কোনো সংখ্যা ১ এবং ওই সংখ্যা ছাড়া অন্য কোনো সংখ্যা দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য না হলে সেই সংখ্যাকে বলে মৌলিক সংখ্যা। যেমন ৫ একটি মৌলিক সংখ্যা। ৫-এর গুণনীয়ক ১ ও ৫। অর্থাৎ, ৫-কে ওই দুটি অঙ্ক ছাড়া অন্য কোনো অঙ্ক দিয়ে ভাগ করা যায় না। মানে ৫-কে ১ ও ৫ দিয়ে ভাগ করলে ভাগশেষ হবে ০। তাই ৫ একটি মৌলিক সংখ্যা।
ধরি, কামালের কাছে ৫টি আম আছে। সে চায় আমগুলো কাউকে দিয়ে দিতে। যেহেতু ৫-এর গুণনীয়ক ১ ও ৫, তাই সে ৫ জনকে ১টি করে আম অথবা ১ জনকে ৫টি আম দিতে পারবে। (ভগ্নাংশ বা আম কেটে ভাগ করে দেওয়ার কথা এখানে আসবে না।)
এখন ভাবুন, মৌলিক সংখ্যা ঋণাত্মক হলে কী হবে? এক্ষেত্রে ভাগের নিয়ম আর খাটবে না। আপনি কোনো ভাবেই ধরতে পারবেন না যে কামালের কাছে মাইনাস ৫টি আম আছে। এ কথার মানে, তাঁর কাছে কোনো আমই নেই। বরং কেউ তাঁর কাছে উল্টো ৫টি আম পাবে। অর্থাৎ, ঋণ নেওয়া ব্যক্তিকে উল্টো আম দিয়ে ঋণ শোধ করতে হবে। যাঁর কাছে কোনো আমই নেই, সে কীভাবে অন্যকে আম দেবে! এ কারণে মাইনাস ৫ মৌলিক সংখ্যা হতে পারে না।
কোনো সংখ্যাকে মৌলিক সংখ্যা হতে হলে অবশ্যই স্বাভাবিক সংখ্যা (Natural Number) হতে হয়। অর্থাৎ ধনাত্মক সংখ্যা। শূন্য স্বাভাবিক সংখ্যা কি না, সে বিষয়ে মতভেদ আছে। অর্থাৎ শূন্য বা এরচেয়ে বড় সংখ্যা হতে হবে। যদি তা না হতো, ঋণাত্মক সংখ্যাও যদি হিসেবে ধরা হতো, তাহলে আরেকটি সমস্যা হতো। মাইনাস ৫ যেহেতু ৫ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য, তাই সেটা মৌলিক সংখ্যা হতে পারত না। কারণ, ১ এবং ওই সংখ্যা (অর্থাৎ মাইনাস ৫) ছাড়াও এটি অন্য সংখ্যা (এক্ষেত্রে ৫) দিয়ে বিভাজ্য হতো। তখন অবশ্য ৫-কেও মৌলিক সংখ্যা বলা যেত না। কারণ, ৫ও ১ ছাড়াও মাইনাস ৫ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য হতো। সেজন্য মৌলিক সংখ্যা হওয়ার শর্ত হলো, স্বাভাবিক সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। তাই মৌলিক সংখ্যা কখনো ঋণাত্মক হতে পারে না। সবসময় মৌলিক সংখ্যার মান হয় ধনাত্মক।
লেখক: শিক্ষার্থী, একাদশ শ্রেণি, সবুজবাগ সরকারি কলেজ, ঢাকা