যেভাবে পেলাম নিউট্রন শব্দটি

নতুন কিছু আলাদাভাবে চিহ্নিত করাসহ নানা কারণেই নাম দিতে হয়। বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কথাটি সত্য। এসব নামের পেছনেও লুকিয়ে থাকে মজার ইতিহাস

কিন্তু নামধাম দেওয়ার পরেও কণাটির অস্তিত্ব তখনো প্রমাণিত হয়নি। ১৯৩১ সালের দিকে জার্মান বিজ্ঞানী ওয়ালথার বোথে এবং হার্বাট বেকার পোলোনিয়াম থেকে নির্গত বিকিরণ বেরিলিয়াম, বোরন এবং লিথিয়ামে ফেলে আরও তীব্র বিকিরণ দেখতে পেলেন। দেখা গেল, এই বিকিরণ কোনো বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে প্রভাবিত হয় না। তাই তাঁরা ভাবলেন, এটি সম্ভবত গামারশ্মির বিকিরণ।

কিছুদিন পর আইরিন জুলিও কুরি এবং ফ্রেডরিক জুলিও প্যারিসে এই গামা বিকিরণ প্যারাফিনের ওপর ফেলে পরীক্ষা চালালেন। তাতে অতি উচ্চশক্তির প্রোটন বেরিয়ে আসতে দেখলেন তাঁরা। এদিকে একে গামারশ্মির বিকিরণ হিসেবে মানতে পারলেন না রাদারফোর্ড এবং জেমস চ্যাকউইক। কেমব্রিজের ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরিতে একই পরীক্ষা বারবার চালালেন চ্যাকউইক। তাতে তিনি বিকিরণে প্রোটনের মতো ভরবিশিষ্ট কিন্তু নিরপেক্ষ চার্জযুক্ত কণা বেরিয়ে আসতে দেখতে পেয়েছিলেন। কণাটিকে নিউট্রন হিসেবে শনাক্ত করেন তিনি। এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৩৫ সালে নোবেল পুরস্কার পান চ্যাকউইক।

একমাত্র হাইড্রোজেন পরমাণু ছাড়া সব মৌলের পরমাণুতে নিউট্রন থাকে। প্রোটনের মতো নিউট্রনও শক্তিশালী পরমাণুর নিউক্লিয়ার বলের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। একটি নিউট্রন তিনটি কোয়ার্ক দিয়ে তৈরি। এদের দুটি ডাউন ও একটি আপ কোয়ার্ক।