পঁচিশ বছর আগে

একজন বয়স্ক বিজ্ঞানী একটি ক্লিনিকে ডাক্তারের কাছে এলেন, তার কপাল ফেটে দরদর করে রক্ত ঝরে পড়ছে।

কী হয়েছে আপনার? ডাক্তার জানতে চাইলেন।

দেখুন পঁচিশ বছর আগে...

পঁচিশ বছর আগের কাহিনি শুনে আমার লাভ নেই, এখন কীভাবে মাথা ফাটল সেটা বলুন জলদি।

এখন কীভাবে মাথা ফাটল, সেটা বুঝতেই আপনাকে পঁচিশ বছর আগে যেতে হবে।

আচ্ছা বলুন।

পঁচিশ বছর আগে তখন আমি তরুণ বিজ্ঞানী। একটা ল্যাবে গবেষণা করতাম। আমার গবেষণার বিষয় ছিল, ‘Conception of time in physics’। আমি গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতাম। মাঝে মাঝে ভোর হয়ে যেত। একদিন গভীর রাতে ল্যাবের অপরূপ সুন্দরী অ্যাসিস্ট্যান্ট এসে বলল, ‘আপনার কিছু লাগবে?’

আমি বললাম, ‘না তুমি যেতে পারো।’

দুদিন পর সেই সুন্দরী ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট আবার এল গভীর রাতে। খেয়াল করলাম, তার কাপড়চোপড় একটু যেন খোলামেলা, একটু মাখা মাখা স্বরে বলল, ‘আপনার কিছু লাগবে?’

আমি বললাম, ‘না তুমি যেতে পারো।’ তারপর কিছুদিন পর আবার মেয়েটি এল গভীর রাতে সেই স্বল্পবসনা, অপরূপা এবং আগের মতোই মাখা মাখা স্বরে বলল, ‘আপনার কিছু লাগবে?’

আমি আগের মতোই বললাম, ‘না তুমি যেতে পারো।’

আচ্ছা! ডাক্তার ভ্রু কুঁচকে শুনছেন। ‘কিন্তু মাথা ফাটল কীভাবে?’

আজ পঁচিশ বছর পর আমি হঠাৎ বুঝতে পারলাম, মেয়েটি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছিল। তখনই রাগে–দুঃখে ছুটে গিয়ে ল্যাবের দেয়ালে মাথা ঠুকে ফাটিয়েছি।

লেখক: কার্টুনিস্ট; সম্পাদক, উন্মাদ