চাঁদে অনুসন্ধান

প্রাচীনকাল থেকে মানুষ রাতের আকাশ দেখে মুগ্ধ হয়েছে। খোঁজার চেষ্টা করেছে আকাশ ও পৃথিবীর সম্পর্ক। পৃথিবী ও আকাশ নামে এই বইয়ে সেই সম্পর্ক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছোটদের জন্য, সহজ ভাষায়। বইটি প্রকাশিত হয়েছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘বিদেশি ভাষায় সাহিত্য প্রকাশালয়’ থেকে। আলেকজান্ডার ভলকভের লেখা বইটি রুশ থেকে অনুবাদ করেছেন সমর সেন। বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য বইটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে…

অভিযানের সবার জন্য ক্যাপ্টেন কড়া একটা সময়সূচী ঠিক করে দিয়েছেন। ১৬ ঘণ্টা জেগে থাকতে হবে, আর ঘুম ৮ ঘণ্টা।

শুরু হলো চাঁদে আমাদের অনুসন্ধান। ভূতত্ত্ববিদরা লাগলেন খনিজ পদার্থের খোঁজে, নক্ষত্র আর পৃথিবী নিয়ে পড়লেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর ক্যাপ্টেন নিজের লোকদের একজনকে নিয়ে গভীর খাদ আর আগ্নেয়মুখ বিবরে দুঃসাধ্য কয়েকটা অবতরণ সারলেন।

১৯৪৮ সালে সোভিয়েত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইউ.লিপ্‌স্কি আবিষ্কার করেন যে চাঁদে আবহমণ্ডল বর্তমান। তাঁর হিসেবে, পৃথিবীর আবহমণ্ডলের চেয়ে এটা প্রায় দুই হাজার গুণ অনিবিড়। অত্যন্ত সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতির সাহায্যে এমন কি এত বিচ্ছুরিত গ্যাসও ধরা সম্ভব।

কিন্তু চাঁদে গ্যাসের আস্তানা কোথায়? এক গেলাস পানিতে কয়েক বিন্দু পারা (পারদ) ফেললে পারাগুলো সঙ্গে সঙ্গে গেলাসের তলায় চলে যাবে, কেননা পারা পানির চেয়ে ভারি।

গ্যাসগুলোরও যাওয়ার কথা চাঁদের সবচেয়ে নিচু ভাগে অর্থাৎ খাদ আর আগ্নেয়গিরির মুখবিবরে। ক্যাপ্টেন বের করলেন যে গভীর ফাটলগুলোতে সত্যি সত্যি গ্যাস আছে।

প্রতিদিন পৃথিবীতে পাঠানো টেলিগ্রামের একটিতে খবরটা দেওয়া হল।

শেষ হয়ে আসছে চাঁদের দিন। অস্তাচলে চলেছে সূর্য। বাঁকা হয়ে পড়ছে সূর্যরশ্মি, আগেকার মতো আর তাপ জোগায় না। উপত্যকা আর খাদে অন্ধকার হয়ে আসছে, কিন্তু পাহাড়চূড়াগুলো এখনো সূর্যালোকে দীপ্ত।

আকাশে আলম্ব পৃথিবীর কাস্তেটা আকারে বাড়ছে, দীপ্তিটা প্রখরতর।

ক্ষুদে ট্যাঙ্কটা চেপে চাঁদের অনেকখানি ঘুরে বেরিয়েছি। ট্যাঙ্কটা নিশ্ছিদ্র, ভেতরে থেকে মহাশূন্যচারীদের পোষাক বের করে নিই।

প্রাণহীন বিষণ্ণ গম্ভীর একটা জগৎ। অত্যন্ত অনিবিড় আবহমণ্ডলে শব্দ নেই, সবকিছ নিস্তব্ধ, মৃত। ঘোরার সময়ে রেডিও না থাকলে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলা হতো না। কিন্তু যতদূর পর্যন্ত দৃষ্টিটা শুধু ততদূর রেডিও কাজ করে, কেননা চাঁদকে ঘিরে কোনো আয়নলোক নেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মতো যেখানে রেডিও-তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে পৃথিবীতে, খুশিমতো ধরার জন্য।

চাঁদের কাছাকাছি রঙবেরঙের মেঘ নেই—সূর্যোদয়ে গোলাপি বেগুনি, সূর্যাস্তে ঘোর লাল মেঘ নেই। পানি নেই, তাই নেই সবুজ ঘাস আর গাছপালা। বায়ুমণ্ডল নেই বলে দুটো মাত্র রঙের প্রাধান্য—কালো আর কটকটে সাদা। রোদে সবকিছু ঝকঝক করে, ছায়াগুলো মিশমিশে কালো।

