আর্গন নামটি কীভাবে পেলাম?

নতুন কিছু আলাদাভাবে চিহ্নিত করাসহ নানা কারণেই নাম দিতে হয়। বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কথাটি সত্য। এসব নামের পেছনেও লুকিয়ে থাকে মজার ইতিহাস। ৱ আর্গনের নামকরণের ইতিহাস জানাচ্ছেন বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার

বায়ুমণ্ডল নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আর্গন গ্যাস প্রথম শনাক্ত করতে পেরেছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী হেনরি ক্যাভেন্ডিশ। সেটা ১৭৮৫ সাল। গ্যাসটি নিয়ে তিনি বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। কারণ, গ্যাসটিকে কোনোভাবেই অন্য কিছুর সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটাতে পারেননি তিনি।

এর ১০০ বছর পর ১৮৯৪ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন স্ট্রুট (লর্ড র্যালে) এবং স্যার উইলিয়াম রামজে গ্যাসটি আবিষ্কার করেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, শুরুতে তাঁরা আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেও হঠাত্ চুপ মেরে যান। পরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিযোগিতায় পুরস্কারের লোভে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তাঁরা। প্রতিযোগিতার শর্ত ছিল বাতাস সম্পর্কে নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হবে। কিন্তু কোনোভাবেই আবিষ্কারের খবরটি বছর শেষ হওয়ার আগে প্রকাশ করা যাবে না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্ট্রুট আর রামজের ভাগ্যেই জুটেছিল প্রথম পুরস্কারটি, যার পরিমাণ ছিল ১০ হাজার মার্কিন ডলার (বর্তমানে প্রায় দেড় লাখ ডলারের সমতুল্য)।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন আর অক্সিজেনের পর তৃতীয় প্রাচুর্যময় গ্যাস এটি। পরীক্ষায় স্ট্রুট আর রামজে দেখলেন, এই গ্যাসটি বর্ণ ও গন্ধহীন এবং রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়। সে কারণে মৌলটির নাম আর্গন (Argon)) রাখার প্রস্তাব করেছিলেন রামজে। গ্রিক ভাষায় আর্গস (argos) অর্থ নিষ্ক্রিয় বা অলস। এ ছাড়া এ মৌলের প্রতীক শুরুতে A রাখা হয়েছিল। পরে তা পাল্টে রাখা হয় Ar।