প্রাণের বিজ্ঞানচিন্তা

নিজেকে বড় সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে তোমার দেখা পেয়ে। আবার দুর্ভাগাও মনে হয়। কারণ, প্রথম সংখ্যা থেকে তোমার দেখা পাইনি। নভেম্বর ২০১৮-তে মেঘনাদ সাহার অন্য ভুবন সংখ্যাটি আমি প্রথম হাতে পাই। বাঙালি বিজ্ঞানী হলেও ওনার সম্পর্কে জানতাম না। বাসায় এনে পড়তে শুরু করি। পড়তে পড়তে এতই বিমোহিত হয়েছিলাম যে মাঝরাত পর্যন্ত পড়েছিলাম। সেই শুরু।

৫ ডিসেম্বর স্টলে গিয়ে খুঁজেছিলাম পরের সংখ্যা। দোকানদার বলল, মাসের ১৫ তারিখ বের হয় বিজ্ঞানচিন্তা। আবারও ১০ দিনের অপেক্ষা। এভাবে চলতে থাকে। অনেক পুরোনো সংখ্যাও সংগ্রহ করেছি বিজ্ঞানচিন্তার বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে। এর মধ্যে একটা গণিত সংখ্যাও পেয়ে যাই। বিজ্ঞানচিন্তা আমাকে আরও প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে। গণিত আমার সব সময় ভালো লাগত। ওই সংখ্যায় গণিতের কত অজানাকে জেনেছি। এরপর থেকে প্রতি সংখ্যা হাতে পাওয়ার আগে আশায় বুক বাঁধি, এবার বুঝি একটা গণিতের সংখ্যা হাতে পাব। কিন্তু কখনোই আমার সেই ইচ্ছা পূরণ হয় না। অবশ্য সব ইচ্ছা কারই–বা পূরণ হয়! তবে প্রতি সংখ্যায় অনেক নতুন তথ্য পাই। বিশেষ করে আব্দুল কাইয়ুমের ‘কার্যকারণ’ বিভাগ আমার খুবই প্রিয়।

গত সংখ্যায় প্রদীপ দেবের লেখাটা আমার খুব ভালো লেগেছে। ওনার লেখা সহজেই বুঝতে পারি। আমার আশা, গণিত নিয়ে আবার একটি পূর্ণাঙ্গ সংখ্যা পাব। মলাট কাহিনি না হলেও প্রতি সংখ্যায় অন্তত একটি গণিতের ফিচার থাকলেও আমার মতো গণিতপ্রেমীরা খুশি হবে। বিজ্ঞানচিন্তা আমার দৈনন্দিন জীবনকে করেছে আনন্দময় ও স্মার্ট। এ জন্য বিজ্ঞানচিন্তাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

তাইয়্যেবা আজাদ, দশম শ্রেণি, তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা