতুন প্রজাতির গাছের চারা তৈরির সময়ও আমরা একই পদ্ধতি অনুসরণ করতাম। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সবকিছু মিশিয়ে বেমালুম একটা অগোছালো জিনিস তৈরি হতো। ফলে কোথায় গিয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী জিনটির অবদান শেষ হবে, সেটা ঠিক করে বলা মুশকিল হয়ে পড়ছিল। তবে জিএমও ব্যবহার করেও সবকিছু ঠিকঠাকমতো করা যায় তা কিন্তু নয়। অনেক ধরনের জিন আলাদাভাবে যুক্ত হয় জিএমওতে। তাই যা চিন্তা বা কল্পনা করছি, সেটা কিন্তু না–ও ঘটতে পারে। সেখানে বরং বিজ্ঞানের জটিল সমীকরণভিত্তিক সমাধান কাজে আসে। এ কারণে জিএমও নিয়ে গবেষণা করেত গিয়ে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা, বিজ্ঞানের কোনো গবেষণাতেই শেষ কথা বলে কিছু নেই। বরং প্রতিনিয়ত নতুর নতুন বিষয় উন্মোচিত হয়। গত ৩০ বছর জিএমও যেসব জাত উদ্ভাবন করেছি, তাতে কয়েক মিলিয়ন একর জমিতে চাষাবাদ করা যাবে। ফলে খাদ্য উৎপাদন এখন অনেক বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

১৯৭৬ সালে আমরা গবেষণাগারে কাজ করছিলাম। আমরা বোঝার চেষ্টা করছিলাম, উচ্চ জাতের প্রাণগুলো ডিএনএ থেকে যে সিগন্যাল আসে, তা ব্যাকটেরিয়াদের আরএনএর মতো কি না। আমরা একে একে দুই ধরনের ডিএনএ–আরএনএ থেকে সিগন্যাল বিশ্লেষণ করা শুরু করি। চমৎকার কিছু বিষয় উঠে আসে আমাদের সামনে। উচ্চ শ্রেণির প্রাণীগুলোর ডিএনএ থেকে জিন নিয়ে আমরা ব্যাকটেরিয়াদের আরএনএর সঙ্গে মেলাতে চেষ্টা করি। প্রায় এক বছর গবেষণার পর আমরা সফল হই। এটা অনেকটা চলচ্চিত্র নির্মাণের মতো। আপনি নানা জায়গায় নানা রকম শট নেবেন। এরপর এডিটিং রুমে সেটা জোড়া দিয়ে অসাধারণ কিছু বানানো যায়। জিএমওর ব্যাপারটা অনেকটা সে রকম।

প্রশ্ন :

বিজ্ঞানচিন্তা: সেমিনারে আপনি বলছিলেন, ইউরোপিয়ানরা জিএমও–ভিত্তিক এই গবেষণা পছন্দ করে না। এখানে বাণিজ্যিক কিছু বিষয়ও আছে কি।

রিচার্ড জন: হ্যাঁ, সেটাও কিছুটা আছে বৈকি। আসলে জিএমওর মাধ্যমে দুটি আলাদা জাতের ফসলের মিশ্রণে হাইব্রিড ফসল উৎপাদন করা যায়। এর খরচ তুলনামূলক কম হলেও মান কিন্তু কমে না। এভাবে বেশি উৎপাদন, বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। এটা ইউরোপের সনাতন বাজারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হতে পারে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে কিন্তু এই পরিবর্তন বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে পারে। স্থানীয় বিজ্ঞানীরা মাঠপর্যায়েই গবেষণার মাধ্যমে জিএমওর ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারেন।

প্রশ্ন :

বিজ্ঞানচিন্তা: আপনি জানেন কোন রকম জিন প্রযুক্তি ছাড়াই বাংলাদেশের কৃষক খাদ্য উত্পাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। তারা শূন্য থেকে পূর্ণ পর্যায়ে চলে এসছে। এই প্রেক্ষিতে জিএমও প্রযুক্তি কতটা পরিবর্তন আনতে পারে?

রিচার্ড জন: বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে আমি যতটা জানি, ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর এই দেশের খাদ্যের ঘাটতি ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে গোটা দেশে উৎপাদনের হার বেড়েছে। এখন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু কিছু শস্যের ক্ষেত্রে এখনো আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। জিএমও ছাড়াই বাংলাদেশ আশ্চর্যজনকভাবে খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে পেরেছে। এখানে জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে তা এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারবে। দেশের খাদ্য উৎপাদনের এই মাত্রা দ্রুত বাড়ানো সম্ভব হবে। বর্তমানে অনেক উন্নত দেশই এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। কেননা প্রায় প্রতিটি দেশেই মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের খাবারের জোগান দিতে হয় সরকারকে। আফ্রিকায় কয়েক লাখ মানুষ আছে, যাদের খাবারের জোগান নেই। একটা বিশাল জনগোষ্ঠীকে ইউরোপের দিকে ছুটতে চাইছে খাবারের সন্ধানে। তাই ইউরোপ এখন অভিবাসন সমস্যার আশঙ্কায় ভীত। এত সব সমস্যার সেরা সমাধান হলো জিএমও প্রযুক্তি।

বাংলাদেশে খাদ্যের জোগান আশানুরূপ হলেও আমি হলফ করে বলতে পারি, এখানে কিছু মানুষ এখনো পুষ্টির অভাবজনিত সমস্যায় ভুগছে। এখানে জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্ধারিত কিছু খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনবে।

প্রশ্ন :

বিজ্ঞানচিন্তা: ১৯৯৩ সালে জিএমও গবেষণার জন্য আপনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। একজন বিজ্ঞানী থেকে একজন জিএমও প্রচারকারী হিসেবে আপনার কাজ করতে হয়েছে। এই বিশাল যাত্রাপথে আপনার অভিজ্ঞতা কী?

