শব্দকাহন
কোয়ার্ক শব্দটি যেভাবে পেলাম
নতুন কিছু আলাদাভাবে চিহ্নিত করাসহ নানা কারণেই নাম দিতে হয়। বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কথাটি সত্য। এসব নামের পেছনেও লুকিয়ে থাকে মজার ইতিহাস। চলুন, আজ জেনে নিই কোয়ার্ক শব্দটি কীভাবে এল
একসময় পরমাণুর প্রোটন ও নিউট্রনকে অবিভাজ্য ভাবা হতো। কিন্তু ১৯৬৪ সালে বিজ্ঞানী মারি গেলমান ও জর্জ ওয়েন আলাদাভাবে কোয়ার্ক মডেলের প্রস্তাব করেন। এই মডেল অনুযায়ী কোয়ার্ক পদার্থের এক ধরনের মৌলিক কণা। তবে এই মৌলিক কণার নাম কী হবে, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন গেলমান। কোনো নামই তাঁর পছন্দ হচ্ছিল না। হঠাৎ ইউলিসিসখ্যাত লেখক জেমস জয়েসের ফিনিনেগাসন ওয়েক বইটিতে একটি ছড়ার লাইনে তাঁর চোখ আটকে গেল। ছড়াটির একটি লাইন ছিল: ‘থ্রি কোয়ার্কস ফর মাস্টার্স মার্ক!’ ব্যস, এখান থেকেই পরমাণু মৌল কণার নাম কোয়ার্ক (Quark) শব্দটি বেছে নিলেন গেলমান।
পরে তাঁর দ্য কোয়ার্ক অ্যান্ড দ্য জাগুয়ার বইটিতে কণাটির নাম এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আরও বিস্তারিত লেখেন গেলমান। এদিকে বিজ্ঞানী ওয়েন এই কণার নাম প্রস্তাব করেছিলেন এইস (Ace) বা তাসের টেক্কা। কিন্তু তাঁদের কোয়ার্ক মডেল অন্য বিজ্ঞানীদের কাছে ব্যাপকভাবে গৃহীত হওয়ার পর কোয়ার্ক নামটিই জনপ্রিয় হয়ে যায়।
ছয় ধরনের কোয়ার্ক কণার অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এদের নাম: আপ কোয়ার্ক, ডাউন কোয়ার্ক, চার্ম কোয়ার্ক, স্ট্রেঞ্জ কোয়ার্ক, টম কোয়ার্ক ও বটম কোয়ার্ক।
ছয় ধরনের কোয়ার্ক কণার অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এদের নাম: আপ কোয়ার্ক, ডাউন কোয়ার্ক, চার্ম কোয়ার্ক, স্ট্রেঞ্জ কোয়ার্ক, টম কোয়ার্ক ও বটম কোয়ার্ক। প্রোটন ও নিউট্রনের প্রতিটিই তিনটি কোয়ার্ক কণা দিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে দুটি আপ ও একটি ডাউন কোয়ার্ক মিলে তৈরি হয় প্রোটন আর দুটি ডাউন ও একটি আপ কোয়ার্ক মিলে তৈরি হয় নিউট্রন।