বিজ্ঞানচিন্তা আমার অনুপ্রেরণার নাম

বিজ্ঞানচিন্তার বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে পাঠকের অনুভূতি, মতামত বা অভিজ্ঞতা লিখে পাঠাতে বলেছিলাম আমরা। অনেক পাঠক লেখা পাঠিয়েছেন, জানিয়েছেন মতামত। অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ। এসব লেখা থেকে বাছাইকৃত সেরা তিনটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানচিন্তার অক্টোবর ২০২৩ সংখ্যায়। এ ছাড়াও আরও সাতটি, অর্থাৎ সেরা ১০টি লেখা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে বিজ্ঞানচিন্তা অনলাইনে।

দশম সেরা লেখাটি আজ প্রকাশিত হলো।

আমি বিজ্ঞানচিন্তার একজন নিয়মিত পাঠক। তিন বছর ধরে বিজ্ঞানচিন্তা পড়ছি। যেদিন প্রথম বিজ্ঞানচিন্তা পেয়েছিলাম, সেদিনকার কথা আমার এখনো মনে পড়ে। সময়টা ছিল নভেম্বর ২০২০। আমি তখন ক্লাস ফোরে পড়ি। আমার মা এক দুপুরে আমার জন্য একটি বিজ্ঞানচিন্তা কিনেছিলেন। নভেম্বর ২০২০–এর বিজ্ঞানচিন্তার শিরোনাম ছিল ‘আমাদের জগদীশচন্দ্র বসু’। একপর্যায়ে আমি কোয়ান্টাম মেকানিকসের ওপর লেখা একটি ফিচার দেখতে পাই। তখন থেকেই আমি কোয়ান্টাম মেকানিকস বোঝার চেষ্টা করি এবং এখনো এটি নিয়ে ভাবি। তাই প্রথম থেকেই আমার বিজ্ঞানচিন্তার প্রতি একধরনের আগ্রহ জন্মায়।

এরপর ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসেও আমি বিজ্ঞানচিন্তা পড়ি। তবে মার্চ মাসের বিজ্ঞানচিন্তা আমার অনেক ভালো লেগেছিল। কারণ মার্চ ২০২১–এর সংখ্যার মলাটকাহিনি ছিল মঙ্গলে পারসিভারেন্সের অবতরণ। আর মহাকাশবিজ্ঞান আমার অন্যতম প্রিয় বিষয়।

তবে এপ্রিল ২০২১–এর পর আর বিজ্ঞানচিন্তা পড়ার সময় পাইনি। এর মধ্যে ডিসেম্বর ২০২১–এ একটি বিজ্ঞানচিন্তা কিনেছিলাম। নভেম্বর ২০২২ থেকে নিয়মিত বিজ্ঞানচিন্তা পড়লেও মাঝের কয়েক মাস বাদ গিয়েছিল। আশা করছি, ভবিষ্যতে আর মিস যাবে না।

বিজ্ঞানচিন্তা নিয়ে আমার অনেক সুন্দর অভিজ্ঞতা আছে। যেমন, একবার ২০২১ সালের একটি সংখ্যার ডাকবাক্সে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী লিখেছিল, সে নাকি পর্যায় সারণির ৬০-৭০টা মৌলের নাম বলতে পারে। আমিও তখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তাম। আমিও তখন ৭০টা মৌলের নাম মুখস্থ করতে অনুপ্রাণিত হই। কিন্তু আমাদের বাসার কারও ৭০টা মৌল মুখস্থ ছিল না। তাই আমার মা তখনই আমাকে নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন বই কিনে দেন। সেখান থেকেই আমি ৫৪টা মৌলের নাম মুখস্থ করেছি। আমার স্কুলের বড়রা এসব শুনে বলেছিলেন, তাঁরা নবম শ্রেণিতে পড়ে ১৮টা মৌলের নাম জানেন। আর আমি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে এতগুলো মৌলের নাম মুখস্থ করেছি!

২০২২ সালের নভেম্বরের সংখ্যায় আইজেএসও প্রতিযোগিতা নিয়ে লেখা ছিল। তখন আমিও এতে অংশগ্রহণ করতে চাই। যাই হোক, আমি এ বছর বিডিজেএসওতে আঞ্চলিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করি।

এ বছর আমি বিজ্ঞানচিন্তায় দেখেছি প্রায়ই অন্য রকম বিজ্ঞানবাক্স নিয়ে লেখা থাকতে। তাই আমিও ভাবলাম, অন্য রকম প্রজন্ম গ্রুপে ভিডিও দেব। ইতিমধ্যে আমি আমার জন্মদিনে একটি ‘রসায়ন–রহস্য’ বিজ্ঞানবাক্স পেয়েছিলাম। তাই আমি সেপ্টেম্বর মাস থেকে অন্য রকম প্রজন্ম গ্রুপে ভিডিও পাঠাতে শুরু করি।

বিজ্ঞানচিন্তার সেপ্টেম্বর ২০২৩–এর সংখ্যাটি দারুণ ছিল। অপেক্ষায় আছি, পরের সংখ্যার জন্য। ধন্যবাদ বিজ্ঞানচিন্তা। 

চিঠি লিখেছেন চিটাগাং আইডিয়াল হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহির দাইয়ান