আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াড শুরু

ছবি: আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াডের আয়োজনকারী দলের সদস্য ম্যাক্সিম দোব্রখতভ (বাম থেকে ৫ম) এবং বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াড দলের কোচ অধ্যাপক আরশাদ মোমেনের (সর্ব ডানে) এবং বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াড কমিটিরি সাধারণ সম্পাক জাহাঙ্গীর মাসুদের (সর্ব বামে) পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ দলবাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াড কমিটি

অনলাইনে আন্তুর্জাতিক ডিস্ট্রিবিউটেড ফিজিকস অলিম্পয়াড অনুষ্ঠিত হচ্ছে।রাশিয়ান ফিজিকস অলিম্পিয়াড কমিটির ও আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াড কমিটির যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এই ফিজিকস অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশে এই অলিম্পিয়াড আয়োজিত হচ্ছে ধানমন্ডির রাশিয়ান কালচার সেন্টারে। ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় অলিম্পিয়াডের পরীক্ষামূলক পরীক্ষা।

এই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করছে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ দল। দলের সদস্যরা হলেন ঢাকার নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম, এম সামিন সালেক ও ইমতিয়াজ তানভীর রহিম এবং রাজশাহী সরকারি ড্রিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী রুবায়াত জালাল ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম ইশতিয়াক। দলের সবাই দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

এই অলিম্পিয়াডে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছে আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াডের আয়োজনকারী দলের সদস্য ম্যাক্সিম দোব্রখ্তভ। এই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী আরশাদ মোমেন।

এক্সপেরিমেন্টাল পরীক্ষা শেষে একদিন বিরতি। তারপর ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে তাত্ত্বিক পরীক্ষা। ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষা মূল্যায়ন মার্কিং ও ফলাফল পর্যালোচনা করবেন আন্তজাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াড আয়োজন কমিটির সদস্যরা। ১৫ ডিসেম্বর ফল ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হবে আন্তজার্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড ফিজিকস অলিম্পিয়াডের সার্বিক কার্যক্রম।

প্রতিবছর নির্দিষ্ট একটা দেশে আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। করোনো পরস্থিতির কারণে এবছর আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াডের আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। স্বল্প সময়ের নোটিসে অনলাইনে আয়োজন করার ঘোষণা দেয় আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াড কমিটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে এ বছর আন্তুজার্তিক ফিজিকস অলিম্পিয়াডের নামকরণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক ডিস্ট্রিবিউটেড ফিজিকস অলিম্পিয়াড।

যেহেতু এই আয়োজন আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল, তাই প্রস্তুতি নেওয়ার পর্যপ্ত সময় পায়নি বাংলাদেশ দল। তবু আশাবাদী বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াডের কোচ অধ্যাপক আরশাদ মোমেন। তিনি বলেন, ‘স্বল্প সময়ের নোটিশে আমরা অনলাইন ক্যাম্প করেছি, অনলাইনে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষাও নিয়েছি। বড় কিছু হবে কিনা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আমি আশাবাদী।’

উল্লেখ্য ডাচ বাংলা ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এবং প্রথম আলোর সার্বিক তত্ত্ববধানে বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াড কমিটি সারা দেশে আঞ্চলিক ও জাতীয় ফিজিকস অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে। তারপর ক্যাম্পিং ও কর্মশালা করে বাংলাদেশ দল গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ দল। সেই দলটিই আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে।

বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াডে সকল আয়োজনের ম্যাগাজিন পার্টনার মাসিক বিজ্ঞানচিন্তা ও কিশোর আলো।