সায়েন্স এক্সপিডিশন!

‘আর যদি বন্য হাতি আসে?’ এক বিজ্ঞানী জানতে চান। দীর্ঘশ্বাস ফেললেন গাইড। বললেন, ‘বন্য হাতি যদি এসেই পড়ে, তাহলে যার যার ঈশ্বরকে ডাকতে পারেন।’

একদল বিজ্ঞানী চলেছেন সায়েন্স এক্সপিডিশনে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, তাঁদের যেতে হবে একটা গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে। এই জঙ্গলে বাঘ আছে, ভালুক আছে, গন্ডার আছে আর আছে বন্য হাতি। অবশ্য তাঁদের সঙ্গে একজন চৌকস গাইড আছেন। তাঁর হাতে আছে ট্রাঙ্কুলাইজার গান। যাত্রার শুরুতে তিনি বললেন, ‘গাইস, আমাদের যাত্রাপথে যদি বাঘ দেখেন, ভয় পাবেন না। সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়বেন। তাকিয়ে থাকবেন সরাসরি বাঘের দিকে। খবরদার ভয়ে দৌড়াবেন না। দৌড়ালেই বাঘ আপনাকে হরিণ মনে করে পিছু নেবে। যদি ভালুক আসে, তাহলে সবাই একজোট হয়ে চিত্কার করতে থাকব আমরা, ভালুক ভয় পেয়ে চলে যাবে। আর যদি গন্ডার আসে, তাহলে যার কাছাকাছি যে গাছ আছে, তাতে চট করে উঠে পড়বেন। গন্ডারের দৃষ্টি ওপরের দিকে যায় না। কাজেই গাছে উঠে পড়লে আপনাকে আর গন্ডার দেখতে পাবে না, আপনি নিরাপদ।’

‘আর যদি বন্য হাতি আসে?’ এক বিজ্ঞানী জানতে চান। দীর্ঘশ্বাস ফেললেন গাইড। বললেন, ‘বন্য হাতি যদি এসেই পড়ে, তাহলে যার যার ঈশ্বরকে ডাকতে পারেন।’

মাস ছয়েক পর সেই বিজ্ঞানী দলই আবার চলেছে অন্য একটা সায়েন্স এক্সপিডিশনে। এবার তারা চলেছে একটা যুদ্ধক্ষেত্রের ভেতর দিয়ে, যেখানে তখন রীতিমতো যুদ্ধ চলছে। এবারও তাদের সঙ্গে একজন গাইড আছেন। ইউএনএর একজন সশস্ত্র চৌকস গাইড। যাত্রার শুরুতে তিনি বললেন, ‘গাইস, যাত্রাপথে যদি ফিল্ড গান থেকে কোনো গোলা আমাদের দিকে ছুটে এসে বিস্ফোরণ ঘটায়, তাহলে আমরা সবাই সঙ্গে সঙ্গে দুই হাতে মাথা ঢেকে মাটিতে শুয়ে পড়ব। যদি গাইডেড রকেট মিসাইল ছুটে এসে বিস্ফোরণ ঘটায়, তাহলে আমরা দ্রুত ছুটে গিয়ে নিকটস্থ কোনো জায়গায় আশ্রয় নেব। আর যদি ভয়ংকর ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুটে এসে বিস্ফোরণ ঘটায়, তাহলে চট করে সবাই মিলে কোনো গর্তে আত্মগোপন করব।’

‘আর যদি অ্যাটম বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়?’ এক বিজ্ঞানী জানতে চান। দীর্ঘশ্বাস ফেললেন গাইড। বললেন, ‘সে ক্ষেত্রে আপনারা ক্রলিং করে নিকটস্থ কবরস্থানের দিকে এগোতে থাকবেন।’

লেখক: কার্টুনিস্ট, সম্পাদক, উন্মাদ