জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে যা দেখবেন

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের গ্যালারিতে রয়েছে দারুণ সব চমক। অবসরে তাই ঘুরে আসতে পারেন বিজ্ঞান জাদুঘরে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এ জাদুঘর খোলা থাকে সপ্তাহে ৬ দিন। বন্ধ থাকে শুধু বৃহস্পতিবার। তাই শুক্র ও শনিবার বা অবসরে বিজ্ঞান জাদুঘর হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ। বিশাল এ সংগ্রহশালার সব কিছু ছবিতে তুলে ধরা সম্ভব নয়। সামান্য ধারণা পেতে পারেন। তবে অনেক কিছু সশরীরে হাতে-কলমে দেখলেই কেবল অনুভব করা যাবে সত্যিকার অর্থে। স্কুলশিক্ষার্থী থেকে তরুণ-বুড়ো—সবারই ভালো লাগবে। ছবি তুলেছেন খালেদ সরকার।

১ / ১০

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের ফটক দিয়ে ঢুকতেই আপনাকে স্বাগত জানাবে এই টি-রেক্স। প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াত এই ডাইনোসরেরা। এগুলোর ওজন ছিল প্রায় সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৮ হাজার কেজি। তবে এই ডাইনোসর আপনাকে তাড়া দেবে না। বরং কাছে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে নিতে পারবেন হাসিমুখে! এমনকি চাইলে, ডাইনোসরের লেজ দিয়ে কান চুলকানোর চেষ্টাও করে দেখতে পারেন।

২ / ১০

ছবিতে ফুকোর দোলক দেখা যাচ্ছে। এটি একটি সরল দোলক। এর সুতাটি ঝোলানো হয়েছে সিলিং থেকে। সুতার দৈর্ঘ্য ও ববের ভর অনেক বেশি হওয়ায় এটি বাতাসের ঘর্ষণ অতিক্রম করে অনেকক্ষণ দুলতে পারে। এর দোলনতলের পরিবর্তন বুঝতে নিচের কৌণিক দূরত্ব সম্বলিত ছবিটি লক্ষ্য করতে হবে। স্থির পৃথিবীর সাপেক্ষে এই দোলনের উল্লম্ব তল আপাতদৃষ্টিতে ঘোরে বলে মনে হয়। এর মাধ্যমে এই দোলক ব্যবহার করে পৃথিবীর আহ্নিক গতি বোঝা যায়।

৩ / ১০

আয়না আর অপটিক্যাল ইলিউশনের চমৎকার সমন্বয় এটি। এর নাম ছিন্নমস্তক। মডেলের ভেতরে ঢুকলে শুধু মাথা ছাড়া আর কিছুই দেখা যাবে না। মডেল: লেখক!

৪ / ১০

জাদুঘরের ভেতরে ঢুকে ওপরে তাকালেই দেখতে পাবেন এই সৌরজগৎ। শুরু থেকে নেপচুন, ইউরেনাস, শনি, বৃহস্পতি, মঙ্গল, পৃথিবী, শুক্র, বুধ ও সূর্যের প্রতীকী ছবি দেখা যাচ্ছে। একে ইনডোর সোলার মডেল বলে।

৫ / ১০

এটি একটি তিমির কঙ্কাল। জাদুঘরের নিচ তলায় দেখা মিলবে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ কঙ্কালের। ১৯৮৮ সালের বন্যায় বঙ্গোপসাগরে তিমিটি পাওয়া গিয়েছিল।

৬ / ১০

বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার আইবিএম-১৬২০। দ্বিতীয় প্রজন্মের মেইনফ্রেম কম্পিউটার এটি। ১৯৬৪ সালের শেষ দিকে কম্পিউটারটি ঢাকায় আনা হয়। জাদুঘরে সংযোজিত করা হয় ১৯৬৯ সালের শেষ দিকে।

৭ / ১০

এই ছবিটি দেখলে আপনার দৃষ্টিভ্রম হতে পারে। ওপরের ছবিটিতে কি দেখতে পাচ্ছেন? খরগোশের মাথা নাকি পাখির ঠোঁট? আসলেই দুটিই দেখা যাচ্ছে। আবার A ও B রেখা দুটির মধ্যে কোনটি বড় মনে হয়? A রেখাটি বড় মনে হচ্ছে না? আসলে দুটিই সমান।

৮ / ১০

এটি একটি থ্রিডি প্রিন্টার। সামনে যে বস্তুগুলো দেখছেন, তা থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। এর সাহায্যে যেকোনো কিছু তৈরি করা যায়। শুধু মডেলটা ইনপুট দিতে হয়। থ্রিডি প্রিন্টার চট করে বিশেষ ফাইবার দিয়ে বানিয়ে দেয় সেই মডেল।

৯ / ১০

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারীর মডেল স্যুট। ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ মিশনে মানুষ প্রথম চাঁদে পাড়ি দেয়। তবে এ ধরনের স্যুট পরে এখন হরহামেশাই মহাকাশে যাচ্ছেন নভোচারীরা।

১০ / ১০

ছবিতে একটা উল্কাপিণ্ড দেখা যাচ্ছে। ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ে এ উল্কাটি পড়ে। এর ওজন ২ কেজি ৪২৮ গ্রাম। ১৯৪২ সালের পর এটিই বাংলাদেশে পাওয়া একমাত্র উল্কাপিণ্ড।