মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাঁদের কক্ষপথে একটি নতুন মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। এ মহাকাশ স্টেশনের নাম রাখা হবে ‘লুনার গেটওয়ে’। ভবিষ্যতে মানুষের চাঁদে বসবাস, মহাকাশের গভীরে অনুসন্ধান ও মঙ্গল বা অন্য কোনো গ্রহে সহজে যাওয়ার জন্য এ প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
লুনার গেটওয়ে হবে একটি বহুমুখী মহাকাশ স্টেশন। এটি থাকবে চাঁদের কক্ষপথে। চন্দ্রপৃষ্ঠে অভিযানের জন্য মঞ্চ হিসাবে কাজ করবে এই মহাকাশ স্টেশন।
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন জানিয়েছেন, ‘লুনার গেটওয়ে হবে চাঁদ ও মহাকাশ গবেষণা প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দু। হয়তো ভবিষ্যতে এই স্টেশন ব্যবহার করে যাওয়া যাবে মঙ্গল গ্রহেও।’
তবে এই মহাকাশ স্টেশন নাসা একা তৈরি করবে না। এটি হবে একটা বহুজাতিক সহযোগিতামূলক প্রকল্প। নাসার সঙ্গে আরও থাকবে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইসা), জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা), কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি (সিএসএ) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টার (এমবিআরএসসি)। ভবিষ্যতে চাঁদের কক্ষপথে নভোচারী ও এই লুনার গেটওয়ে পাঠাতে ব্যবহৃত হবে নাসার ওরিয়ন মহাকাশযান ও এসএলএস (স্পেস লঞ্চ সিস্টেম) রকেট। মহাকাশ স্টেশনটি ২০৩০ সালের মধ্যে মহাকাশে পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে রাশিয়াও মহাকাশ স্টেশন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। তারাও হয়তো ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে এটি পাঠাতে পারবে। বর্তমানে সবাই মহাকাশ স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করছে, কারণ ২০৩০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ধ্বংস করা হবে। ইতিমধ্যে স্পেস এক্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এটি ধ্বংস করার। পরবর্তী মহাকাশ কার্যক্রম চালিয়ে নিতেই সে জন্য এসব পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।