আলোর গতি হলো সর্বজনীন গতিসীমা বা ইউনিভার্সাল স্পিড লিমিট। যেসব বস্তুকণার ভর থাকে, তাদের ত্বরিত গতিতে (গতি ক্রমে বাড়া) চলতে হলে বাড়তি শক্তি দরকার। এদের গতি আলোর গতির যত কাছাকাছি আসে, ততই তাদের আরও বেশি শক্তির দরকার হয়। এর কারণ হলো বর্ধিত বেগের অনুপাতে কণাগুলোর ভরবেগ বাড়তে থাকে। আলোর গতির কাছাকাছি গেলে ভরবেগ এত বেড়ে যায় যে আর বেশি দ্রুত গতিতে ওদের চলা সম্ভব হয় না। আলো হলো ফোটনপ্রবাহ। প্রকৃতপক্ষে স্থির অবস্থায় ফোটনের কোনো ভর নেই। এরা সত্যিই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
তাদের যে শুধু ভর নেই, তা-ই নয়, স্পেস বা মহাশূন্যে চলার সময় তাদের গতিবেগ বাড়ানোর দরকার হয় না। তরঙ্গের আকারে চলার সময় ফোটন তার অন্তর্নিহিত স্বাভাবিক গতিতেই চলে। বলা যায়, অস্তিত্ব লাভের শুরু থেকেই ফোটন তার সর্বোচ্চ গতিতে চলছে। এ অর্থে আলোকে কণার প্রবাহ হিসাবে চিন্তা না করে বরং শক্তি হিসাবে বিবেচনা করা যায়। যদিও সত্যি বলতে কি, কথাটা একটু বিভ্রান্তিকর বলে মনে হতে পারে।
একবার ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টনিও এরিডিটাটো ঘোষণা করেন যে নিউট্রিনো নামক কণা আলোর চেয়ে দ্রুত গতিতে চলতে পারে। সারা বিশ্ব অবাক! এটা কী করে হয়। তাহলে কি আইনস্টাইনের সূত্র ভুল? অপেরা প্রজেক্টে ১৬০ জন বিজ্ঞানী কাজ করছিলেন। তাঁদের তথ্য থেকে এটা জানা গেছে বলে তাঁরা দাবি করেন। অবশ্য তাঁরা তখনো তাঁদের দাবি চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত বলে দাবি করেননি। পরে দেখা গেল, তাঁদের তথ্য সংগ্রহে হিসাবের কিছু ভুল ছিল। আসলে আইনস্টাইনের তত্ত্ব অনুযায়ী, আলোর চেয়ে বেশি গতিতে কোনো বস্তু চলতে পারে না।