অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার

Kazi Akash

এক মেডিকেল কনভেনশনে এক চিকিত্সাবিজ্ঞানী ঘোষণা দিলেন যে তিনি নাকি নতুন এক অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেছেন। সবাই আশ্চর্য হলো! এ তো দারুণ খবর! গত ২০–২৫ বছরে নতুন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কৃত হয়েছে কি না সন্দেহ!

এই অ্যান্টিবায়োটিকের বিশেষত্ব কী?

করোনা ঠেকানোতে এর কোনো ভূমিকা থাকবে কি?

অন্য অ্যান্টিবায়োটিক থেকে এটি ঠিক কতটুকু শক্তিশালী?

‘মোটেই শক্তিশালী নয়।’ বললেন আবিষ্কারক।

সবাই অবাক! তাহলে এই আবিষ্কারের মানে কী?

‘বললাম তো, এই অ্যান্টিবায়োটিক মোটেই শক্তিশালী নয়, আবার এর একটা বাজে সাইড এফেক্টও আছে।’

সবাই হতভম্ব! শক্তিশালী না, আবার বাজে সাইড এফেক্ট আছে, তাহলে এই অ্যান্টিবায়োটিকের দরকারটা কী?

‘তাহলে এই অ্যান্টিবায়োটিকের দরকারটা কী?’ একজন বলেই ফেলল!

‘সাইড এফেক্টটা কী?’ আরেকজন জানতে চায়।

হ্যাঁ সাইড এফেক্টটা কী?

আবার প্রশ্ন করতে লাগল অন্য বিজ্ঞানীরা, উপস্থিত সাংবাদিকেরা!

‘সাইড এফেক্টটা হচ্ছে শর্ট টাইম মেমরি লস। আর এ কারণেই এই অ্যান্টিবায়োটিক ইতিমধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়!’

কিন্তু কেন?

কারণ, রোগীরা ভুলে গিয়ে একবার ভিজিট দিয়েও ফের বারবার ভিজিট দিচ্ছে যে ডাক্তারদের!

কিন্তু উল্টোটা যদি ঘটে! মানে ওই অ্যান্টিবায়োটিকের ইন্ডাকশন এফেক্টের কারণে এবার যদি কোনো ডাক্তারের শর্টটাইম মেমরি লস হয়? যেমন ঘটনাটা অনেকটা এ রকম—

রোগী প্রেসক্রিপশন নিয়ে ভিজিট দিয়ে বিদেয় হচ্ছে। তখন ডাক্তার ডাকলেন।

‘এক্সকিউজ মি, আপনি ভিজিট না দিয়ে চলে যাচ্ছেন যে?’

‘দিলাম তো।’

‘কই দিলেন?’

‘আপনার ড্রয়ারে দেখুন লাল দাগ দেওয়া একটা ৫০০ টাকার নোট আছে , নীল দাগ দেওয়া একটা ২০০ টাকার নোট আছে আর সবুজ দাগ দেওয়া একটা ৫০ টাকার নোট আছে!’ (ধরে নিই এই ডাক্তারের ভিজিট ৭৫০ টাকা)

ডাক্তার খুবই আশ্চর্য হলেন! এখন প্রশ্ন হচ্ছে ডাক্তারের আশ্চর্য হওয়ার কারণ কী? ১) লাল, নীল, সবুজ দাগের নোট দেওয়া রোগী? ২) নাকি নীল দাগ দেওয়া ২০০ টাকার নোট? ঠিক কোনটা?

আসলে তিনি আশ্চর্য হয়েছেন অন্য কারণে! তিনি আসলে কালার ব্লাইন্ড! তাহলে রং দেখছেন কী করে?

বিশেষ দ্রষ্টব্য বা এই ঘটনার মর৵াল—‘কোভিড ১৯ নাকি ইতিমধ্যে তার জিনে ১৬০ বার পরিবর্তন এনেছে। ভিন্ন ভিন্ন সিম্পটম নিয়ে মানুষকে ইনফেকটেড করছে এই ভাইরাস? কে জানে!’

লেখক: কার্টুনিস্ট, সম্পাদক, উন্মাদ