প্রতিদিন এতো মানুষ নেইলপালিশ ব্যবহার করে, কিন্তু এটি কী দিয়ে তৈরি তা অনেকেই জানে না। চলুন, চট করে দেখে নেয়া যাক, নেইলপালিশ কী দিয়ে তৈরি।
পলিমার
নখের ওপরের আবরণ তৈরিতে যে পলিমারটি কাজ করে, তার নাম নাইট্রোসেলুলোজ।
আপনি জানেন কি?
আমাদের হাত-পায়ের নখ ‘কেরাটিন’ নামের এক ধরণের জৈবযৌগ দিয়ে তৈরি। মজার ব্যাপার হলো, আমাদের চুলও এই একই জিনিস দিয়ে তৈরি! অদ্ভুত না?
উপাদান
নেইলপালিশে মূলত তিনটি মূল উপাদান থাকে। এক, পলিমার অণু। নখের উপরের আবরণটা মূলত পরিমার-ই তৈরি করে। দুই, ডাই। এ থেকে আসে রঙ। আর তৃতীয়ত একটা দ্রাবক, যাতে সবকিছু দ্রবীভূত থাকে। নেইলপালিশ দেয়ার কিছু সময় পরে দ্রাবকটা বাষ্পীভূত হয়ে যায়, ফলে নেইলপালিশ শুকিয়ে নখে বসে যায়।
জানে নাকি?
নেইলপালিশ মূলত গাড়ির রঙ থেকে অনুপ্রাণিত। ১৯১৬ সালের দিকে, গাড়ির মতো করে নিজের নখেও সুন্দর রঙ দেয়ার কথা ভেবেছিল কেউ একজন। সেখান থেকেই নেইলপালিশের উৎপত্তি!
জানেন তো?
আপনার নেইলপালিশে যদি চিকচিক করে, তারমানে এর মধ্যে অভ্র (mica) বা অ্যালুমিনিয়ামের গুঁড়া আছে।
দ্রাবক
এককালে নেইলপালিশে দ্রাবক হিসেবে অ্যাসিটোন ব্যবহৃত হত। এখন এর বদলে বিউটাইল বা ইথাইল অ্যাসিটেট ব্যবহৃত হয়।
রং
এর মধ্যে যে জটিল রাসায়নিক যৌগ থাকে, সেটা ‘লেক পিগমেন্ট’ নামে পরিচিত। এটিই রং হিসেবে কাজ করে, ফলে নখের উপরের আবরণে রং ধরে।
ভেরি ইন্টারেস্টটিং ম্যাগাজিন অবলম্বনে উচ্ছ্বাস তৌসিফ