সময়ে ফেরা

বাবার মুখের দিকে তাকালে আগে মায়া হতো। এখন রাগ হয়। মাথাভর্তি এলোমেলো চুল। তার বেশির ভাগ পেকে সাদা হয়ে গেছে। মুখে ধবধবে সাদা খোঁচা খোঁচা দাড়ি। জোর করে মাঝেমধ্যে শেভ না করালে এত দিনে দাড়ি হয়তো বুকে গিয়ে ঠেকত। চওড়া পুরু গোঁফে নিচের ঠোঁট পর্যন্ত ঢেকে গেছে।

বাবার এমন পাগলামি সহ্য করতে না পেরে তিন বছর আগে বাবাকে ছেড়ে মা চলে গেছেন। আর এক দিনও এ বাড়িতে আসেননি। বাবাকে ছেড়ে আমি চলে যেতে পারিনি। দিনের পর দিন রাগ হয়েছে প্রচণ্ড। বাসা থেকে বের হয়ে গিয়ে সন্ধ্যার পর রাস্তার পাশের দোকানের বেঞ্চে বসে গরম চা খেয়ে জিব পুড়িয়েছি। দিনের বেলা পার্কের বেঞ্চে সটান শুয়ে কাকদের বকাবকি করেছি। বাবার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে পারিনি। বাবার ভেতর অদ্ভুত এক সরলতা আছে। শিশুর মতো সরল এক মানুষ। কোথাও আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়ে গেছে, বাবা যা করছেন, তার পেছনে প্রবল যুক্তি আছে। তিনি অস্বাভাবিক নন, অতি স্বাভাবিক। বাবা নিশ্চয় সফল হবেন।

ধূমকেতু, দেখ তো কয়টা বাজে!

বাবা আমাকে কখনো আমার নিজ নামে ডাকেন না। তাঁর যখন যা মনে আসে, সে নামেই ডাকেন। বাড়িতে বাবা আর আমি ছাড়া অন্য কেউ নেই, তাই আমার বুঝতে অসুবিধা হয় না বাবা আমাকে ডাকছেন।

৯টা বেজে ১০ মিনিট।

সকালে কি নাশতা করেছি?

করেছ। পরোটা, ডিম পোচ আর মিক্সড ভেজিটেবল।

শুধু এই!

ঘুম থেকে উঠে দুধে ভিজিয়ে কর্নফ্লেক্স খেয়েছ।

বাবা মাথা নেড়ে বললেন, মনে হচ্ছে, কী যেন খাইনি।

সকালের ওষুধ পরে খাবে বলেছ। সকালের ওষুধ খাওনি।

ওষুধগুলো খেলে আমার ভীষণ ঘুম পায়। কিছু ভাবতে পারি না। আমি ওষুধ খাব না।

বাবার ওপর কখনো জোর করি না। তাঁর ওপর আমার প্রবল আস্থা। তিনি যখন কোনো কিছু ‘না’ বলেন, সেটা যথেষ্ট বুঝে বলেন। বাবা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি শিক্ষক। পদার্থবিদ্যা পড়ান। এখন বাড়িতে থাকেন। নিয়মিত ক্লাসে যেতেন না বলে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আমিও আর ভার্সিটিতে যাই না। আমি বাসা থেকে চলে গেলে বাবা একা হয়ে পড়েন।

তোমাকে ওষুধ খেতে হবে না, তুমি যদি আমার মাত্র একটা কথা শোনো।

কী কথা?

আজ শেভ করবে, চুল কাটাবে।

বাবা রাজি হয়েছেন। বাড়িতে নাপিত এল। বাবার চুল কাটানো হয়েছে। শেভ করিয়েছেন। বাবাকে দেখাচ্ছে গ্রিক দেবতার মতো।

বাবাকে আজ বেশ শান্ত দেখাচ্ছে। গুছিয়ে ভাত খাচ্ছেন। সুন্দরভাবে চিবিয়ে মুখের ভেতরের ভাতটুকু গিলে নিয়ে বললেন, তোর মায়ের কোনো খোঁজ জানিস?

আগের ইশকুলেই আছেন। প্রমোশন পেয়েছেন।

তোর সাথে দেখা হয়েছিল?

ফোনে কথা হয়।

আমার কথা কিছু জিগ্যেস করে?

বাবাকে বললাম, তুমি মাংস নাওনি। শুধু ঝোল দিয়ে ভাত মাখিয়েছ।

ইচ্ছা করেই মায়ের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলাম। মা কখনো বাবার কথা জিগ্যেস করেন না।

বাবা বললেন, তোর মা অত্যন্ত ভালো মানুষ। তাকে আমার কথাটা বোঝাতে পারিনি।

কী বোঝাতে পারোনি, বাবা?

