চুল

চুল আঁচড়াই সকাল-বিকাল। কী আছে এর মূলে?

চেহারাটার সৌন্দর্য মাথাভরা চুলে।

সত্যি বলেই এই কথাটি সবাই নিলেন মেনে

শুদ্ধ কবি আটকে গেলেন বনলতা সেনে।

কেবল স্তন্যপায়ী প্রাণীর চুল গজিয়ে থাকে

সে চুল ঝরে শূন্য মাথা পরিণত টাকে।

এই বুঝি চুল যাচ্ছে পড়ে! সবার মনেই ভীতি

কেউবা কাটে বামে সিঁথি কেউবা ডানে সিঁথি।

চুলের ফ্যাশন সবচে বেশি, আর কিছু নয় তত

চুলকে নিয়ে অনেক মানুষ গবেষণায় রত।

মাথাটাকে ঠান্ডা রাখায় চুল ভূমিকা রাখে

টাক হলে তাই লোকে মাথা আলগা চুলে ঢাকে।

চুলের রঙে কেউ ডাকে ভাই, কেউবা চাচা, দাদা

মেলানিনের কম-বেশিতে চুল কালো বা সাদা।

কারও বা চুল কোঁকড়ামতো, কারও বা চুল সোজা

কী কারণে চুলে জটা? যায় না কারণ বোঝা।

চুল থাকবার যন্ত্রণা তো অভিজ্ঞতায় জানা

বাড়িতে মা, ইশকুলে স্যার দিয়েছে চুলটানা।

সন্ধ্যাবেলা খোলা চুলে ভূতের নজর লাগে।

চুলবিষয়ক ভয়ের কথা কেউ শোনো নাই আগে?

খুশকি মানে চুল মালিকের বন্ধ সুখে হাসা

নোংরা লোকের চুলের ভেতর উকুন বাঁধে বাসা।

উকুন নিয়ে করবেটা কী! বসে বসে বাছে

এক থেকে দেড় লক্ষটি চুল একটি মাথায় আছে।

চুল আছে তাই বিউটিশিয়ান, নাপিত করে রুজি

সবচে ভালো ‘হেয়ার কাটিং’ কে দেয় তাই খুঁজি।

শ্যাম্পু, সাবান, তেল লাগালে চুলরা খুশি, প্রীত

চুল আসলে জীবিত? না চুল আসলে মৃত?

চুলের গোড়ায় জীবন থাকে, আগার দিকে মরে

এক বছরে চুলরা বাড়ে ছয় ইঞ্চি, গড়ে।

শীতকালে চুল কম বাড়লেও গ্রীষ্মে বাড়ে দ্রুত

রহস্যময় চুল আসলে স্রেফ প্রোটিনের সুতো।