টাইম ট্রাভেল প্যারাডক্স

সময় ভ্রমণকে বাধা দেয়

অতীত বদলে ফেলার মাধ্যমে টাইম ট্রাভেলাররা কার্যকারণের চক্রে গোলমাল বাধিয়ে দেন। সময় ভ্রমণবিষয়ক বিজ্ঞান কল্পগল্পে এমন সমস্যা হরহামেশাই দেখা যায়। টাইম ট্রাভেলের কারণে অনেক ধরনের প্যারাডক্স তৈরি হতে পারে। একজন মানুষ অতীত ভ্রমণে গিয়ে নিজেরই মুখোমুখি যদি হয়, তাহলে একই সময়ে একই ব্যক্তির দুটো আলাদা সত্তা থাকে। একই মানুষের দুটি আলাদা সত্তা থাকে কী করে? আসলে এটাই সময় ভ্রমণের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি। এ ছাড়া আরও কিছু প্যারাডক্স আছে সময় ভ্রমণে। গ্র্যান্ডফাদার, বাটারফ্লাই ও ইনফরমেশন প্যারাডক্স এগুলোর অন্যতম।

গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স

১. নিজের জন্মই রুখে দেন সময়ের যাত্রী

সময় বেয়ে একজন মানুষ কয়েক দশক পেছনে গেলেন। গুলি করে মেরে ফেললেন তার দাদার বাচ্চা বয়সের মানুষটাকে। তখনো তার শিশু দাদার কোনো ছেলেমেয়ে হয়নি। তার মানে সময়ের যাত্রীর জন্মই হয়নি। তাহলে তিনি কীভাবে অতীতে গেলেন, কীভাবেই বা গুলি করলেন?

বাটারফ্লাই ইফেক্ট

২. ছোট্ট পরিবর্তনের বড় প্রতিক্রিয়া

একজন মানুষ সময় ভ্রমণ করে ডাইনোসরদের যুগে গেলেন ও একটি প্রজাপতির ওপর পা রাখলেন। কাজটি ছোট্ট। কিন্তু এর ফলেই একের পর ঘটনা ঘটতে থাকল, যা পাল্টে দিল লক্ষ বছরের ইতিহাস। মানুষটা বর্তমান সময়ে ফিরে এলেন। কিন্তু আগের পৃথিবী আর নেই এখন। ছোট্ট পরিবর্তন যদি ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে, তাহলে সময় ভ্রমণ কি আসলেই সম্ভব? এ প্রভাবের চমত্কার উদাহরণ দেখা যায়, রে ব্র্যাডবেরির বাটারফ্লাই ইফেক্ট নামের একটি গল্পে।

ইনফরমেশন প্যারাডক্স

৩. ভবিষ্যতের আবিষ্কার

এক যুবকের সঙ্গে ভবিষ্যতের এক বৃদ্ধ লোকের দেখা। তিনি যুবককে একটি টাইম মেশিনের নকশা দিলেন। যুবকটি বহু বছর সাধনা করলেন মেশিনটা বানানোর জন্য। সফল হওয়ার পর এতে চড়ে বসলেন। ফিরে এলেন অতীতে। জিনিসটি দিয়ে গেলেন তার যুবক সংস্করণের হাতে। তাহলে ওটা আসলে কে আবিষ্কার করলেন?

*লেখাটি ২০১৮ সালে বিজ্ঞানচিন্তার জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত