প্রকাশিত হলো বিজ্ঞানচিন্তার মে সংখ্যা

বেশিরভাগ মানুষের কাছে মহাকাশ খুব আকর্ষণীয় বিষয়। কারণ, মহাকাশ নিয়ে আমাদের মনে রয়েছে অনেক প্রশ্ন ও কৌতূহল। বিজ্ঞানীরা সেসব প্রশ্নের উত্তর জানতে মহাকাশে পাঠাচ্ছেন নানা মহাকাশযান। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ, হাবল টেলিস্কোপের মতো আরও নানা টেলিস্কোপের সাহায্যে আমরা সৌরজগতের সীমানার বাইরে কি আছে, তাও দেখতে পাচ্ছি। ইতিমধ্যে এসব টেলিস্কোপের তোলা ছবিগুলো মাত করেছে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের দুনিয়া। তবে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানের খোলনলচে বদলে দিয়েছে একটি টেলিস্কোপ—গায়া। এই গায়াকে দেখা যাচ্ছে এবারের বিজ্ঞানচিন্তার মে ২০২৫ সংখ্যার কভারে। আর সেটি তাক করা আছে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির দিকে।

আমরা পৃথিবীর বাসিন্দা। এই পরিচয়ের বাইরের আরেকটি পরিচয় আমাদের আছে, সেটা হলো আমরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিরও বাসিন্দা। আমরা সূর্যকে কেন্দ্র করে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরছি। সঙ্গে রয়েছে আরও ৭টি গ্রহ, শতশত বামন গ্রহ, ২০০-এর বেশি উপগ্রহ, হাজারো ধূমকেতু ও লাখো গ্রহাণু। এদের সবাইকে নিয়েই আমাদের সৌরজগৎ। পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ যেমন সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তেমনি সূর্য মিল্কিওয়েকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। আমাদের মিল্কিওয়ের দেখতে উজ্জ্বল সর্পিল আকৃতির। ওরিয়ন নামের বাহুতে আমাদের সৌরজগৎ। কীভাবে জ্যোতির্বিজ্ঞানী জানতে পারলেন এসব তথ্য? কেনই বা এত নাম থাকতে একে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি নামে ডাকা হয়? দুধের সঙ্গে এর আসলেই কি কোনো সম্পর্ক আছে? প্রায় ১ লাখ আলোকবর্ষ জুড়ে বিস্তৃত আমাদের গ্যালাক্সি। বিজ্ঞানীরা কীভাবে মাপলেন এই বিশাল গ্যালাক্সির আকার-আকৃতি। বিজ্ঞানচিন্তার মে সংখ্যায় থাকছে এসব প্রশ্নের উত্তর।

এখানেই শেষ নয়। মলাট কাহিনিতে আরও দেখা যাবে আমাদের গ্যালাক্সির ছবি সংবলিত ইনফোগ্রাফ। সেগুলো থেকে জানা যাবে সৌরজগৎ, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও এই গ্যালাক্সিতে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে। সঙ্গে জানা যাবে গায়া টেলিস্কোপের সম্পর্কে। 

সার্নের লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারের কথা হয়তো শুনেছেন। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কণাত্বরক যন্ত্র। কেমন করে সূচনা হলো এ ধরনের কণাত্বরক যন্ত্রের? এর প্রয়োজনই বা পড়ল কেন? পরমাণুর ভেতরে উঁকি দেওয়ার সেই প্রচেষ্টা জানতে পারবেন এ সংখ্যায়। জানতে পারবেন স্ট্রিং থিওরির নেপথ্যের নায়কদের কথা এবং তত্ত্বটির প্রয়োজনীয়তা। মহাবিশ্বের শুরুর দিকে প্ল্যাঙ্ক স্কেলের পরিসরে আমাদের জানা পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো কেন অকার্যকর হয়ে পড়ে, এ নিয়ে থাকছে একটি ফিচার। কোয়ান্টাম মেকানিকসের বিখ্যাত শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল নিয়েও থাকছে একটি লেখা।

নয় মাস মহাকাশে কাঁটিয়ে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরেছেন ব্যারি উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। মহাকাশ থেকে ফিরে তিনি একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেই সাক্ষাৎকার থাকছে এ সংখ্যায়। প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে ডায়ার উলফ কি সত্যিই ফিরে এসেছে? থাকছে এ বিষয়ে একটি লেখা। 

মে সংখ্যায় রয়েছে একটি কল্পগল্প। আর শুরুতে তো আহসান হাবীবের বিজ্ঞান রম্য এবং রোমেন রায়হানের ছড়া আছেই। আরও আছে ব্লুটুথ কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে একটি লেখা। এই সংখ্যায়ও থাকছে দুটি কমিকস। পাশাপাশি কার্যকারণ, নিয়মিত কুইজ, বুদ্ধির ব্যায়াম, গোয়েন্দা ধাঁধা, সুডোকু, শব্দজটসহ আরও অনেক কিছু। এখন থেকে কিন্তু এসব বিষয়ে থাকছে পুরস্কার। তাই বিজ্ঞানচিন্তার পাতা উল্টাতে ভুলবেন না!

কীভাবে সংগ্রহ করবেন বিজ্ঞানচিন্তা

সারা দেশের যেকোনো প্রান্তে বিজ্ঞানচিন্তা হাতে পেতে চাইলে এক বছর বা ছয় মাসের নিয়মিত গ্রাহক হতে পারেন। এক বছরের সাবস্ক্রিপশন ফি ৬০০ টাকা। আর ছয় মাসের সাবস্ক্রিপশন ফি ৩০০ টাকা। নিয়মিত গ্রাহক হওয়ার জন্য ফোন দিতে পারেন এই নম্বরে: ০১৭০৮ ৪১ ১৯ ৯৬। 

অথবা নিজ এলাকার হকারকে বলে রাখতে পারেন। কিংবা পত্রিকা স্টলগুলোতে খুঁজলেও পাবেন। তা ছাড়া বিজ্ঞানচিন্তা ঘরে বসেই অর্ডার করতে পারবেন prothoma.com-এ। মে ২০২৫ সংখ্যা অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://www.prothoma.com/product/48934/biggan-chinta-may-2025

এ ছাড়াও রয়েছে ই-বিজ্ঞানচিন্তা। অনলাইনে ঠিক ছাপা সংস্করণের মতো বিজ্ঞানচিন্তা পড়তে দেখুন—e-prothomalo.com