ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে তোমার কাছে আমার প্রথম চিঠি। এর আগে অবশ্য তুমি আমার অনেক চিঠি পেয়েছ। অনেক নয়, দুটি। তোমাকে আমি ২ বছর ৪ মাস থেকে পড়ছি। শুরুটা হয়েছিল নভেম্বর ২০২৩ সংখ্যা থেকে। তুমি জ্ঞানবিজ্ঞানে ভরপুর। তোমার নামের সঙ্গে বহু মিল পেয়েছি আমি। বিজ্ঞান সম্পর্কে প্রায় সব ধরনের চিন্তা এলে তার উত্তর তোমার ভেতরে পাওয়া যায়। তা ছাড়া কোনো প্রশ্নের জন্য ‘কার্যকরণ’ তো আছেই। তোমার এবারের সংখ্যা হাতে পাওয়ার পর ফ্রন্ট পেজ দেখেই আমি তো অবাক, এত সুন্দর ফ্রন্ট পেজ! বাহ্!
এবার আমি একটা জিনিস লক্ষ করেছি, আমার পড়া প্রথম বিজ্ঞান গল্পের সংখ্যাটি হলো মার্চ ২০২৪ সালের, দ্বিতীয়টি নভেম্বর ২০২৪ সালের এবং তৃতীয়টি মার্চ ২০২৫ সালের। যেটা আমি লক্ষ করেছি, সেটি হলো প্রথমটির বিষয় ছিল, ‘হাফ ডজন বিজ্ঞান গল্প’, দ্বিতীয়টির বিষয় ছিল ‘৫টি বিজ্ঞান কল্পগল্প’ এবং এবারের সংখ্যাটির বিষয় হলো ‘এক ডজন বিজ্ঞান কল্পগল্প’। হতে পারে এর পরের বিজ্ঞান কল্পগল্পের সংখ্যাটির বিষয় হবে ‘১.৫ ডজন বিজ্ঞান কল্পগল্প’।
যা–ই হোক, সব সময়ের মতো এবারের সংখ্যাটি হয়েছে অসাধারণ! তোমার নামের সঙ্গে আমি একটি মিল লক্ষ করেছি, বিজ্ঞান–সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন হলেই তা তোমার ভেতরে পাওয়া যেতে পারে। আর যদি না পাওয়া যায়, তবে প্রশ্নের জন্য ‘কার্যকারণ’ উপায়টা তো আছেই।
এবার আমার মাথায় একটি বিজ্ঞানবিষয়ক চিন্তা এসেছে, যা তোমাকে আমার এই চিঠির মাধ্যমে দিচ্ছি। অবশ্য এটি চিন্তা কম, আবদার বেশি। সেটি হলো তুমি ‘ইলেকট্রনিকস’ নিয়ে একটি সংখ্যা ছাপিয়ো। যাতে গাড়ি সম্পর্কে কিছু অজানা এবং বিস্ময়কর তথ্য থাকে। যদিও তোমার প্রতিটি সংখ্যার প্রতিটি ফিচারই হয় বিস্ময়কর, তথ্যবহুল ও মজাদার। তুমি একটু সহজ হও, কিছু কিছু ফিচার আছে, যেগুলো আমার বুঝতে অসুবিধা হয়। তুমি একটু পৃষ্ঠা খেয়ে মোটা হও। কম খেলে চলবে না। আমার এই ছোট্ট চিঠিটাকে তুমি তোমার অতি মূল্যবান পৃষ্ঠায় একটু জায়গা দিয়ো। তোমার জন্য শুভকামনা সব সময়ই আমার থাকে। ধন্যবাদ, এত তথ্যবহুল হওয়ার জন্য। তোমার জ্ঞানগুলো যেন আমরাও একটু একটু করে পেতে থাকি। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরাফাত ওয়াহিদ, ষষ্ঠ শ্রেণি, মসজিদ মিশন একাডেমি, রাজশাহী