বাবা তরকারির বাটি থেকে মাংস নিলেন। মাংস ছিঁড়ে ভাতের সঙ্গে মাখিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেললেন। এক ঢোঁক পানি খেয়ে বললেন, সময় উল্টো দিকে চলতে পারে না। এটা আমাদের বিশ্বাস। কেন বিশ্বাস করি? কুঁড়ি থেকে ফুল হয়। পাপড়ি মেলে পরিপূর্ণভাবে ফুটে ওঠে। তারপর একসময় শুকিয়ে ঝরে যায়। সেই শুকিয়ে ঝরে যাওয়া ফুলকে আমরা আবার কুঁড়িতে ফিরিয়ে আনতে পারি না। এই না পারাই হচ্ছে আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি। আর যদি ঘটনাটি কোনো দিন ঘটে যায়। শুকিয়ে ঝরে যাওয়া ফুল যদি আবার সতেজ পাপড়ি মেলে ধরে! সেদিন কি তোর মা ফিরে আসবে?

আমার কান্না পাচ্ছে। দুই চোখ উপচে পানি চলে এসেছে। ভান করলাম না। চোখ সরালাম না। বাবার দিকে তাকিয়ে কাঁদতে থাকলাম।

বাবা বললেন, কাঁদছিস কেন? মায়ের কথা মনে পড়ছে। একা তোর খুব কষ্ট হয়ে গেছে। ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করে দিলি।

চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে ফেললাম। বললাম, বাবা, তোমার জন্য কষ্ট হচ্ছে।

নদীর পাড়ে আমাদের বাড়ি। এটা নদী নয়। নদীর শাখা। ভরা বর্ষাতেও যে খুব বেশি পানি থাকে, তা নয়। বাড়ির কিনারায় নদীর পাড়ে বাবা সিঁড়ি বাঁধিয়েছেন। আমরা সেই সিঁড়িতে এসে বসি।

বাবা বললেন, মধুমঞ্জরি, তোর কি ছোটবেলার কোনো কথা মনে পড়ে?

বাবা, মাধবীলতা নামটা আমার ভালো লাগে।

তুই যে ফুলকে মাধবীলতা বলে জানিস, সেটা আদতে মধুমঞ্জরি। এই সত্য জানার পর মধুমঞ্জরি নামটা তোর ভালো লাগবে। আমাদের কখন খারাপ লাগে জানিস, যখন আমরা কোনো কিছুতে নিশ্চিত হতে পারি না।

নদীর পানিতে জোছনার আলো পড়েছে। মাছের আঁশের মতো ঝকঝকে ঢেউ। অতিপ্রাকৃত এক অদ্ভুত পরিবেশ। বাবা কোনো ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গেছেন বোঝা যাচ্ছে।

খুব ছোটবেলা বলতে তোমার সঙ্গে শপিং মলে যাওয়ার কথা মনে পড়ে। আইসক্রিম পারলারে গিয়ে অনেক রঙের আইসক্রিম খাওয়ার কথা মনে পড়ে।

তখন তোর বয়স কত হবে?

ধরো চার বছর।

তার মানে মানসিকভাবে তুই চার বছর বয়সে যেতে পারছিস। আচ্ছা, তোর কোনো আইসক্রিমের স্বাদ মনে পড়ে?

হালকা সবুজ রঙের একটা আইসক্রিম ছিল বাবা, মিষ্টি মিষ্টি।

এসব কি তোর মনে পড়ে, অনুভব করিস, নাকি আমাদের কাছ থেকে শুনে মনে হয়?

হাঁটু মুড়ে নদীর ধারে সিঁড়ির ওপর বসে আছেন বাবা। বাবাকে দেবদূতের মতো লাগছে। তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম, তোমার কী হয়েছে, বাবা?

বাবা চুপ করে আছেন। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে আছি। আমার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বাবা বললেন, জীবনে খুব বড় অন্যায় করেছি। সেই অন্যায় শোধরাতে চাই।

বাবাকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে বসলাম। বাবা কোনো দিন কোনো অন্যায় করতে পারেন না। খানিকটা জোর গলায় বললাম, কী অন্যায় করেছ, বাবা?

