বিজ্ঞানীদের দাম্পত্য কলহ

স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বিজ্ঞানী। একদিন তাঁদের কিছু একটা নিয়ে দাম্পত্য কলহ লেগে গেল। বেশ ভালোই দাম্পত্য কলহ। স্ত্রী রেগেমেগে ব্যাগ গুছিয়ে বললেন, ‘তোমার সঙ্গে আর এক মুহূর্ত না। এই আমি বাপের বাড়ি চললাম।’ বলে গট গট করে বের হয়ে গেলেন। মিনিট পাঁচেক পরেই ফিরে এলেন স্ত্রী।

—‘কী হলো?’ স্বামীর প্রশ্ন। ‘ফিরে এলে যে!’

—‘বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।’

সে যাত্রায় স্ত্রীর আর বাপের বাড়ি যাওয়া হলো না।

বেশ কিছুদিন পর। সেই বিজ্ঞানী স্বামী–স্ত্রী এখন স্পেসে। মানে একটা স্পেস স্টেশনে; একটা গবেষণার কাজে গেছেন। ওখানে বছরখানেক থাকতে হবে তাঁদের। কিন্তু একদিন সেখানেও তাঁদের দাম্পত্য কলহ লেগে গেল। বেশ ভালোই দাম্পত্য কলহ। স্ত্রী রেগেমেগে ব্যাগ গুছিয়ে বললেন, ‘তোমার সঙ্গে আর এক মুহূর্তও না। এই আমি বাপের বাড়ি চললাম।’ বলে গট গট করে বের হয়ে গেলেন রুম থেকে। মিনিট পাঁচেক পরেই ফিরে এলেন স্ত্রী।

—‘কী হলো?’ স্বামীর প্রশ্ন। ‘ফিরে এলে যে!’

—বাইরে গ্রহাণু বৃষ্টি হচ্ছে।

সে যাত্রায়ও স্ত্রীর আর বাপের বাড়ি যাওয়া হলো না। সম্ভবও ছিল না।

আরও বেশ ক বছর পর। সেই বিজ্ঞানী স্বামী–স্ত্রী এখন মঙ্গল গ্রহে, একটা গবেষণার কাজে গেছেন। সেখানেও একদিন ল্যাবে কাজ করার সময় তাঁদের দাম্পত্য কলহ লেগে গেল। বেশ ভালোই দাম্পত্য কলহ। এবার অবশ্য স্ত্রী নয়, স্বামী রেগেমেগে বললেন, ‘তোমার সঙ্গে আর এক মুহূর্ত না। এই আমি এক বস্ত্রে চললাম, মঙ্গলের কোনো একটা গুহা খুঁজে নিয়ে বাকি জীবন ওই গুহায় কাটিয়ে দেব।’ বলে গট গট করে বের হয়ে গেলেন। স্ত্রী পেছন থেকে চেঁচিয়ে বললেন, ‘ল্যাপটপটা নিয়ে যাও, ৩ নম্বর ইকুয়েশন সলভ করতে পারলে মেইল কোরো...’

—ইকুয়েশনের খেতা পুড়ি।

ক্ষুব্ধ স্বামী বাইরে এসে হাঁটতে হাঁটতে এক জায়গায় দেখেন, একটা পাথরের ওপর এক এলিয়েন বসে আছে। স্বামী তাকে বললেন, ‘তুমিও কি আমার মতো স্ত্রীর সঙ্গে রাগ করে বাইরে চলে এসেছ নাকি?’

—নাহ, আমি এসেছি অন্য কারণে।

—কী কারণ?

—আমি স্ত্রীর সঙ্গে বাজিতে হেরে গিয়ে বের হয়ে এসেছি।

—কী বাজি ছিল?

—আমি স্ত্রীকে বলেছিলাম, পৃথিবী একটি শান্তিপ্রিয় গ্রহ। ওখানকার মানুষ সুখী, তারা কোথাও কখনো ঝগড়াবিবাদ করে না।’

লেখক: কার্টুনিস্ট; সম্পাদক, উন্মাদ