তিন বিজ্ঞানী একটি পার্কে বসে গল্প করছে। তারা তাদের সদ্য আবিষ্কারগুলো নিয়েই নিজেদের মধ্যে আলাপ–আলোচনা করছিল।
- তুমি এবার কী আবিষ্কার করলে? প্রথম বিজ্ঞানীর প্রশ্ন!
- আয়না।
- আয়না তো বহু আগেই আবিষ্কৃত হয়েছে, এ আর নতুন কী?
- কিন্তু আমার আবিষ্কৃত আয়না সম্পূর্ণ ভিন্ন।
- কী রকম?
- এটা পৃথিবীর কঠিনতম আয়না। ১০০ তলা উঁচু কোনো বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে যদি তুমি আমার এই আয়না ছুড়ে ফেলো, তাহলে ৯৯ তলা পর্যন্ত এই আয়না ভাঙবে না।
শুনে অন্য দুই বিজ্ঞানী শিহরিত হলো। ‘বলো কী...তাহলে তো এই আবিষ্কার দারুণ একটা ব্যাপার!’
- আর তুমি কী আবিষ্কার করলে? এবার দ্বিতীয় বিজ্ঞানীর দিকে তাকাল প্রথম ও তৃতীয় বিজ্ঞানী (নাকি আবিষ্কারক)।
- না আমি হতাশ! দীর্ঘশ্বাস ফেলল দ্বিতীয় বিজ্ঞানী।
- কেন?
- এত কষ্ট করে আবিষ্কার করি, কিন্তু কী লাভ! আমার শেষ আবিষ্কারটার জন্য বিজ্ঞান একাডেমি থেকে আমাকে একটা ফালতু মেডেল দিল গত সপ্তাহে। তোমরা বিশ্বাস করবে না, ওই মেডেলের যা বাজারমূল্য, তা দিয়ে একজোড়া মোটামুটি জুতা হতে পারে মাত্র!
- বলো কী? সে ক্ষেত্রে তোমার কি মনে হয় ওই মেডেলের পরিবর্তে গলায় একজোড়া জুতা ঝোলানো উচিত তোমার? তিনজনই একটু থমকে গেল যেন। আলোচনাটা ঠিক কোন দিকে যাচ্ছে? তারপরও তৃতীয় বিজ্ঞানী কেশে গলা পরিষ্কার করল।
- এবার একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে। বলল তৃতীয় বিজ্ঞানী।
- কী বিষয়ে?
- আমার সর্বশেষ আবিষ্কারটার ব্যাপারে বলছিলাম আরকি।
- কী?
- পৃথিবীতে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এবারের আবিষ্কারটা করলাম আমি!
- তা–ই নাকি?
- হ্যাঁ, মাত্র পাঁচ মিনিটে।
- বলো কী?
- হ্যাঁ, আচ্ছা তোমাদের কী মনে হয়, বিষয়টা কাকে জানানো উচিত আমার?
- আর কাকে, কোনো ঘড়ির মেকানিককে, তোমার ঘড়িটা হয়তো ঠিক করে দিতে পারবে সে!
লেখক: কার্টুনিস্ট, সম্পাদক, উন্মাদ