টুথপেস্টে কী আছে?

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা হাত বাড়াই টুথপেস্টের দিকে। বাজারে নানা নামে, নানা রঙের টুথপেস্ট পাওয়া যায়। কিন্তু অধিকাংশ টুথপেস্টেই সাধারণ কিছু রাসায়নিক উপাদান থাকে। টুথপেস্টের বেশির ভাগ উপাদান স্বাদ, গন্ধ, ভালো লাগা ও সংরক্ষক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া আরও কিছু উপাদান থাকে। এগুলো আমাদের মুখের জন্য ভালো। কিন্তু এই উপাদানগুলো কী? সেগুলো আমাদের কীভাবে সাহায্য করে?

ইতিহাসবিদদের মতে, বিশ্বে প্রথম টুথপেস্ট ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতবর্ষ, চীন ও মিসরে। আজ থেকে ৭ হাজার বছর আগে।

সোডিয়াম ফ্লুরাইড

দাঁত শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। অনেকের ধারণা, সোডিয়াম ফ্লুরাইড আমাদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আমরা যে টুথপেস্ট ব্যবহার করি, তাতে অল্পমাত্রায় সোডিয়াম ফ্লুরাইড থাকে। তাই এটা আমাদের জন্য নিরাপদ।

হাইড্রেটেড সিলিকা

পোশাকের দাগ ওঠাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া খাবার খাওয়ার পর আমাদের দাঁতের ফাঁকে খাবারের ছোট টুকরা জমে থাকে। এগুলো অপসারণেও হাইড্রেটেড সিলিকা কাজ করে। আমাদের টুথপেস্টে হাইড্রেটেড সিলিকার পরিবর্তে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (চক), ম্যাগনেসিয়াম কার্বোনেট বা অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডও থাকতে পারে। এগুলো হাইড্রেটেড সিলিকার মতোই কাজ করে।

ট্রাইক্লোসান

একটি ব্যাকটেরিয়ারোধী, রাসায়নিক উপাদান। এটি আমাদের টুথপেস্টে থাকে। ট্রাইক্লোসান দাঁতের মাড়ির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু ব্রাশ করার পরও ট্রাইক্লোসানের প্রভাব রয়ে যায়। তবে এটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা চিন্তিত। ট্রাইক্লোসানকে অপসারণ করা কঠিন। এটি পানিতে মিশে গেলে জলজ প্রাণীর জন্য বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে।

সোডিয়াম লরেল সালফেট

একটি ডিটারজেন্ট। এ ডিটারজেন্ট টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, ওয়াশিং পাউডার ইত্যাদি প্রসাধনসামগ্রীতে ব্যবহৃত হয়। ব্রাশ করার ফলে যে ফেনা তৈরি হয়, তা এই সোডিয়াম লরেল সালফেটের জন্য। আমরা ভেবে থাকি যত ফেনা হবে, তত বেশি দাঁত পরিষ্কার হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো বেশি ফেনা হলেই দাঁত বেশি পরিষ্কার হয় না।

মজার তথ্য

ব্রাশ করার পর কমলার রস আপনাকে ভয়ংকর স্বাদ দিতে পারে। এ জন্য দায়ী সোডিয়াম লরেল সালফেট।