বিজ্ঞানীর লোন

আমি ১০০ ডলার লোন করতে চাই। মাত্র ১০০ ডলার? হ্যাঁ। সে ক্ষেত্রে আপনি মর্টগেজ রাখবেন কী? আমার হ্যামার গাড়িটা।

এক সকালে এক লোক একটা ব্যাংকে ঢুকল, লোন সেকশনে।

কী করতে পারি আপনার জন্য, স্যার? ব্যাংকের লোকজন এগিয়ে এল।

আমি একটা লোন নিতে চাই।

কত?

আমি ১০০ ডলার লোন করতে চাই।

মাত্র ১০০ ডলার?

হ্যাঁ।

সে ক্ষেত্রে আপনি মর্টগেজ রাখবেন কী?

আমার হ্যামার গাড়িটা।

আপনার হ্যামার গাড়ি আছে?

এই যে গাড়ির চাবি। লোকটা চাবি এগিয়ে দিল।

শেষ পর্যন্ত এই অদ্ভুত লোকটাকে ১০০ ডলার লোন দেওয়া হলো এবং তার দামি হ্যামার গাড়িটা মর্টগেজ রাখা হলো ব্যাংকের আন্ডারগ্রাউন্ডের বিশেষ গ্যারেজে।

দুদিন পর লোকটা ফিরে এল। ব্যাংকের লোনের ১০০ ডলার দুদিনের সুদসহ ফিরিয়ে দিল এবং নিজের মর্টগেজ দেওয়া হ্যামার গাড়ি চাবিসহ বুঝে নিল। লোকটা বিদায় নিয়ে চলেই আসছিল। তখন ব্যাংকের ম্যানেজার স্বয়ং ছুটে এলেন এবং বিনয়ের সঙ্গে বললেন,

স্যার, যদি কিছু মনে না করেন...একটা কথা ছিল।

কী কথা বলুন?

আপনি চলে যাওয়ার পর আমরা আপনার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, আপনি একজন নোবেল প্রাইজ পাওয়া ধনী বিজ্ঞানী। কোয়ান্টাম ফিজিকসে বিশেষ অবদানের জন্য বছর তিনেক আগে আপনি নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। আমরা খুবই দুঃখিত, আপনাকে তখন চিনতে পারিনি। কিন্তু আমাদের কৌতূহল হচ্ছে...

কী কৌতূহল? নিশ্চয়ই কোয়ান্টাম ফিজিকস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না।

জি না, অবশ্যই না…আমাদের কৌতূহল হচ্ছে, আপনি মাত্র ১০০ ডলার লোন নিলেন কেন? আপনি চাইলেই তো আপনার গবেষণার জন্য হাজার ডলার লোন নিতে পারতেন।

লোকটি...মানে নোবেল পাওয়া বিজ্ঞানী বিরক্ত হয়ে মাথা ঝাঁকালেন। ‘কী করব? আপনাদের এই শহরে গাড়ি পার্ক করার কোনো জায়গা আছে? তাই বাধ্য হয়ে এই বুদ্ধি করলাম।’

বিজ্ঞানীদের বুদ্ধি বলে কথা!

লেখক: কার্টুনিস্ট; সম্পাদক, উন্মাদ