আমার বিজ্ঞানচিন্তা
বিজ্ঞানচিন্তায় প্রশ্ন করার সুযোগ আছে
বিজ্ঞানচিন্তার বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে পাঠকের অনুভূতি, মতামত বা অভিজ্ঞতা লিখে পাঠাতে বলেছিলাম আমরা। অনেক পাঠক লেখা পাঠিয়েছেন, জানিয়েছেন মতামত। অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ। এসব লেখা থেকে বাছাইকৃত সেরা তিনটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানচিন্তার অক্টোবর ২০২৩ সংখ্যায়। এ ছাড়াও আরও সাতটি, অর্থাৎ সেরা ১০টি লেখা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে বিজ্ঞানচিন্তা অনলাইনে।
দ্বিতীয় সেরা লেখাটি আজ প্রকাশিত হলো।
অনেক দিন আগের কথা। হঠাৎ একদিন প্রথম আলো পত্রিকায় চোখ আটকে গিয়েছিল একটি প্রশ্নে, ‘আকাশের চাঁদ যদি চুরি হয়ে যায়, তাহলে কী হবে?’ সেদিনের ওই একটি প্রশ্নই আমায় বিজ্ঞানচিন্তার একজন নিয়মিত পাঠক তৈরি করে দেয়। বিজ্ঞানচিন্তা আমায় শিখিয়েছে বিজ্ঞানসম্মতভাবে চিন্তা করতে, প্রতিদিনের পাহাড়সম ব্যস্ততার মধ্যে তিলসম অবসরকে বিজ্ঞানচিন্তাই করে তুলেছে রঙিন। বিজ্ঞানচিন্তা পড়তে পড়তে কখনো বিজ্ঞান কল্পগল্পের ডানায় চড়ে উড়ে গেছি কল্পনাতীত ভবিষ্যতে, আবার কখনো কৃষ্ণগহ্বরের মতো রহস্যময় বিষয়ের যাবতীয় ব্যাখ্যায় ডুবে গেছি বিজ্ঞানের অতল সাগরে। এভাবেই বিজ্ঞানচিন্তা হয়ে উঠেছে আমার সবচেয়ে প্রিয় সাথি।
কী নেই বিজ্ঞানচিন্তায়? বিজ্ঞানচিন্তায় আছে বিশ্ব বিজ্ঞানের সর্বশেষ খবর, বিজ্ঞানের গভীরতম রহস্যের যাবতীয় ব্যাখ্যা, নানা রঙের বিজ্ঞান কল্পকাহিনি, আছে আমাদের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যৌক্তিক ব্যাখ্যা, বিজ্ঞান রম্য, বিজ্ঞান কুইজসহ একজন কৌতূহলপ্রিয় মানুষের কৌতূহল নিবারণ এবং আনন্দ অনুভবের সব উপকরণ। আইনস্টাইন কীভাবে চিন্তা করতেন? ছাপার দোকানে কাজ করা ফ্যারাডে কীভাবে হয়ে উঠলেন তড়িচ্চৌম্বক বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বে? মোটাদাগের বিজ্ঞানীদের বাইরে কাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের বিজ্ঞানের এই অবিশ্বাস্য অগ্রগতি? শুধু গুরুগম্ভীর সব বিষয় নয়, বিজ্ঞানীদের মজার গল্প, বিজ্ঞানের মজার গল্প, সব আছে বিজ্ঞানচিন্তায়। যাকে বলা যায় ‘অল ইন ওয়ান’।
সুযোগ আছে প্রশ্ন করার এবং বিজ্ঞজনের কাছ থেকে উত্তর পাওয়ারও। দেশের সর্বস্তরে বিজ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার যে মহৎ লক্ষ্য নিয়ে বিজ্ঞানচিন্তা যাত্রা শুরু করেছিল, এবার তার সাত বছর সফলভাবে পূর্ণ হলো। বিজ্ঞানচিন্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই অন্তরের অন্তস্তল থেকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। এভাবেই যেন বিজ্ঞানচিন্তাকে পাশে পাই সব সময়।