পটাশিয়াম শব্দটা যেভাবে পেলাম

নতুন কিছু আলাদাভাবে চিহ্নিত করাসহ নানা কারণেই নাম দিতে হয়। বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কথাটি সত্য। এসব নামের পেছনেও লুকিয়ে থাকে মজার ইতিহাস। ৱ আর্গনের নামকরণের ইতিহাস জানাচ্ছেন বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার

পৃথিবীতে প্রাপ্ত মৌলগুলোর মধ্যে পটাশিয়ামের অবস্থান সপ্তম। মানুষের জন্য অন্যতম উপকারী আর গুরুত্বপূর্ণ মৌল এটি, যা ছাড়া মানবজাতি বেঁচে থাকতে পারত না। আবার এর অতিরিক্ত ব্যবহারেও মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। প্রাচীনকাল থেকেই পটাশিয়ামের বিভিন্ন যৌগ সম্পর্কে জানা ছিল মানুষের। কাপড় ধোওয়ার জন্য মিসরে এসব মৌলের কার্বনেট যৌগের ব্যবহার ছিল। এখনো সাবান তৈরিতে পটাশিয়ামের ব্যবহার হয়। এ ছাড়া অনেক দেশেই খাবারের স্বাদ বাড়াতে, মাংস সংরক্ষণ করতে এটি ব্যবহার করা হতো।

বর্তমানে কৃষিতে সার হিসেবে ব্যবহূত হয় পটাশ বা পটাশিয়াম ক্লোরাইড। লবণ হিসেবে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের কার্বনেটের ব্যবহার হতো একসময়। প্রথমটি খনি থেকে তোলা হতো আর দ্বিতীয়টি তৈরি করা হতো ছাই থেকে। পটাশিয়ামের কার্বনেট উদ্ভিজ ক্ষার নামে পরিচিত ছিল, সংস্কৃত ভাষায় এটি যবক্ষার (পটাশিয়াম নাইট্রেটকে বলা হতো সোরা)। এদিকে পটাশিয়ামের কার্বনেটকে ইংরেজিতে বলা হতো পটাশ (Potash)। সেখান থেকেই মৌলটির নাম হয়েছে পটাশিয়াম (Potassium)।

মৌলটির রাসায়নিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হয় ক। এটি এসেছে লাতিন শব্দ ক্যালিয়াম (কধষরঁস) থেকে, যার অর্থও পটাশ। লাতিনে এই ক্যালিয়াম এসেছে আরবি শব্দ কালি (Qali) থেকে, যার অর্থ অ্যালকালি (Alkali) বা ক্ষার।