রোবট ভূত

ক্লাস পুরোপুরি নিঃশব্দ। এমন সময় সেই লম্বা বেতটা নিয়ে বাংলা স্যার আবার বললেন, ‘যারা হোমওয়ার্ক আনোনি, তাদের আজ পিটিয়ে সোজা করব।’

তখন ক্লাসের সবাই হাত পেতে বসল। স্যার বেত মেরে গেলেন একে একে সবার হাতে। কিন্তু এক ছেলের হাতে মারতে গিয়ে চমকে উঠলেন বাংলা স্যার। ছেলেটার হাত ক্ষত-বিক্ষত। স্যার জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুই কে?’

‘স্যার, চিনতে পারলেন না আমাকে?’ ছেলেটা বলল, ‘আমি ইউসুফ, গতকাল কলেরায় যে মারা গেলাম।’

স্যার তো ভয়ে অজ্ঞান। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হলো। ওদিকে পুরো ক্লাস হাসতে লাগল। তারপর একজন বলল, ‘আসিফ, তুই তো ইউসুফের রোবটটা ফ্যান্টাস্টিক বানিয়েছিস। স্যার তো ভয়ে শেষ!’

আসিফ বলল, ‘এখন স্যারের বেত আর খেতে হবে না মনে হয়।’

এক মাস পর সেই স্যার এলাকা ছেড়ে চলে যান। তারপর বাংলা পড়ানোর দায়িত্ব পড়েছে মজিদ স্যারের ওপর। মজিদ স্যার আবার অনেক ভালো। বকা দেন না, মারেন না। আর ইউসুফের রোবটটা এখনো স্কুলে আসে। ওরা ইউসুফের সঙ্গে যেমন গল্প করত, ইউসুফের রোবটের সঙ্গেও তেমন গল্প করে।

লেখক: সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা