মানুষবাহী পুনর্ব্যবহৃত রকেট উৎক্ষেপণ

২৩ এপ্রিল, ২০২১। শুক্রবার। ঘড়িতে দেখা যাচ্ছে ৫:৪৯। ভোর হবে হবে করছে।

ঠিক এরকম সময় ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হলো প্রথম মানুষবাহী পুনর্ব্যাবহৃত রকেট। বলা বাহুল্য, পেছনের প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে স্পেসএক্স।

স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট কাঁধে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে ক্রু-ড্রাগন মডিউল, এনডেভার। তাতে অবস্থান করছেন নভোচারীরা। লক্ষ্য: ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (ISS)। এই একই রকেট গত বছরের নভেম্বরে ক্রু-১ মিশনের নভোচারীদেরও নিয়ে গেছে এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। আবার, এই এনডেভার ক্রু-ড্রাগন মডিউলটিও গত মে-তে ডেমো-২ টেস্ট ফ্লাইটের সময় দুজন নভোচারীকে পৌঁছে দিয়ে এসেছে একই জায়গায়।

বর্তমান মিশনটির নভোচারীরা হচ্ছেন নাসার শেন কিমব্রো ও মেগান ম্যাকআর্থার, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইসা) টমাস পেসকে এবং জাপান অ্যারোস্পেস এন্ড এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জাক্সা) আকিহিকো হোশিদে। ২৪ ঘণ্টার যাত্রা শেষে তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাবেন। সেখানে ছয় মাস থাকবেন তাঁরা। সঙ্গে যাচ্ছে দুইশটির বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণার সরঞ্জাম। মূল উদ্দেশ্য, মানব দেহকোষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করে দেখা।

সেই ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে স্পেসএক্স প্রথমবারের মতো একটি ফ্যালকন ৯ রকেট পৃথিবীতে সফলভাবে অবতরণ করিয়েছিল পুনর্ব্যবহারের জন্য। এরপর প্রায় ৮০টির মতো রকেট তারা সফলভাবে অবতরণ করিয়েছে। এবারে সেটা নিজের লক্ষ্যের দিকে আরেকধাপ এগিয়ে গেল। লক্ষ্য আর কিছু না, যথাসম্ভব কম খরচে, সফলভাবে মহাকাশযাত্রা। আর, সে লক্ষ্যে এবারে প্রথমবারের মতো আগে ব্যবহৃত রকেটে করে মহাকাশের উদ্দেশ্যে ছুটছেন নভোচারীরা।

নাসা এবং স্পেসএক্স- দুটি প্রতিষ্ঠান-ই আশা করছে, মানুষবাহী পুনর্ব্যবহৃত রকেট ভবিষ্যতে মহাকাশ যাত্রার খরচ কমিয়ে আনায় বড় ভূমিকা রাখবে এবং মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সূত্র : ওয়্যার্ড, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক