তারহীন ইন্টারনেটের জন্য কক্ষপথে স্টারলিংকের আরও ৫১ স্যাটেলাইট

SpaceX
বিশ্বজুড়ে তারহীন ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লক্ষে পৃথিবীর কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করছে স্পেসএক্স। উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে স্টারলিংক।

পৃথিবীর কক্ষপথে নতুন আরও ৫১টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে স্পেসএক্স। স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করে এ স্যাটেলাইটগুলো গত ১০ মে, সোমবার মহাকাশে পাঠানো হয়। স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৯মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় রকেটটি।

উৎক্ষেপণের প্রায় সাড়ে ১৭ মিনিট পরে রকেটের ওপরের অংশটি পৃথিবীর নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছে স্যাটেলাইটগুলো স্থাপন করে।

বিশ্বজুড়ে তারহীন ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লক্ষে পৃথিবীর কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করছে স্পেসএক্স। উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে স্টারলিংক। প্রচলিত পদ্ধতিতে ইন্টারনেট সংযোগ পেতে হলে বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হতে হয়। ওয়াইফাই কিংবা মোবাইল ডাটার মাধ্যমে তার ছাড়া এই ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করা যায়। তবে সে জন্য অপটিক্যাল ফাইবার নামের বিশেষ ধরনের তারের নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে হয় ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে। স্টারলিংক প্রকল্প পুরোপুরি কার্যকর হলে অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্কে যুক্ত না থেকেও ব্যবহার করা যাবে ইন্টারনেট। ফলে দুর্গম মরূ, পাহাড় বা গভীর সমুদ্রের মতো অঞ্চল থেকেও ব্যবহার করা যাবে উচ্চগতি ও লো-ল্যাটেন্সির, অর্থাৎ বাফারহীন ইন্টারনেট। প্রয়োজন হবে শুধু একটি অ্যান্টেনা। এ অ্যান্টেনা সরাসরি কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে ডাটা আদান-প্রদানের কাজ করবে।

এখন পর্যন্ত ৫৩টি দেশ থেকে স্টারলিংকের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। বাংলাদেশে সেবাটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আগামীতে বাংলাদেশও এর অন্তর্ভূক্ত হতে পারে। এমনটাই জানা গেছে স্টারলিংকের ওয়েবসাইট থেকে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৩০০টিরও বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে পাঠিয়েছে স্পেসএক্স। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে স্পেসএক্স আরও ৩০ হাজার স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্য আবেদন করেছে।

লেখক: শিক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা

সূত্র: স্পেস ডট কম, স্টারলিংক, উইকিপিডিয়া