রিচার্ড জন: নোবেল পুরস্কারের আগে মানুষ আমাকে এখনকার মতো গুরুত্ব দিতো না। আমারও মনে হতো, মানুষ এ বিষয়ে আগ্রহী নয়। কিন্তু ১৯৯৩ সালের পর পরিবর্তন আসে। মানুষ আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে শুরু করে। আমিও সাধ্যমতো বোঝাতে চেষ্টা করি। জিএমও নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই কৌতূহল আমার ভালো লাগতে শুরু করে। যদিও মাঝেমধ্যে তারা আমার কথা বুঝতে পারত না। তবু তারা যখন মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনত, তখন আমি সেটা উপভোগ করতাম।

প্রশ্ন :

বিজ্ঞানচিন্তা: বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত, যা আসে ধান থেকে। ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে জিএমওর ব্যবহার এখনো উল্লেখযোগ্য নয় বাংলাদেশে। এর মূল কারণ কী?

রিচার্ড জন: এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। জিএমও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউরোপের গবেষণায় বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অনেকে এই নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানোর চেষ্টা করে। জিএমও সম্পর্কের মনগড়া তথ্য দিয়ে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এদের এশিয়ার অনেক দেশই জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছে না। বেশির ভাগ সাধারণ মানুষই বিজ্ঞানীর থেকে স্থানীয় নেতাদের কথা বেশি বিশ্বাস করে। ফলে যারা প্রকৃত জিএমও নিয়ে কাজ করে তারা নিজেরাও এ বিষয়ে মুখ খুলতে পারছে না।

প্রশ্ন :

বিজ্ঞানচিন্তা: আজকের সেমিনারে আপনি বলেছেন, রাজনীতিবিদদের বিজ্ঞানীদের কথা শোনা উচিত। এটা কীভাবে সম্ভব?

রিচার্ড জন: হ্যাঁ, সেটা তো অবশ্যই। দেশের যেকোনো সমস্যার সেরা বিজ্ঞানসম্মত সমাধান তো একজন বিজ্ঞানীর কাছ থেকেই আশা করা যায়। আপনার ভোট ঠিক করে কে ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনা করবে। সে ক্ষেত্রে আপনাদের এমন কোনো নেতা নির্বাচন করতে হবে, যিনি দেশের সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞানীরদের কথা শোনেন, বিজ্ঞানীদের পরামর্শ গ্রহণ করেন। চীনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। তাদের ওখানে জিএমওর প্রচলন থাকলেও এর বিরোধী লোকের সংখ্যা প্রচুর। তবু চীন সরকার বিজ্ঞানীদের হাতে হাত মিলিয়ে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ঊর্ধ্বতন অনেকেই কিন্তু বিজ্ঞানী।

প্রশ্ন :

বিজ্ঞানচিন্তা: বিজ্ঞানের কোন বিষয়টি আপনি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন?

রিচার্ড জন: অনেক দিন আগে আমি একটা বই পড়েছিলাম। বইটার নাম ছিল হাউ আই বিকাম ডিটেকটিভ। বইটা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ছেলেবেলায় আমি গোয়েন্দা হতে চাইতাম। গোয়েন্দা হয়ে ওঠা হয়তো আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। কিন্তু কোন একটা বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারাটাই আমার জন্য নতুন আনন্দের জোগান দেয়। বিজ্ঞানও আমার কাছে এখনো তেমনই। নতুন কিছু জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি সেটাকে উপভোগ করতে শুরু করি। এর পাশাপাশি আমি আবার নতুন কিছু জানার চেষ্টা করতে থাকি।

প্রশ্ন :

বিজ্ঞানচিন্তা: বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য কিছু বলতে চান?

রিচার্ড জন: আমাদের চারপাশে থাকা তরুণেরা আসলে কৌতূহলী। তাঁরা নিত্যনতুন কিছু আবিষ্কার করতে চান। তাঁদের এই অভ্যাস ঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। তাঁদের প্রশ্ন করার সুযোগ দিতে হবে। কীভাবে একটা গাছ বড় হয়, কীভাবে গাছ পুষ্টি পায়—প্রকৃতির নানা বিষয়ে তাঁদের শেখার সুযোগ করে দিতে হবে। বিজ্ঞানচিন্তার মতো পত্রিকার পক্ষে বিজ্ঞানমনস্ক ভাবনা সবার মধ্য ছড়িয়ে দেওয়া সহজ। আশা করি বিজ্ঞানিচন্তা তার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে যাবে।

অনুলিখন: আলিমুজ্জামান