কোয়ান্টাম প্যারাডক্স

Abdul Gaffar

কোয়ান্টাম ফিজিকসের দুই অধ্যাপক এক জটিল গবেষণায় মগ্ন। কোয়ান্টামের কঠিন এক প্যারাডক্সে দুজনেরই মাথা নষ্ট যেন। তারা গবেষণার সময় নাওয়া–খাওয়া ভুলে যান, এমনকি কফি পর্যন্ত খান না। আজ কী হলো, এক প্রফেসর বলল, মাথা কাজ করছে না, চলো কফি খাওয়া যাক।

চলো, আমারও তা–ই মনে হচ্ছে। মাথা কাজ করছে না।

হ্যাঁ চলো...

দুজন কফির টেবিলে এসে দেখে দুটি কফি মগ রাখা, তবে দুটিই উল্টো করে। পাশে কফির ফ্লাস্ক। কফির মগ হাতে নিয়ে প্রথম অধ্যাপক চমকালেন।

আশ্চর্য!

কী হলো?

দেখছ কফির মগটা?

হ্যাঁ। সমস্যা কী?

কফি মগের ওপরের দিকটা বন্ধ, কফি আমরা ঢালব কীভাবে?

তাই তো। আরে, কী আশ্চর্য!

কী হলো?

আমার কফি মগেরও একই অবস্থা, শুধু কি তা–ই? মগটার নিচে দেখো, তলানি নেই, ফাঁকা।

আরে, তাই তো, আমারটারও তলানি নেই!

বলাই বাহুল্য কোয়ান্টাম ফিজিকসের মাথা নষ্ট দুই অধ্যাপক দুজনই তাদের কফি মগ উল্টো করে ধরে রেখেছেন। এ সময় তৃতীয় একজন অধ্যাপক ঢুকলেন। তিনিও কোয়ান্টাম মেকানিকসের বিজ্ঞানী। তিনি এসে বিষয়টা খেয়াল করে তাদের মতোই চিন্তিত হয়ে উঠলেন। একটু ভেবে বললেন, তোমাদের কি কফি খেতেই হবে?

হ্যাঁ অবশ্যই...আমরা কফি খেতেই এসেছি।

কফি যদি খেতেই হয়, সে ক্ষেত্রে তোমাদের শিরাসনে গিয়ে কফি পান করতে হবে।

এ সময় এক তরুণী এল। সে এই ল্যাবের অ্যাটেনডেন্ট। সে তাদের হাতের কফি মগগুলো সোজা করে কফি ঢেলে দিয়ে চলে গেল। প্রফেসর তিনজনই হতভম্ব!

এ মেয়েটা নিশ্চয়ই কোয়ান্টাম মেকানিকসের কোনো বড় বিজ্ঞানী।

আমারও তা–ই ধারণা। তিনজনই কফি মগে চুমুক দিল। না ভুল বললাম, দুজন।

লেখক: কার্টুনিস্ট; সম্পাদক, উন্মাদ