আরও পড়ুন
চাঁদের অগোচর দিকে লোক থাকলে একটা জিনিস নিয়ে তাদের অনুশোচনার অন্ত থাকত না। অগণিত নক্ষত্রখচিত কালো আকাশের গায়ে মৃদু নীলাভ আলোয় উজ্জ্বল পূর্ণপৃথিবীর সেই অপরূপ দৃশ্য তারা কখনো দেখেনি।

আর চাঁদের সূর্যালোকিত দিকটায় কী গরম! আমাদের রকেটযানের খোল তাপ পরিবাহিত করে না বলে ক্যাবিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক, কিন্তু বাইরে গেলে কাঠ ফাটা রোদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রকাণ্ড ছাতা নিতে হয় সঙ্গে। পৃথিবীতে এমন ছাতা নিয়ে বেশি দূর যাওয়া চলে না, প্রথম দমকা হাওয়ায় হাত থেকে এক ঝটকায় পড়ে যাবে। চাঁদে কিন্তু অত্যন্ত অনিবিড় আবহমণ্ডলে বলতে গেলে কোনো প্রতিরোধ নেই। তাই হাঁটা বা লাফানোর সময়ে ছাতাটা কোনো অসুবিধের সৃষ্টি করে না। চাঁদের মাটি দিনের বেলায় সেন্টিগ্রেডের একশ ডিগ্রি পর্যন্ত গরম হয়ে ওঠে, আমাদের তাপ-অপরিবাহী সোলসমেত জুতা পরতে হত। দিনের বেলায় চাঁদের বুকে বেড়াতে হলে আগে থেকে সবকিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।

সূর্য অতি মন্থর গতিতে, যেন পা টিপে টিপে নেমে এল দিগন্তে। অস্তাচলে রইল ঘণ্টা কয়েক। সমভূমিতে নামল অন্ধকার, কিন্তু অনেকক্ষণ পর্যন্ত দূর পাহাড়গুলোর চূড়া আলোয় ঝকঝকে হয়ে রইল। সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের চেয়েও বেশি তাদের জৌলুস। অবশেষে তাদের আলোও মিলিয়ে গেল। তাপমাত্রা নামতে নামতে পৌঁছল শূন্যাঙ্কের ১৫০ ডিগ্রি নিচে। আমাদের রকেট শক্তিশালী হিটারে তপ্ত, বাইরে যেতে হলে সঙ্গে সঙ্গে মহাশূন্যচারীর পোষাকের ভেতরকার হিটার চালিয়ে দিতে হতো, না হলে প্রচণ্ড ঠান্ডায় মৃত্যু হতো অবিলম্বে।

এক একটা ঘণ্টা কাটছে আর পৃথিবীর কাস্তে ক্রমশ বড় হয়ে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ একটা বৃত্তে পরিণত হলো। ‘পূর্ণপৃথিবীর’ সময় উপস্থিত। পূর্ণপৃথিবী পূর্ণচন্দ্রের চেয়ে ৮০ গুণ উজ্জ্বল। এত উজ্জ্বল যে পৃথিবী আলোকিত চাঁদের বুকে অনেক দীর্ঘ সফর আমরা চালালাম; শৈত্যের ভয় আমাদের ছিল না।

চাঁদের সঙ্গে পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে

চাঁদের অগোচর দিকে লোক থাকলে একটা জিনিস নিয়ে তাদের অনুশোচনার অন্ত থাকত না। অগণিত নক্ষত্রখচিত কালো আকাশের গায়ে মৃদু নীলাভ আলোয় উজ্জ্বল পূর্ণপৃথিবীর সেই অপরূপ দৃশ্য তারা কখনো দেখেনি।

কল্পবিজ্ঞানের নানা কাহিনীতে বহির্শূন্য থেকে পৃথিবীকে কেমন দেখাবে তার ছবিতে আছে মহাদেশ ও মহাসাগর, গ্লোবে যেমনভাবে আঁকা হয় ঠিক তেমনিভাবে।

কিন্তু স্বচক্ষে দেখলাম ছবিগুলো ঠিক নয়। বহির্শূন্য থেকে পৃথিবীকে দেখায় উজ্জল নীলাভ একটা চাকতির মতো, মহাদেশ ও মহাসাগর চোখে পড়ে না।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী বললেন এর কারণ এই যে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত নিবিড় ও ঘন, তাতে আছে মেঘ আর অগণিত ধূলিকণা। পৃথিবীর বুক থেকে প্রতিফলিত সূর্যরশ্মির অন্তরায় এটা, তাই বহিশূন্য থেকে মহাদেশ বা মহাসাগর দেখা যায় না।

