এক লোক গেছে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে।
কী সমস্যা?
আমি হাসতে চাই, কিন্তু হাসতে পারি না। কোনো জোকস পড়েই আমার হাসি পায় না। আসলে আমি একটু সিরিয়াস টাইপের, কিন্তু আমি হাসতে চাই।
হুম, সে ক্ষেত্রে যেহেতু আপনি সিরিয়াস টাইপের, আমার মনে হয় সায়েন্টিফিক জোকস আপনাকে হাসাতে পারে। সায়েন্টিফিক জোকগুলো একটু সিরিয়াস টাইপের হয়, কিন্তু তাতে সূক্ষ্মভাবে হাসির উপাদান থাকে।
আপনার জানা কোনো সায়েন্টিফিক জোকস কি আছে?
হুম চেষ্টা করে দেখি...একবার পদার্থবিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রচণ্ড গতিতে। তাঁকে ট্রাফিক সার্জেন্ট থামাল। ‘আপনি এত জোরে গাড়ি চালাচ্ছেন যে?’ হাইজেনবার্গ বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি জোরে চালাচ্ছি এটা ঠিক, কিন্তু আমি অন্তত জানি আমি কোথায় যাচ্ছি!’
লোকটি মাথা ঝাঁকাল।
এটা জোক?
হ্যাঁ।
এই জোকের বিজ্ঞানটা আমি ধরতে পেরেছি। কিন্তু হাসতে পারলাম না।
সে ক্ষেত্রে আরেকবার চেষ্টা করি...সারা পৃথিবীতে এখন চীনের করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক। এই ভাইরাস বাদুড় থেকে সাপের মধ্যে গিয়েছে, বাদুড় আর সাপের দুটো ভিন্ন ভাইরাস মিউটেশন করে নতুন এক ভয়ংকর ভাইরাস তৈরি করেছে...এখন...
মাফ করবেন চীনের কোনো জিনিসই বেশি দিন টেকে না, আশা করি এই ভাইরাসও টিকবে না।
এবার সাইকিয়াট্রিস্ট হেসে ফেললেন। ‘বাহ আপনি নিজেই তো একটা জোক তৈরি করে ফেলেছেন!’
অন্য কোনো জোক বলুন। লোকটি গম্ভীরভাবে বলল।
বেশ...দান দান তিন দান, আরেকটা বিজ্ঞান জোক বলি?...আপনাকে হাসানোর শেষ চেষ্টা বলতে পারেন।
বলেন।
এক প্রেমিক, সে ফিজিকসে পড়াশোনা করেছে, তার প্রেমিকা বায়লোজির ছাত্রী, তাদের গভীর প্রেম। কিন্তু তাদের প্রেম টিকল না, ব্রেক আপ হয়ে গেল ছয় মাসের মধ্যে। ওই আপনার চায়নিজ জিনিসের মতো আরকি...চায়নিজ জিনিস আর প্রেম নাকি ছয় মাসের বেশি টেকে না। কিন্তু কেন ব্রেক আপ হলো জানেন?
কেন?
তাদের দুজনের কেমেস্ট্রি মেলেনি। এবারও লোকটা হাসল না। গম্ভীরভাবে উঠে দাঁড়াল। ফিস ফিস করে বলল, ‘আমি ফিজিকসে পড়াশোনা করেছি... ’ তারপর ব্যাজার মুখে একটা সেফটি মাস্ক পরে গট গট করে হেঁটে চলে গেল। লোকটি কি তার না হাসা ব্যাজার মুখটা মাস্ক দিয়ে ঢাকতে চায়? নাকি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে চায়? তবে এই মাস্কগুলো যে চীনের তৈরি, সেটা কি জানে? ভাবেন সাইকিয়াট্রিস্ট।
লেখক: কার্টুনিস্ট, সম্পাদক, উন্মাদ