নিচের পাতাটা মান গ্রহের বিদ্যালয়পাঠ্য একটা ইতিহাস বই থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে ব্রুন নামের এক মহাবিজ্ঞানীর কথা বলা হয়েছে (উল্লেখ্য, ওখানে সব শব্দই ‘ন’ দিয়ে শেষ হয়েছে, যেমন ওখানে কেউ ‘চাঁদ’ বলে না, বলে ‘চাঁদন’, ‘ভাত’কে বলে ‘ভাতন’ ইত্যাদি)।
এই সেই পাতা:
ব্রুন, আবিষ্কারক, বয়স দুই হাজার বছর, বর্তমানে একটি ফ্রিজে হিমায়িত হয়ে আছেন। আজ থেকে ৪৯ হাজার শতাব্দী পর জেগে উঠে আবার নতুন জীবন শুরু করবেন তিনি।
ডায়াপার পরা শিশু অবস্থাতেই সে রংধনু বানানোর যন্ত্র আবিষ্কার করে। যন্ত্রটা সাবান আর পানিতেই চলে, কিন্তু সামান্য বুদ্বুদের বদলে ওটা থেকে বের হয় নানান রকম রংধনু, আকাশের এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত মেলে দেওয়া যায় সেই সব রংধনু আর কাপড় শুকানোর দড়ি থেকে শুরু করে নানা কাজে ব্যবহার করা যায়।
কিন্ডারগার্টেনে পড়ার সময় দুটি লাঠি দিয়ে খেলতে খেলতে সে পানিতে গর্ত করার উপযোগী এক তুরপুন আবিষ্কার করে। জেলেদের মধ্যে দারুণ কদর লাভ করে এই আবিষ্কার। মাছ যখন টোপ গেলে না, সেই অবসরটুকু কাটানোর কাজে তারা এটাকে ব্যবহার করে।
প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় সে আবিষ্কার করে নাশপাতিকে কাতুকুতু দেওয়ার যন্ত্র, বরফ ভাজার তাওয়া, মেঘ মাপার দাড়িপাল্লা, ইট-পাথরের সঙ্গে কথা বলার টেলিফোন, সুরেলা হাতুড়ি, পেরেক গাঁথার সময় যেটা চমত্কার সব গান করে এবং আরও অনেক কিছু।
মোট কথা, তার সব আবিষ্কারের ফিরিস্তি দিতে গেলে অনেক সময় লেগে যাবে। আমরা শুধু তার সবচেয়ে বিখ্যাত আবিষ্কারটার কথা বলব: মিথ্যা বলা যন্ত্র, যেটা আবার টোকেনে চলে।
এক টোকেনের বিনিময়ে আপনি শুনতে পাবেন চৌদ্দ হাজার মিথ্যা।
দুনিয়ার সব মিথ্যাকে ধারণ করে আছে এই যন্ত্র: যত মিথ্যা বলা হয়েছে, যতগুলোর কথা লোকে এখন ভাবছে আর পরে যত সব মিথ্যা আবিষ্কার হবে—সব।
যন্ত্রটা যখন সম্ভাব্য সব মিথ্যা বলে ফেলবে, লোক তখন শুধু সত্য কথা বলতেই বাধ্য হবে।
আর এই কারণে মান গ্রহ সত্য গ্রহ নামেও পরিচিত।