রুশ-মার্কিন শীতলযুদ্ধ, একজন গ্যাগারিন এবং মহাকাশের হাতছানি

শুরুর আগে

মানুষের মহাকাশযাত্রার ইতিহাসে ইউরি গ্যাগারিন এক অবিস্মরণীয় নাম। প্রথম মানুষ হিসেবে তিনি মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। রুশ এই নভোচারীর মহাকাশযাত্রা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে যে ভয়াবহ প্রতিযোগিতার সূচনা করেছিল, তারই সূত্র ধরে পরের প্রায় এক দশকজুড়ে একের পর এক মহাকাশ অভিযান চালানোর চেষ্টা করতে থাকে দেশ দুটি। এর ফলেই মানুষ চাঁদে পা রাখে, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে বানায় মহাকাশ স্টেশন। এরই উত্তরসূরী আজকের মহাকাশ মিশনগুলো।

ভস্টক ১ নভোযানে চড়ে ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল মহাকাশে পাড়ি জমান ইউরি গ্যাগারিন। রুশ সময় সকাল ৬টা ৭ মিনিটে মহাকাশযানটি যাত্রা করে। মানব ইতিহাসে কোনো মানুষ প্রথমবারের মতো পেরিয়ে যায় পৃথিবীর সীমা। পৃথিবীকে ঘিরে নির্দিষ্ট কক্ষপথে একবার ঘুরে এসে আবারও প্রবেশ করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। তারপর সফলভাবে নেমে আসে পৃথিবীতে।

মোটা দাগে এই হলো ইউরি গ্যাগারিনের মহাকাশযাত্রার গল্প। তবে এর মধ্যেও লুকিয়ে আছে মজার ও দারুণ সব তথ্য। যেগুলো নিয়ে কথা না বললে এই মহাকাশযাত্রার গল্প অপূর্ণ থেকে যাবে। বিশেষ করে, ইউরি গ্যাগারিন মানুষটি কে ছিলেন, কিংবা ভস্টক-১১ এর আগে কেন কোনো মহাকাশযান মানুষকে মহাকাশে নিয়ে যেতে পারেনি—তা নিয়ে কথা না বললে এই গল্পের কিছুই আসলে বলা হয় না।

তাহলে চলুন, এরকম কিছু তথ্য সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।

ইউরি গ্যাগারিনে

ইউরি গ্যাগারিনের পুরো মিশনটির মোট সময় ছিল মাত্র ১০৮ মিনিট। এখনকার হিসেবে খুব অল্প। কিন্তু ১৯৬১ সালের প্রযুক্তির কথা বললে অনেক বেশি। আসলে অভিকর্ষের বাধা উপেক্ষা করে পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো প্রযুক্তি রাশিয়ার অনেক পরে উদ্ভাবন করতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্রও। আর মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কথা তখনও চিন্তাও করতে পারেনি আর কেউ।

এই ১০৮ মিনিটের মধ্যে মূল মিশন, পৃথিবীর চারপাশ ঘিরে একবার ঘুরে আসতে সময় লেগেছিল দেড় ঘন্টারও কম। কারণ, মহাকাশযানটির বেগ ছিল প্রচণ্ড। পৃথিবীকে ঘিরে ঘোরার বেশির ভাগ সময় জুড়ে ভস্টক ১-এর বেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। এ সময় যানটি ‘প্রায় বৃত্তাকার’ একটি পথ ধরে ঘুরেছে, উঠেছে সর্বোচ্চ ৩২৭ কিলোমিটার উচ্চতায়। তারপর গতিবেগ কমে এলে এটি আবারও প্রবেশ করে পৃথিবীর সীমানায়।

আরও পড়ুন
১৯৯৩ সালে সথেবিসে’স-এ অনুষ্ঠিত এক নিলামে আইভান ইভানোবিচ নামের ডামিটি ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ ডলারে বিক্রি হয়!

পৃথিবীকে ঘিরে একপাক ঘুরে আসতে ভস্টক ১ নভোযানকে যে উচ্চতায় উঠতে হয়েছে, সে জন্য ন্যূনতম গতিবেগ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪০০ কিলোমিটার হওয়াটা ছিল বাধ্যতামূলক। এর মানে দাঁড়ায়, মহাকাশযানটিকে প্রতি সেকেন্ডে ৮ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। মহাকর্ষের বাধা ছিঁড়ে পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে গিয়ে পৃথিবীকে চক্কর খেয়ে ঘুরে আসতে হলে এরকম প্রচণ্ড বেগ থাকা আবশ্যক। কিন্তু সে সময় রাশিয়া ছাড়া আর কারও কাছে এত শক্তিশালী রকেট ছিল না।

এই মিশনের প্রস্তুতি হিসেবে এ মহাকাশযানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখা দেরকার ছিল। সে জন্য এর একটি প্রটোটাইপ, ভস্টক ৩কেএ-২ নামে একটি নভোযানে করে আইভান ইভানোভিচ নামের মানব আকৃতির একটি ডামি বা পুতুল এবং জিজদোস্কা (Zvezdochka) নামের একটি কুকুরকে লো-আর্থ অরবিট (পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ) ধরে ঘুরে আসতে পাঠানো হয়েছিল। মিশনটি সফল হওয়ার পরই রুশরা ভস্টক ১ মিশনের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করে। ১৯৯৩ সালে সথেবিসে’স-এ অনুষ্ঠিত এক নিলামে আইভান ইভানোবিচ নামের ডামিটি ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ ডলারে বিক্রি হয়!

১২ এপ্রিলের পত্রিকায় প্রথম মানুষবাহী সফল মহাকাশ অভিযানের খবর
আরও পড়ুন
১৯৫৫ সালে কারিগরি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে ওরেনবার্গের পাইলট’স স্কুলে ভর্তি হন ইউরি। সেখানে তিনি যুদ্ধবিমান চালনার ওপর প্রশিক্ষণ নেন।

ইউরি গ্যাগারিন যখন মহাকাশে যাত্রা করেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ২৭ বছর।

১৯৩৪ সালের ৯ মার্চ রাশিয়ার জাটস্কের কাছে, ক্লুসিনো নামের এক গ্রামে তাঁর জন্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অন্যান্যদের মতোই তাঁর পরিবারকেও অসম্ভব কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। জার্মান এক অফিসার তাঁদের ঘর দখল করে নিয়েছিল। ফলে প্রায় ১ বছর ৯ মাসের মতো মাটির ঘরে বসবাস করতে হয়েছিল তাঁদের। তার ওপর ১৯৪৩ সালে নাৎসিরা তাঁর দুই ভাইকে দাস হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। যুদ্ধ শেষে তাঁরা মুক্তি পেয়েছিলেন। পরে, ১৯৪৬ সালে আবারও জাটস্কে ফিরে আসে গ্যাগারিন পরিবার।

জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই ইউরি মহাকাশযাত্রার স্বপ্ন দেখতেন। তবে তাঁর ছোটবেলায় মানুষ মহাকাশযাত্রার কথা সেভাবে ভেবেছে বলে মনে হয় না। সফলদের নিয়ে এরকম কল্পকথা ছড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক। সে সময়ের অবস্থা বিবেচনা করলে মনে হয়, মহাকাশযাত্রা না হলেও বৈমানিক হওয়ার স্বপ্ন তাঁর ছিল। সেই ধারাবাহিকতায়, লুবার্টসিতে বছরখানেকের জন্য একটি ভোকেশনাল স্কুলে পড়াশোনা করে হাতে-কলমে কাজ শিখেছেন। তারপর সারাতোভের একটি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে যান। সেখানে পড়ার সময়ই শখের বশে প্রশিক্ষণ নেন বিমান চালনার।

১৯৫৫ সালে কারিগরি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে ওরেনবার্গের পাইলট’স স্কুলে ভর্তি হন ইউরি। সেখানে তিনি যুদ্ধবিমান চালনার ওপর প্রশিক্ষণ নেন। সেখানেই ভ্যালেন্টিনা গোরেচেভার সঙ্গে তাঁর পরিচয়।

১৯৫৭ সালে তাঁর জীবনে বেশ কিছু বড় ঘটনা ঘটে। প্রথমত, মিগ-১৫ বিমান চালনায় ইউরি উইং লাভ করেন। এবং ভ্যালেন্টিনার সঙ্গে সে বছরই তাঁর বিয়ে হয়।

এরপর তাঁকে নরওয়েজীয় সীমান্তের কাছে মুরমানস্ক অবলাস্টে অবস্থিত লুওস্তারি এয়ারবেইজে নিয়োগ দেওয়া হয়। বৈরি আবহাওয়ার জন্য এই এলাকায় বিমান চালানো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। নিজের কাজে দারুণ মুন্সিয়ানার পরিচয় দেন ইউরি। ফলে, ১৯৫৭ সালের ৫ নভেম্বর ইউরি গ্যাগারিন সোভিয়েত বিমান বাহিনীতে লেফটেন্যান্ট পদ লাভ করেন।

