সায়েন্স ফিকশন ফর টেলিপ্যাথ
ই-মাইকেল ব্লেক
এই, আমি কী বোঝাতে চাই, সেটা তুমি ভালো করেই জানো।
রিজেকশন স্লিপ
কে ডব্লিউ ম্যাকান
ক্যাথ থরসবি
৮৯৭ প্যাসভয় স্ট্রিট
ক্যালফ্যাক্স, অ্যারজি।
ডিয়ার মিস্টার থরসবি
দ্য লাস্ট ম্যান অন আর্থ নামে আপনার পাণ্ডুলিপিটি পড়তে দেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। দুর্ভাগ্যবশত থ্যালার প্রেসে প্রচুর ননফিকশন জমা হয়ে আছে। অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে পরে যোগাযোগ করুন।
আপনাদের সম্পাদকমণ্ডলী
এ লট টু লার্ন
রবার্ট টি কুরোসাকা
ম্যাটেরিলাইজার তৈরি করা শেষ হলো।
নেড কুইন পেছনে সরে এসে দাঁড়াল হাত দুটি মুছল, ভালো করে যন্ত্রটার সারিবদ্ধ ডায়াল, লাইট ও সুইচগুলোর দিকে তাকাল। এই প্রজেক্টরটার পেছনে তার বেশ কয়েক বছর চলে গেছে। অবশেষে যন্ত্রটা প্রস্তুত।
নেড একটা ধাতুর তৈরি ক্যাপ তার মাথায় চাপিয়ে দিয়ে কন্ট্রোল প্যানেলের কয়েকটা প্লাগ গুঁজে দিল। তারপর সুইচ অন করে বলল, ‘দশ ডলার।’
একটা গুঞ্জন শোনা গেল। রিসিভার দিয়ে একটা কাগজ বেরিয়ে এল। নেড কাগজটা ভালো করে দেখল। ওটা আসল।
‘মার্টিনি!’ ও বলল।
আবার গুঞ্জন শোনা গেল। রিসিভারে তরল পদার্থ দেখা গেল। মনে মনে গালাগাল করল নেড। অনেক কিছু শেখার বাকি আছে।
‘এক বোতল প্লিজ!’ বলল সে।
সেই গুঞ্জন শোনা গেল। তারপর চিরপরিচিত একটি বাদামি বোতল বেরিয়ে এল। নেড তরল পদার্থ চেখে দেখল, হাসি ফুটে উঠল মুখে।
শিস দিতে লাগল সে। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
নেড রিসিভারটা আরও বড় করল। এবার বড় একটা রোমাঞ্চকর এক্সপেরিমেন্টের জন্য প্রস্তুত হলো। অর্থের অভাব না থাকায় এর পরের ইচ্ছাটা তার অন্তরের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল।
ম্যাটেরিলাইজারের সুইচ অন করে গভীর একটা শ্বাস নিয়ে বলল, ‘একটি মেয়ে।’
গুঞ্জনটা বেশ জোরেশোরে হয়ে স্তিমিত হয়ে গেল। রিসিভারে দেখা গেল একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটির বয়স আট।
‘হ্যালো!’ নেড কুইন চেঁচিয়ে বলে উঠল।
হুইররর
অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর লোকজন ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে দুটি নরকঙ্কাল উদ্ধার করল।