বোতলভর্তি বাগান

বাগান করতে কী লাগে? জমি, ছাদ, নাকি বারান্দার ঝোলা টব? এসব উপায় ছেড়ে একটা বোতলেই বাগান গড়ে নিয়েছেন ডেভিড ল্যাটিমার। বিশালাকার এক বোতলে প্রায় ৬০ বছর আগে ল্যাটিমার শুরু করেছিলেন ‘ট্যারিয়াম’ পদ্ধতিতে এই বিশেষ বাগান। এ পদ্ধতিতে একটি বোতলে গাছ লাগানোর পর সেখানেই মাটি, সার, পানিসহ প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে সেখানেই গাছের পরিচর্যা করা হয়। ল্যাটিমার শুরুতেই কমপোস্ট সার, সামান্য পানি আর বীজ দিয়ে মুখ আটকে দেন ১০ গ্যালন সাইজের বোতলটির। কাচের বোতল হওয়ায় নিয়মিত আলো পেলেও আর কোনো রকম বাইরের উপাদানই বোতলের ভেতরে ঢোকার সুযোগ পায়নি।

তবে শেষবারের মতো এই বোতলের ছিপি খোলা হয়েছিল ১৯৭০ সালে। সামান্য পানি দিয়েই সেবারও মুখ আটকে দেন ল্যাটিমার। এমন অবস্থায় যে–কেউ ভাববে যে গাছটি মারা যাবে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো, গাছটি পুরো বোতলজুড়েই বানিয়ে নিয়েছে এক নতুন ইকোসিস্টেম। মাটিতে কম্পোস্ট সারে থাকা ব্যাকটেরিয়া গাছের মরা পাতা থেকে পুষ্টি পায়। গাছ থেকে উৎপন্ন অক্সিজেন ব্যবহার করে তারা বেঁচে থাকে। আবার ব্যাকটেরিয়াদের শ্বসন থেকে তৈরি কার্বন ডাই–অক্সাইড ব্যবহার করে গাছ খাবার তৈরি করে। সব মিলিয়ে আমাদের বাইরের পরিবেশের মতোই ভারসাম্যের এক নিপুণ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে ল্যাটিমারের ছোট্ট বোতলে।