এনার্জি শব্দটা বিজ্ঞানে যেভাবে এল

বিজ্ঞানে বহুল ব্যবহূত ও গুরুত্বপূর্ণ শব্দ এনার্জি বা শক্তি। তাতে মনে হতে পারে যে এই শব্দটি বোধ হয় প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই শব্দটির বয়স মাত্র ২০০ বছর।

পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় এনার্জি বা শক্তির অর্থ কাজ করার সামর্থ্য। কাজ করা মানে শক্তিকে এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় রূপান্তর করা। যে বস্তু কাজ করতে সমর্থ তার মধ্যেই শক্তি থাকে। আমরা যখন বলি কোনো বস্তুর মধ্যে শক্তি নিহিত আছে, তখন বোঝা যায়, বস্তুটি অন্য কিছুর ওপর বল প্রয়োগ করতে পারে এবং তার ওপর কাজ সম্পাদন করতে পারে।

১৭ শতকে শক্তিবিষয়ক একটি ধারণা বোঝাতে জার্মান বিজ্ঞানী গটফ্রিড লিবনিজ ল্যাটিন শব্দ ভিস ভিভা ব্যবহার করেছিলেন। এর অর্থ জীবন্ত বল। তাঁর বর্ণিত এই ধারণাটির সঙ্গে আধুনিক গতিশক্তির সাদৃশ্য আছে। এদিকে ১৮০৭ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞান টমাস ইয়ং এই ধারণাটিকে বোঝাতে ভিস ভিভার পরিবর্তে এনার্জি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। গ্রিক শব্দ এনার্জিয়া (Energeia) থেকে ধার করেছিলেন ইয়ং, যার অর্থ ক্রিয়াকলাপ বা ভেতরে কাজ করা।

গতির কারণে কাজ সম্পাদিত হয়। তাই গতিই নিশ্চিতভাবেই একপ্রকার শক্তি। এই শক্তিটিকে বোঝাতে ১৮৫৬ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী লর্ড কেলভিন (উইলিয়াম থমসন) কাইনেটিক এনার্জি (Kinetic energy) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই কাইনেটিক শব্দটিও এসেছে গ্রিক কাইনেসিস (Kinesis) থেকে, গ্রিক ভাষায় যার অর্থ গতি।