লিথিয়াম শব্দটি যেভাবে পেলাম

নতুন কিছু আলাদাভাবে চিহ্নিত করাসহ নানা কারণেই নাম দিতে হয়। বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কথাটি সত্য। এসব নামের পেছনেও লুকিয়ে থাকে মজার ইতিহাস। আজ দেখা যাক, লিথিয়াম শব্দটি কী করে আমাদের হলো?

লিথিয়াম ব্যাটারিছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে স্মার্টফোন থেকে শুরু করে অনেক ইলেট্রনিক যন্ত্রের ব্যাটারি বানাতে লিথিয়ামের বহুল ব্যবহার দেখা যায়। মহাবিস্ফোরণের সময় প্রথমত তিনটি মৌল তৈরি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। সেগুলো হচ্ছে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম আর লিথিয়াম। সাধারণ তাপমাত্রায় নরম ও রুপালি সাদা এ ধাতুটিই সবচেয়ে হালকা ধাতু। সাধারণ তাপমাত্রায় এটি এতই নরম যে সাধারণ একটি চাকু দিয়েই এই ধাতু কেটে ফেলা যাবে। রাসায়নিকভাবে অতি বিক্রিয়াশীল হওয়ায় প্রকৃতিতে এ মৌলটি মুক্তভাবে পাওয়া যায় না।

১৮১৭ সালে জোহান এ আরভেনসন পাথরের মতো দেখতে পেটালাইট আকরিক নিয়ে গবেষণার সময় এ মৌলটি আবিষ্কার করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে গ্রিক শব্দ ধার করে এর নাম দেওয়া হয়েছিল লিথিয়াম (Lithium)। বলে রাখা ভাল, গ্রিক শব্দ লিথোস (lithos) অর্থ পাথর।