ডেটা মহামারি

২২ ঘণ্টা আগে উত্তর আমেরিকা অন্ধকারে ডুবে গেছে। ব্যাপারটা আমরা প্রথম জানতে পারি যখন আমেরিকান স্টক এক্সচেঞ্জগুলো তাদের আদান-প্রদানের প্রক্রিয়া গুটিয়ে নিতে শুরু করে। এরপর বড় ডেটা কেন্দ্রগুলো, যেমন পুরোনো মেজরস, উবেই, অ্যামাজন ও গুগলের কার্যক্রম থমকে যায়। বন্ধ হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক। সংবাদ বন্ধ হয়ে যায়। অথচ আমরা নেটওয়ার্কে যুক্ত ছিলাম এক শতাব্দীর বেশি সময়। শুধু কিলোবাইট বা মেগাবাইটের ব্যাপার নয়, এটা এখন গুরুতর ব্যাপার।

নেটওয়ার্কে থাকা ৩০০ মিলিয়ন যানবাহন গ্রিড থেকে বিচ্যুত। কারখানা, রেলপথ, বিতরণ ড্রোন, শীতাতপব্যবস্থা থেকে শুরু করে পুরো দেশের যেসব শহর মাইক্রোপ্রসেসর চিপ দিয়ে পরিবেষ্টিত, সেগুলো সব পরিণত হয়েছে অথর্ব পদার্থে।

আমাদের স্যাটেলাইট থেকে আসা একটি ভিডিও রেকর্ড দেখুন, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পুবে ধেয়ে আসছে অন্ধকারের একটি ঢেউ। ফাইবার অপটিকস যে গতিতে বহন করতে পারে, সে রকম দ্রুত তার গতি।

ছিন্ন করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার ছিল না। সবচেয়ে মারাত্মক ছিল সাগরতলের কেব্‌ল। তবে কেব্‌লগুলো যেমন থাকুক না কেন, আমাদের নাগাল পাবে না আশা করি।

যত দূর সম্ভব একে আমরা আটকেছি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোর ওপরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে।

তাই তোমাকে পাঠাতে হবে একদম অন্ধকারে। এ মিশনে কোনো ডেটা ফিড বা স্যাটেলাইট যোগাযোগ থাকবে না। তোমার দলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে শর্টওয়েভ বেতারের মাধ্যমে। আমরা ব্রডব্যান্ড সংক্রমণের ঝুঁকি নিতে পারি না।

ভূমিতে পরিস্থিতি বেশ বিপজ্জনক মনে হচ্ছে। আমেরিকান মিলনেট এখনো হয়তো কিছুটা কাজ করছে। সম্ভব হলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করো।

মনে হচ্ছে, সংক্রমণের কেন্দ্র স্ট্যানফোর্ডের কাছাকাছি কোথাও। সেখানে কী হচ্ছে খুঁজে দেখো।

সৌভাগ্য তোমার সঙ্গে থাকুক। তোমার সঙ্গে আমাদের আশা উড়ছে।

মূল: ফিলিপ ট্রিপেনবাখ

অনুবাদ: গৌরাঙ্গ হালদার

*লেখাটি ২০২৩ সালে বিজ্ঞানচিন্তার ডিসেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত