মুক্তাগাছায় ইউএফও!

মুক্তাগাছায় ইউএফও প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে ইউএফও প্রসঙ্গে একটা কৌতুক শোনা যাক।

সন্ধ্যা হয় হয়, এমন সময় একটা পেট্রল পাম্পে গ্যাস নিতে এল একটা প্রাইভেট কার। প্রাইভেট কারের মালিক আশ্চর্য হয়ে আবিষ্কার করল তার সামনে গ্যাস নিচ্ছে একটা সসার...! সে হতভম্ব হয়ে গেল। নিজের দু-চোখকে বিশ্বাস করতে পারল না। সে কনফার্ম হওয়ার জন্য সসারটার এক সাইডে উঁকি মারল। দেখে সসারটার এক সাইডে লেখা ইউএফও!

গ্যাস নিয়ে সসারটা সাঁই করে উড়ে চলে গেল। তখন সে গ্যাস দিচ্ছে।

লোকটাকে বলল—

-দেখলেন?

-কী?

-সসারটা... মানে ইউএফও...?

-দেখলাম তো

লোকটা আশ্চর্য হলো পেট্রল পাম্পের লোকটার কোনো বিকার নাই দেখে। যেন এরকম সসার প্রতিদিন এরকম গ্যাস নিতে আসে।

-আশ্চর্য আপনি একটুও অবাক হচ্ছেন না?!

-কী বিষয়ে?

-এই যে একটা ইউএফও গ্যাস নিয়ে চলে গেল।

-অবাক হওয়ার কী আছে?

-আচ্ছা, আপনি ইউএফও বোঝেন?

-বুঝব না কেন?

-বেশ, এব্রিভিয়েশনটা বলুন তো?

-কেন... আনলিমিটেড ফুয়েল অনলি!

আরেকটা...

পৃথিবীর কয়েকটা লোক একটা পার্কে বসে ল্যাপটপে শেয়ার মার্কেটের কার্ড পর্যবেক্ষণ করছিল। তারা খেয়াল করেনি, তাদের মাথার ঠিক ওপরে একটা সসার এসে থামল। সসার থেকে ঝিঁঝিঁ পোকার মতো শব্দ করে একটা আলোর মতো রশ্মি নেমে এল। এবং দেখা গেল, লোকগুলোর মাঝখান থেকে ল্যাপটপটা উঠিয়ে নিয়ে চলে গেল সসারটা। সসারের ভেতর পাইলট এলিয়েনকে ক্রু অ্যালিয়েন বলল,

-বস উঠিয়ে নিয়ে এসেছি

-কাকে?

-পালের গোদাটাকে

এবার একটা ইন্টারেস্টিং খবর দিই।

খবরটা হচ্ছে, ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আলী নামে একটা বাচ্চা একটি ইউএফও দেখেছিল। তার ভাষায়, তার মাথার ওপর দিয়ে একটা লোহার বড় চাকতি উড়ে গিয়েছিল। এই খবরের সূত্র ডা. শাহরীয়ার শরীফ (সে একজন লেখক ও কার্টুনিস্টও বটে। এক সময় জনপ্রিয় আর জে ছিল।)

হঠাৎ বাবা আলী বললেন ‘এই জিনিস তো আমি ছোটবেলায় দেখছি...’ ছেলে কৌতূহলী হয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করে জানল, ছোটবেলায় তার বাবা এমন একটা কিছু সত্যিই দেখেছিল

এবার ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা—

আলী এখন বৃদ্ধ। তার ছেলে একটা টিভি কিনেছে। সেই টিভিতে বিভিন্ন প্রোগাম দেখেন তার বাবা মাঝে মধ্যে। তো একদিন ছেলে টিভিতে ডিসকভারী চ্যানেল দেখছিল। মানে ইউএফও নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি দেখাচ্ছিল। ছেলের বাবা আলীও সেই অনুষ্ঠান দেখছিল। হঠাৎ বাবা আলী বললেন ‘এই জিনিস তো আমি ছোটবেলায় দেখছি...’ ছেলে কৌতূহলী হয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করে জানল, ছোটবেলায় তার বাবা এমন একটা কিছু সত্যিই দেখেছিল এবং দেখে তিনি বড়দেরকে বললে বড়রা তার ওপর জিনের আছর হয়েছে বলে উড়িয়ে দেয়। তবে এটা সত্য যে তখন তিনি (আলী) অনেককেই এই ঘটনা বলেছিলেন। কেউ তখন তাকে বিশ্বাস করেনি।

সবশেষে একটা জিরো টলারেন্স জোক।

-বিড়ালরা ইউএফওর ব্যাপারে আগ্রহী নয় কেন?

-কেন?

-কারণ তারা জানে, এই সসারে দুধ পাওয়ার সম্ভবনা... জিরো!