ম্যাচবক্সের মাইক্রোফোন

যা যা লাগবে: ১. বড় কাঠির ম্যাচবক্স ২. পেনসিল ৩. ব্যাটারি ৪. টেপ ৫. কাঁচি ৬. এনটিকাটার ৭. হেডফোন ৮. কালো ও লাল তার ৯. ক্রোকোডাইল ক্লিপ

স্কুলের অনুষ্ঠানে কালো একটা কিছু হাতে নিয়ে মঞ্চে কথা বলে সবাই। সেটার সামনে কথা বললেই সামান্য আওয়াজও জোরে শোনা যায়। এটাকে বলে মাইক্রোফোন। শব্দশক্তিকে অ্যামপ্লিফায়ারের সাহায্যে ভালো মানের তড়িৎ-শক্তিতে রূপান্তর করা যায়। সেটা স্পিকারের সাহায্যে আমরা বেশ জোরে শুনতে পাই।

মঞ্চের মাইক্রোফোনের মতো ভালো মাইক্রোফোন আমরা না বানাতে পারলেও বাসার খুঁটিনাটি জিনিসপত্র ব্যবহার করে একটা মৌলিক মাইক্রোফোন কিন্তু আমরা বানিয়ে ফেলতেই পারি। এবার তাহলে দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে বানাব এই মাইক্রোফোন।

কীভাবে কাজ করে মাইক্রোফোন?

মাইক্রোফোনের মূল কাজ কোনো আওয়াজকে বৈদ্যুতিক বার্তায় রূপান্তর করা। এখানে ম্যাচবক্সের ভেতরে থাকা শিষগুলো আওয়াজ তৈরি করে। যেটা তার দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ব্যাটারিতে থাকা তড়িৎ–শক্তিকে ব্যবহার করে সিগন্যাল তৈরি করে। এই সিগন্যাল অনুসারেই তোমার হেডফোনে আওয়াজ তৈরি হয়।

মজার তথ্য

১৮৭৬ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করতে গিয়ে মাইক্রোফোন আবিষ্কার করেন। এরপর ১৮৮৬ সালে টমাস আলভা এডিসন এটির আধুনিক সংস্করণ তৈরি করেন।