ভ্যানাডিয়াম কিভাবে পেলাম?

নতুন কিছু আলাদাভাবে চিহ্নিত করাসহ নানা কারণেই নাম দিতে হয়। বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কথাটি সত্য। এসব নামের পেছনেও লুকিয়ে থাকে মজার ইতিহাস

এই অতিপ্রয়োজনীয় ধাতুটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৮০১ সালে। খনিজবিদ্যার মেক্সিকান অধ্যাপক আন্দেজ ম্যানুয়েল দেল রিও সে বছর বাদামি একটি সিসার আকরিকে ভ্যানাডিয়াম পেয়েছিলেন। আকরিকটিতে ভ্যানাডিয়ামের বিভিন্ন লবণের রং-বেরঙের যৌগ যুক্ত ছিল। তবে ভুলক্রমে তাকে ক্রোমিয়াম ভেবে বসেছিলেন তিনি। এর ৩০ বছর পর সুইডিশ রসায়নবিদ নিলস গ্যাব্রিয়েল সিফস্ট্রোম স্মাল্যান্ডের এক আকরিক খনি থেকে পাওয়া এক ঢালাই লোহার নমুনায় ভ্যানাডিয়াম আবিষ্কার করেন। ওই এলাকার শ্রমিকেরা আগেই খেয়াল করেছিলেন, তাঁদের ঢালাই লোহা মাঝে মাঝে খুবই শক্ত হয়, আবার মাঝে মাঝে একেবারেই ভঙ্গুর হতো। কিন্তু এর পেছনের কারণ তাঁরা জানতেন না। ভ্যানাডিয়াম আবিষ্কারের পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল। যা-ই হোক, ধাতুটি দেখতে সুন্দর বলেই হয়তো রসায়নবিদ নিলস স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পুরাণের সুন্দর আর প্রেমের দেবী ভ্যানাডিসের নামে ধাতুটির নাম দিয়েছিলেন ভ্যানাডিয়াম। বলে রাখা ভালো, মানবদেহের জন্যও ভ্যানাডিয়াম বেশ দরকারি। প্রতিদিন আমাদের দেহে ৪০ মাইক্রোগ্রাম ভ্যানাডিয়াম প্রয়োজন।