ভালোবাসায় বিজ্ঞান

প্রেম-ভালোবাসাবাসির ব্যাপারে বিজ্ঞান কী বলে?

এক প্রেমিকা তার প্রেমিককে বলল, আমি পৃথিবী হলে তুমি সূর্য! প্রেমিক খুশিতে গদগদ। এ রকম মারমার কাটকাট রোমান্টিক ডায়ালগ আগের কোনো প্রেমিকারা কখনো দেয়নি! (তার প্রিভিয়াস ব্রেকআপের রেকর্ডও খুব একটা খারাপ না।)

—সত্যি বলছ?

—হ্যাঁ, একদম সত্যি। আজ থেকে তুমি আমার থেকে ৯৩ মিলিয়ন মাইল দূরে থাকবে।

পাঠকের জানা আছে নিশ্চয়ই, পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ৯৩ মিলিয়ন মাইল বা ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার।

বিজ্ঞানমনস্ক আরেক প্রেমিকা তার প্রেমিককে প্রশ্ন করল:

—আচ্ছা, তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো?

—আকাশের চাঁদের মতো। গভীর আবেগে বলে প্রেমিক।

—কোন চাঁদ?

—কোন চাঁদ মানে? চাঁদ তো একটাই, আমাদের পৃথিবীর অনিন্দ্য সুন্দর জ্যোৎস্নাঝরা চাঁদ।

—ধুত্তুরিকা...রেগে গেল প্রেমিকা। পৃথিবীর চাঁদ তো মাত্র একটা। কেন, বৃহস্পতির চাঁদ বলতে পারলে না তুমি?

মহাজাগতিক বিজ্ঞান জানা প্রেমিকা এমনটা বলতেই পারে। কারণ, বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদের সংখ্যাও কিন্তু নেহাত কম নয়, মাত্র ৬৭টি।

এ তো গেল সাধারণ প্রেমিক-প্রেমিকার কথা। কিন্তু প্রেমিক–প্রেমিকা যদি বিজ্ঞানী হয়, তাহলে কেমন হয় ব্যাপারটা। এবার বিজ্ঞানী প্রেমিকা প্রশ্ন করল বিজ্ঞানী প্রেমিককে:

—তুমি আমাকে ঠিক কতটা ভালোবাসো?

—হাইজেনবার্গের থিওরি দিয়ে ব্যাখ্যা করব না ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের থিওরি দিয়ে?

—উফ...কোনো থিওরি ছাড়াই বলো না।

—বেশ, তাহলে একটা অ্যাস্থেটিক চিন্তা করা যাক...ধরো বিশাল একটা বাক্সের ভেতর শুধু তুমি আর আমি। বাক্সের এক জায়গায় থাকবে একটা...

—নিশ্চয়ই বলবে গাইগার কাউন্টার...উফ, এ তো মনে হচ্ছে শ্রোডিঙ্গারের বিড়ালের বাক্সের সেই গল্প ফেঁদেছ তুমি।

—না না, গাইগার কাউন্টার, বিড়াল সব থাকবে বাক্সের বাইরে। বাক্সে থাকবে...

—একটা জানালা থাকতে পারে...সেই জানালা দিয়ে দেখা যাবে শুধু একটা চাঁদ।

—না না, বাক্সে হাতের কাছে থাকবে একটা পাওয়ার স্লট, মানে ল্যাপটপ চার্জিং স্লট আরকি। তুমি তো জানোই, আমার ল্যাপটপেই আমার সর্বশেষ গবেষণার সব নথিপত্র...!

লেখক: কাটুর্নিস্ট; সম্পাদক, উন্মাদ