গত মাসের (অক্টোবরের) বিজ্ঞানচিন্তায় চিঠিতে একজন নিজের উপার্জিত অর্থের অংশ দিয়ে নিজ এলাকায় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণাগার গড়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যাতে শিশুরা মজার মজার সব এক্সপেরিমেন্ট করার মাধ্যমে ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে উঠতে পারে। চিঠিটি পড়ে আমি একমুহূর্ত থমকে দাঁড়িয়েছি। আসলে আমরাও চাই আমাদের আশপাশে এ রকম উদ্যোগী কিছু মানুষ, যাঁরা বিজ্ঞানের আসল অর্থ জানেন, বিজ্ঞানকে ভালোবাসতে পারেন।
বিজ্ঞানচিন্তার সেপ্টেম্বর-২০২৩ সংখ্যায় চিঠিতে এক পাঠক বন্ধু তাঁর স্কুলের ‘রাকিব স্যার’-এর কথা বলেছেন। আমি এই স্যারকে না দেখেই তাঁর ভক্ত হয়ে গেছি (সত্যি বলছি, একটুও গুল মারছি না)। কারণ, কিআতেও একজন তাঁর ব্যাপারে লিখেছে, তিনি তাঁর স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীকে বিজ্ঞানচিন্তা ও কিশোর আলো পড়তে অনুপ্রাণিত করেছেন। ভাবতে অবাক লাগে!
আমি আজ কাগজ-কলম নিয়ে বসেছি বিজ্ঞানচিন্তাকে নয়; বরং ওপরে উল্লেখিত দুই বিজ্ঞানপ্রেমীকে নিজের পক্ষ থেকে শুভকামনা জানাতে। আমি হয়তো আপনাদের জন্য কিছু করতে পারব না। তবে এটুকু বলব, আপনাদের এ রকম ছোট ছোট মহৎ উদ্যোগই আমাদের অনুপ্রেরণা। আপনাদের জন্য আমরা অযথা কোচিং-প্রাইভেটে ছোটাছুটি করি না, অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নাম লেখাই না। আমাদের লক্ষ্য একটাই, বিজ্ঞানকে ভালোবাসা। কারণ, বিজ্ঞান আমাদের সবকিছুর শিক্ষা দেয়। এমনকি মানবিকতার শিক্ষাও আমরা বিজ্ঞান থেকে পাই।
চিঠি লিখেছেন খুলনা পাবলিক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জিয়াদ হোসেন
* চিঠিটি ২০২৩ সালে বিজ্ঞানচিন্তার নভেম্বর সংখ্যা প্রকাশিত