আরও পড়ুন
আসি তাহলে, চাঁদমামা! আবার আসব, তোমার ধূলোভরা সমভূমিতে ঘুরব, উঠব তোমার সব পাহাড়ে, নামব তোমার সবচেয়ে গভীর খাদে।

চাঁদের আকাশে পৃথিবীকে ভালো করে দেখে সহজে বুঝলাম চাঁদের চেহারা কেন বদলে যায়, বুঝলাম তথাকথিত চন্দ্রকলা ব্যাপারটা কেন হয়। পৃথিবীর দিকে ফেরানো চাঁদের মুখ যখন সূর্যালোকিত নয় তখন বলা হয় অমাবস্যার চাঁদ। এ সময়ে প্রতিফলিত সূর্যরশ্মি পাঠায় না বলে চাঁদ আমাদের অগোচর থাকে। তারপর একটা কিনারা ক্রমশ আলো হয়ে ওঠে সূর্যের রশ্মিতে, আকাশে দেখি সরু একটা কাস্তে। সূর্যের দিকে মুখ ঘুরোয় চাঁদ, কাস্তেটা ক্রমশ বাড়ে। চাঁদের যে দিকটার অর্ধেকটা আমরা দেখি সেটা সূর্যালোকিত, আমরা বলি চাঁদের প্রথম পাদ। অবশেষে চাঁদের সব মুখটা আলো হয়ে ওঠে, দর্শন দেয় পূর্ণচন্দ্র। এরপর ক্রমশ সূর্যের দিক থেকে সরে যায় চাঁদের মুখ, তখন আবার নজরে পড়ে তার অর্ধেকটা—শেষ পাদ। তারপর একেবারে অদৃশ্য হয় চাঁদ—তখন আমাদের অগোচর গোলার্ধে সূর্যের আলো। পৃথিবীর লোকের কাছে তখন আবার অমাবস্যা। গোটা একটা চন্দ্র মাস অতিবাহিত, পরের মাসে আবার পুনরাবৃত্তি।

চাঁদ থেকে দেখা পৃথিবীকলা চন্দ্রকলার ঠিক উল্টো। পৃথিবীতে যখন পূর্ণচন্দ্র তখন চাঁদে পৃথিবীর অমাবস্যা আর পৃথিবীতে যখন চাঁদের অমাবস্যা তখন চাঁদে পৃথিবীর শুক্লপক্ষ। চাঁদের রাতের অর্ধেকটা অতিবাহিত হলে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের তোড়জোড় শুরু করল মহাশূন্যপোতের কর্মীরা। রকেটে আনা হল জ্বালানি, ফিরতি পথে অদরকারী জিনিসপত্র রাখা হল অটোরকেটে।

পৃথিবী ছাড়ার চেয়ে চাঁদ থেকে ছাড়াটা রকেটের পক্ষে অনেক সহজ। পৃথিবীতে যা ওজন তার ৬ গুণ কম এখন রকেটটার, তাই চাঁদ ছেড়ে বহির্শূন্যে পৌঁছতে সেকেন্ডে ২.৪ কিলোমিটার মাত্র বেগ দরকার।

সেকেন্ডে দুই কিলোমিটার বেগে যে কামান থেকে গোলা বেরোয় সে কামান চাঁদে কাজ দেবে না একেবারে। গোলাটা চাঁদে না ফিরে চাঁদের উপগ্রহে পরিণত হয়ে ঘুরপাক খাবে।

উত্তরণের মুহূর্ত এসে পড়ল। প্রধান ক্যাবিনে সবাই গিয়ে বসেছি, ক্যাপ্টেন পৃথিবীতে তখন একটা রেডিও-টেলিগ্রাম পাঠাচ্ছেন।

চাঁদ থেকে আমাবস্যার পৃথিবী

বিস্ফোরণের ধাক্কায় কেঁপে কেঁপে উঠছে রকেটের খোল, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে চাঁদের অন্ধকার সমভূমি অনেক পেছনে ফেলে এলাম।

আসি তাহলে, চাঁদমামা! আবার আসব, তোমার ধূলোভরা সমভূমিতে ঘুরব, উঠব তোমার সব পাহাড়ে, নামব তোমার সবচেয়ে গভীর খাদে।

