বছরের সবচেয়ে বড় উজ্জ্বল পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যাবে আজ
রাতের আকাশ যারা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে এক দারুণ চমক! ৫ নভেম্বর আকাশে দেখা যাবে বছরের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে উজ্জ্বল পূর্ণিমা চাঁদ! এই বিশেষ চাঁদকে বলা হয় বিভার মুন। ২০২৫ সালের টানা তিনটি সুপারমুনের মধ্যে এটি দ্বিতীয়টি।
বাংলাদেশ থেকে কখন দেখা যাবে
বাংলাদেশ থেকেও এই বিশাল পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যাবে। লাইভ সায়েন্সের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল ৫ নভেম্বর, বুধবার বিকেল ৬টা ১৯ মিনিটে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে ভালোভাবে এই চাঁদ দেখা যাবে। তবে ৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার উজ্জ্বল এবং প্রায় পূর্ণ চাঁদ দেখা যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ণ চাঁদ ৫ নভেম্বর দেখা গেলেও সবচেয়ে দারুণ দৃশ্য দেখা যাবে ৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার। পূর্ণিমার চাঁদ সাধারণত সূর্য ডোবার ঠিক পরেই সবচেয়ে সুন্দর ও বিশাল দেখায়। আর সুপারমুনের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই! এই সময়েই চাঁদের আসল রূপটি দেখা যায়। তাই পূর্ণ উজ্জ্বল পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে চাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও আকাশের দিকে চোখ রাখতে পারেন।
৫ নভেম্বর, বুধবার বিকেল ৬টা ১৯ মিনিটে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে ভালোভাবে এই চাঁদ দেখা যাবে। তবে ৬ নভেম্বর প্রায় পূর্ণ চাঁদ দেখা যাবে।
সুপারমুন কী, এটা এত বড় কেন
চাঁদ যখন পৃথিবী চারপাশে ঘোরে, তখন তার কক্ষপথটা গোল না হয়ে বরং একটু ডিমের মতো উপবৃত্তাকার থাকে। ফলে চাঁদ কখনো পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, আবার কখনো চলে যায় অনেক দূরে। যখন পূর্ণিমা হয় এবং চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসে, তখনই সেই চাঁদকে বলা হয় ‘সুপারমুন’।
২০২৫ সালে সুপারমুন আমাদের থেকে মাত্র ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮০ কিলোমিটার দূরে থাকবে। এ বছরের মধ্যে এটিই চাঁদের সবচেয়ে কাছে আসা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য মতে, সুপারমুনের সময় চাঁদকে সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখায়!
এই চাঁদের নাম কেন ‘বিভার মুন’
নামটা অদ্ভুত, তাই না? কারণ, উত্তর আমেরিকা অঞ্চলে সাধারণত নভেম্বরের পূর্ণিমা চাঁদকে এই নামে ডাকা হয়। নভেম্বর মাসে আমেরিকা ও কানাডার উত্তরাঞ্চলে বিভার নামে নিশাচর প্রাণীরা তাদের শীতকালীন বাঁধ তৈরির কাজে খুব ব্যস্ত থাকে। এরা পূর্ণিমার আলো ব্যবহার করে এই কাজগুলো করে। তাই এই চাঁদের নাম হয়েছে ‘বিভার মুন’। তবে এর আরও অনেক নাম আছে। যেমন, ফ্রস্ট মুন বা বরফের চাঁদ, ট্রেডিং মুন বা হিমায়িত চাঁদ।
চাঁদ দেখার সবচেয়ে ভালো উপায়
সুপারমুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন নেই। খালি চোখেই এর বিশাল আকার উপভোগ করা যায়। তবে হাতে যদি দূরবীন বা বিনোকুলার থাকে, তাহলে চন্দ্রপৃষ্ঠের গর্তগুলোও বেশ ভালোভাবে দেখা যাবে। ছোট টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও দেখা যাবে যাদের গায়ের গর্তগুলো।