তখন আমার বয়স চার বছর। দেশে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। পাকিস্তানি সৈন্যরা নির্বিচার মানুষ মারছে। আমরা গ্রামে থাকতাম। মাঠে–বাগানে ছুটে বেড়াতাম। কেউ আমাদের কিছু বলত না। আবু ভাই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। রাস্তার পাশ দিয়ে একদিন দৌড়াতে দৌড়াতে যাচ্ছি। হঠাৎ দেখি রাস্তার পাশে একটা গর্তের ভেতর আবু ভাই। গাছের শুকনো পাতা দিয়ে গর্ত ঢাকা।

বাবা চুপ করে আছেন। আমি চুপ করে আছি। কেউ কোনো কথা বলছি না। চাঁদ ভেসে যাচ্ছে সামনে নদীর ঢেউয়ে। বাবা লম্বা শ্বাস ছাড়লেন। নদীর পানির দিকে তাকিয়ে বললেন, পাকিস্তানি সৈন্যদের নিয়ে একটা জিপ এসেছিল সেই রাস্তায়। দুজন সৈন্য নেমেছিল সিগারেট খেতে। অন্য সৈন্যদের নিয়ে জিপ সামনে বাজারের দিকে চলে গিয়েছিল। পাকিস্তানি সৈন্যরা আবু ভাইয়ের দিকে পেছন ফিরে ছিল বলে তাকে দেখেনি।

আবু ভাই যে গর্তের ভেতর ছিল, তার পাশে ছিল একটা অস্ত্র। মিলিটারি জিপ আসতে দেখে আবু ভাই হয়তো দ্রুত গর্তে নামতে গিয়ে হাত থেকে অস্ত্র পড়ে গেছে। ইশারায় আমাকে বলল অস্ত্রটা তাকে দিতে। পাকিস্তানি সৈন্যরা কিছু দেখেনি। তাদের দিকে তাকিয়েছিলাম। আবু ভাই আবার ইশারা করল। ভয় পেয়েছিলাম কি না, জানি না। ভয় পাওয়ার কথা নয়। আবু ভাইকে অস্ত্রটা দিলাম না। দৌড় দিয়ে বাগান ছেড়ে চলে গেলাম।

বাবা আবার চুপ হয়ে গেছেন। জিগ্যেস করলাম, তারপর?

আবু ভাই গর্ত থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিল। শুকনো পাতার খসখস শব্দ শুনে পাকিস্তানি সৈন্য দুজন আচমকা ঘুরে দাঁড়াল। তারা দেখল, আবু ভাই মাটিতে পড়ে থাকা অস্ত্রের দিকে হাত বাড়াচ্ছে। পাকিস্তানি সৈন্যরা ব্রাশফায়ার করল। আবু ভাই মারা গেল।

নদীর পানিতে চাঁদ নেই। মেঘে ঢাকা পড়ে গেছে। বাবা কথা বলছেন না। কী বলব, বুঝতে পারছি না।

বাবা বললেন, অনন্যা! সেদিন আবু ভাইকে অস্ত্রটা দিতে পারলে ঘটনা অন্য রকম হতো।

এই প্রথম বাবা আমাকে আমার নিজ নামে ডাকলেন, অনন্যা।

বললাম, তুমি তখন অনেক ছোট ছিলে। পাকিস্তানি আর্মি দেখে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক।

বাবা দৃঢ় গলায় বললেন, আমি আমার ভুল শোধরাতে চাই।

চমকে উঠে বললাম, কীভাবে?

আবু ভাইয়ের হাতে অস্ত্রটা তুলে দেব।

বাবার হাত ধরে টেনে তুলতে গেলাম। তুলতে পারলাম না। বললাম, ঘরে চলো, বাবা। ওষুধ দিচ্ছি। খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বে।

মা গো, এটা সম্ভব। অ্যান্টিম্যাটার দিয়ে সম্ভব। তুই আমাকে বিশ্বাস কর।

কীভাবে সম্ভব, বাবা?

আমাদের চারপাশে যা দেখি, তার সবকিছু ইলেকট্রন, প্রোটন আর নিউট্রন দিয়ে তৈরি। আমাদের সামনে আমরা যা দেখি—সবকিছুর অ্যান্টি আছে। মানে তার বিপরীত কিছু। সে রকম অ্যান্টিপ্রোটন আর অ্যান্টিনিউট্রন আছে। ইলেকট্রনের যে অ্যান্টিম্যাটার সেটা হচ্ছে পজিট্রন। একটা প্রোটন আর একটা পজিট্রন দিয়ে তৈরি হয়েছে একটা অ্যান্টিহাইড্রোজেন। সে রকম একটা ইলেকট্রন আর একটা পজিট্রন যখন একবিন্দুতে গিয়ে ধাক্কা খাবে, তখন তারা শক্তি তৈরি করে সময়ের উল্টো দিকে রওনা হবে। কতটা শক্তি তৈরি করে কত সময়ের দূরত্বে যেতে চাই, তা নির্ধারিত হবে আইনস্টাইনের বিখ্যাত E=mc2 সূত্র দিয়ে।