কিন্তু এখন আমরা ঘরমুখো। প্রতি ঘণ্টায় আকারে বেড়ে চলল পৃথিবী কিন্তু সেই সঙ্গে কমতে লাগল তার দীপ্তি।

অবশেষে পৃথিবীর প্রকাণ্ড আয়তনে ঢাকা পড়ল সম্পূর্ণ আকাশ। রকেটের বেগ এর মধ্যে কমানো হয়েছে, তবু এখনো বড্ড বেশি। এত বেগে পৃথিবীতে নামা চলবে না। পৃথিবীতে অবশ্য অদ্ভুত একটা ব্রেক আছে—ঘন বায়ুমণ্ডল—যেটা নেই চাঁদে।

আরও পড়ুন

বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বস্তরে ঢুকল আন্তঃগ্রহ রকেটযান। নামতে লাগল আড়াআড়িভাবে, বায়ুমণ্ডলের প্রতিরোধ শক্তিশালী ব্রেকের মতো কাজ করাতে উচ্চতা হ্রাস হতে লাগল আস্তে আস্তে। যত নিচে নামি তত ঘন বায়ুমণ্ডল, রকেটের বেগ অনেক কমে গেল। সাধারণ বিমানের বেগে যখন এসে পড়ল তখন আমাদের ক্যাপ্টেন কুইবিশেভ সাগরের দিকে রকেটযানকে চালিয়ে সাগরের ঠিক মধ্যখানে নামালেন, প্রকাণ্ড একটা বড়শির টোপের মতো দুলতে লাগল সেটা ঢেউয়ের ওপর।

চাঁদে সেই অদ্ভুত যাত্রা শেষ। কল্পনাযোগে নয়, বাস্তবে এ যাত্রা সারতে পারলে চমৎকার হত, না?

একটা জিনিস সুনিশ্চিত: এরকম যাত্রা চালু হতে বেশি দিন লাগবে না। কঠোর শ্রমে এবং বহির্শূন্যে গবেষণার মাধ্যমে সেদিন এগিয়ে আনার প্রচেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।

১৯৫৫ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজ্ঞান আকাদমীর জ্যোতির্বিজ্ঞানী পরিষদ আন্তঃগ্রহ যাত্রার সম্পর্কে একটি স্থায়ী কমিশন গঠন করে। এতে আছেন পদার্থবিদ্যা, বলবিদ্যা, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং গণিতশাস্ত্রে কার্যরত অগ্রণী সোভিয়েত বিজ্ঞানীরা।

চাঁদ থেকে পৃথিবীর দৃশ্য

কমিশনের প্রধান কাজ হলো একটি মহাশূন্য গবেষণাগারের প্রতিষ্ঠা। এ ধরনের গবেষণাগারের কথা অনেক বছর আগে ভেবেছিলেন কনস্তান্তিন ত্‌সিওলকভস্কি।

মহাশূন্য গবেষণাগারটি হবে পৃথিবীর নতুন একটি উপগ্রহ; পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে পৃথিবীকে এটি প্রদক্ষিণ করবে। এর চারদিকে ফাঁকা মহাশূন্য, বিজ্ঞানীরা এতে থেকে সেই সব পর্যবেক্ষণ চালাবেন যেগুলি পৃথিবী থেকে করা যায় না। বর্তমানে যা তার চেয়ে অনেক ভালো করে চলবে চাঁদ ও অন্যান্য গ্রহের অধ্যয়ন।

দ্যুলোক স্টেশনটি আন্তঃগ্রহ একটি মঞ্চ হয়ে দাঁড়াবে, এখান থেকে চাঁদ শুক্র, মঙ্গল এবং অন্যান্য গ্রহে রকেট ছোঁড়া হবে। পৃথিবী থেকে ছাড়লে যতটা তার অনেক কম বেগ লাগবে এদের।

* ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই মানুষ প্রথম চাঁদের মাটিতে পা দেয়। মার্কিন নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং অ্যাপোলো মিশনে প্রথম চাঁদে নামেন। ১৯৬৯-১৯৭২ সালের মধ্যে মোট ১২ নভোচারী চাঁদে নামেন। ২০২৭ সালে নাসা আর্টেমিস ৩ প্রোগ্রামে আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন ঘোষণা করেছে। এ মিশনে প্রথমবারের মতো চাঁদে নামবে একজন নারী নভোচারী।

(চলবে…)

মূল: আলেকজান্ডার ভলকভ, অনুবাদ: সমর সেন

* পাঠকের সুবিধার্থে বইয়ের মূলভাব ঠিক রেখে বানানরীতির কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।