বিজ্ঞানচিন্তার কাছে আমি ঋণী। সেই সঙ্গে পত্রিকাটির ওপর আমার রাগও রয়ে গেছে। ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান ও গণিত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার উৎসাহ ছিল। ড. আবদুল্লাহ আল–মুতীর সাবলীল ভাষায় লেখা বাংলা বইগুলো পড়ে বিজ্ঞানে আগ্রহ আরও বেড়ে গেল। বিজ্ঞানেই পুরো ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার পক্ষে বাংলায় বিজ্ঞান নিয়ে লেখা সম্ভব, তা ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করিনি। যদিও ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের প্রশ্নপত্র বানাতে গিয়ে লিনাক্সে ‘প্রভাত’ লে-আউটে বাংলা টাইপ করাটা রপ্ত করেছিলাম, কিন্তু আমার দৌড় ওই পর্যন্তই ছিল।
হঠাৎ একদিন আব্দুল কাইয়ুম ফোন করলেন। বললেন, তাঁরা সব বয়সের পাঠক উপভোগ করতে পারবেন, এমন একটি পত্রিকা বের করবেন। আমি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে উৎসাহী কি না? ‘না’ বলতে আমার কষ্ট হয়। অর্বাচীনের মতো তাই রাজি হয়ে গেলাম। এরপর কী হলো, বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকেরাই ভালো জানেন। এখন প্রথম বাক্যের ব্যাখ্যা দিতে পারি—বিজ্ঞানচিন্তার কাছে ঋণী—কারণ, আমি আর বাংলায় বিজ্ঞান নিয়ে লিখতে জড়তা বোধ করি না।
আর পত্রিকার ওপর রাগ; কারণ, তারা প্রতি মাসেই একটা লেখা দেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করে। তবে তাতে যদি পাঠক উপকৃত হন, সে রাগকে সবারই উপেক্ষা করা উচিত, তাই না?
বিজ্ঞানচিন্তা, এগিয়ে চলো, তুমি দীর্ঘজীবী হও!