বাবা হাঁপাচ্ছেন। বাবাকে কেমন উদ্‌ভ্রান্তের মতো লাগছে। অস্থির গলায় বাবা বললেন, অ্যান্টিম্যাটার অলৌকিক কিছু নয়। পদার্থের মতোই বাস্তব। এর তিন বৈশিষ্ট্যের সব কটি একসঙ্গে উল্টে দিলেই ম্যাটার আর অ্যান্টিম্যাটারে ইকুয়াল ব্যালান্স পাওয়া যাবে। এগুলো হচ্ছে চার্জ, প্যারিটি আর টাইম। তাহলেই আমি আবু ভাইয়ের কাছে যেতে পারব।

বাবা যে ঘরটাতে কাজ করেন, সেটা বাড়ির আঙিনায়। মাটির মেঝে। চারপাশ বন্ধ। ঘরে সব সময় এসি চলে বলে ঘর হয়ে থাকে হিমশীতল।

একদিন আমি বাবার এই ঘরে ঢুকেছিলাম। ঘরের মাঝখানে ইস্পাতের তৈরি লম্বা চৌকো বাক্স। সেই বাক্সের ভেতর ঢুকে বাবা কাজ করেন। খাওয়ার সময় হলে বাবাকে ডাকতে যাই। অন্য সময় বাবা ওখানেই থাকেন।

আজ আমার জন্মদিন। সকালে বাবা এসে ঘুম থেকে ডেকে তুলেছেন আমাকে। বাবার হাতে এক থোকা মাধবীলতা ফুল। লাল পাড়ের সবুজ শাড়ি। বাবা বললেন, হ্যাপি বার্থ ডে, মামণি। ওঠ, নাশতা সেরে শাড়িটা পর। তোকে নিয়ে এক জায়গায় যাব। সেখানে তোর জন্য বার্থডে গিফট আছে।

ভীষণ খুশি হয়েছি। বাবাকে আনন্দিত দেখাতে। অত্যন্ত আনন্দিত।

বাবার সঙ্গে যেখানে এলাম, সেখানে আগেও এসেছি। আমাদের গ্রাম। এখন অবশ্য গ্রামের চেহারায় শহুরে জৌলুশের ছোঁয়া। দাদু বেঁচে থাকা পর্যন্ত নিয়মিত আসতাম।

বাবা আমাকে এক বাড়িতে নিয়ে গেলেন। বেশ সুন্দর গোছানো ছিমছাম বাড়ি। আমার ভালো লাগল। আমার জন্য সেখানে গভীর বিস্ময় অপেক্ষা করছিল। বেশ বয়স্ক একজন মানুষ এলেন। বাবাকে দেখে আবেগে জড়িয়ে ধরলেন। তিনি কাঁদছেন।

চোখ মুছে বললেন, তোমার বাবার জন্য বেঁচে আছি।

স্পষ্ট গলায় জিগ্যেস করলাম, বাবা আপনাকে কীভাবে বাঁচিয়েছেন?

আমি ছিলাম মুক্তিযোদ্ধা। একদিন দল বেঁধে ক্যাম্পে ফিরছিলাম। হঠাৎ পাকিস্তানি মিলিটারির জিপ দেখে যে যেদিকে পারল ছুটে চলে গিয়ে শেল্টার নিল। আমি ছুটতে পারিনি। পাশে লম্বা গর্ত ছিল। তার ভেতর শুয়ে পড়লাম। কিন্তু হাতের স্টেনগান ছিটকে পড়ে গেল। দুজন পাকিস্তানি সৈন্য জিপ থেকে নেমে সিগারেট জ্বালাল। আমার দিকে পেছন ফিরে দাঁড়িয়েছিল বলে তারা আমাকে দেখেনি।

আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে এসেছে। আমি প্রায় দম বন্ধ করে চুপ হয়ে আছি। তিনি বললেন, পাশে দেখি তোমার বাবা। তাকে ইশারা করলাম স্টেনগানটা এগিয়ে দেওয়ার জন্য। তোমার বাবা আমার হাতে স্টেনগান দিয়ে দৌড় দিল বাগানের ভেতরের দিকে। কত ছোট ছিল সে তখন। আমি স্টেনগান দিয়ে ফায়ার করলাম। দুজন পাকিস্তানি সৈন্য সেখানেই মারা পড়েছে। গর্ত থেকে বের হয়ে ছুটে চলে গেলাম বাগানের উল্টো দিকে, অনেক দূরে।

আটকে রাখা দম ছেড়ে দিয়ে বললাম, আপনার নাম কী?

আবু মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। সবাই আবু বলেই ডাকে।