দুই বছর পর, ১৯৫৯ সালের ৬ নভেম্বর তিনি সিনিয়র লেফটেন্যান্ট পদে উন্নীত হন।

পরের বছর, ১৯৬০ সালে, আরও ১৯ জন বৈমানিকের সঙ্গে মহাকাশযাত্রার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন তিনি। এর মধ্য থেকে ইউরি গ্যাগারিন এবং ঘেরমান টিটোভকে দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত করা হয়। এর পেছনের কারণ, তাঁদের উচ্চতা। না, লম্বা নয়; বরং তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে খাটো হওয়ার ফলেই নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁরা। ইউরির উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ছোট্ট ভস্টকের ককপিটে বেশ ভালোভাবে এঁটে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি, শারীরিক ক্ষমতা ইত্যাদি মিলে শেষপর্যন্ত তিনিই প্রথম নভোচারী হিসেবে নির্বাচিত হন। তা ছাড়া, প্রথম ধাপে নির্বাচিত ২০ জনের মধ্যও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ইউরি। একটি ভোটাভুটি করা হয়েছিল যে এই ২০ জন কাকে মহাকাশযাত্রার জন্য সবচেয়ে যোগ্য মনে করেন। এর মধ্যে ১৭টি ভোটই পড়েছিল ইউরি গ্যাগারিনের পক্ষে।

১৯৬১ সালের এপ্রিলের টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ইউরি গ্যগারিন
ভস্টক ১-এ সেরকম কোনো থ্রাস্টার ছিল না। ফলে, বাঁচতে চাইলে গ্যাগারিনের একমাত্র উপায় ছিল ভূপৃষ্ঠের ৪ মাইল ওপরে থাকতেই প্যারাসুট নিয়ে ভস্টক ১ থেকে বেরিয়ে যাওয়া। গ্যাগারিন তা-ই করেছিলেন।

ভস্টক ১ ছিল মূলত একটি গোলকাকৃতির ক্যাপসুল। বর্তমানে সাধারণত যে আকৃতির নভোযান বানানো হয়, সে সব মহাকাশযানের নির্দিষ্ট চোখা মাথা থাকে। মহাকর্ষের বাঁধন ছিঁড়ে বেরোনোর জন্য এই মাথাকে অনেক বেশি চাপ সহ্য করতে হয়। গোলকাকৃতির মহাকাশযানের সুবিধা হলো, এর নির্দিষ্ট কোনো সেন্টার অব গ্র্যাভিটি বা ভারকেন্দ্র নেই। যখন যেদিকে ফিরে থাকবে, সেভাবেই সবটুকু পৃষ্ঠতলজুড়ে ছড়িয়ে যাবে মহাকর্ষের চাপ। ফলে কোনো একটি বিন্দুতে মহাকাশযানকে অনেক বেশি চাপ সহ্য করতে হবে না। সে জন্যই আসলে ভস্টক ১ প্রয়োজনীয় গতিবেগে ছুটতে পেরেছিল। আর ভেতরের একমাত্র যাত্রীটি যাত্রার পুরো সময় বেশ আরামেই ছিলেন।

অনেকে হয়তো ভাবছেন, এখন তাহলে নভোযান এভাবে ডিজাইন করা বা বানানো হয় না কেন? আসলে সব কিছুতেই একটা ‘কিন্তু’ থাকে। গোলকাকৃতির সমস্যা হলো, ফিরে এসে নামার ক্ষেত্রে এটি খুবই অনুপোযোগী।

তা ছাড়া, বর্তমান মহাকাশযানগুলোতে ফিরে এসে নামার জন্য থ্রাস্টার থাকে। যানটি ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি চলে এলে থ্রাস্টার চালু হয়ে যায়, ওপরের দিকে বল প্রয়োগ করে। ফলে নভোযানের গতি ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে এবং যানটি নিরাপদে নামতে পারে। কিন্তু ভস্টক ১-এ সেরকম কোনো থ্রাস্টার ছিল না। ফলে, বাঁচতে চাইলে গ্যাগারিনের একমাত্র উপায় ছিল ভূপৃষ্ঠের ৪ মাইল ওপরে থাকতেই প্যারাসুট নিয়ে ভস্টক ১ থেকে বেরিয়ে যাওয়া। গ্যাগারিন তা-ই করেছিলেন।

কিন্তু সে সময় ‘প্রথম মানববাহী সফল মহাকাশ অভিযান’ হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য সফলভাবে যাত্রীসহ নভোযানটির নেমে আসাটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ফলে রাশিয়ানরা তাদের অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্যটি গোপন করে গিয়েছিল। পরে যাত্রীসহ নেমে আসার এই নিয়ম শিথিল করা হলে রাশিয়া আসল সত্যটি ফাঁস করে।

আইভান ইভানোভিজ
আরও পড়ুন

ভস্টক ১ মিশনের লঞ্চপ্যাডটি এখনো রয়ে গেছে। ইউরি গ্যাগারিনের সম্মানে কাজাখস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রোমে অবস্থিত এই লঞ্চপ্যাডের নাম রাখা হয়েছে গ্যাগারিন’স স্টার্ট। এর আগে একই লঞ্চপ্যাড থেকে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক ১ উৎক্ষেপণ করা হয়।

আগেই বলেছি, এই কসমোড্রোম বা নভোযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটি কাজাখস্তানে অবস্থিত। তবে এটি পরিচালনা করত রাশিয়ার ফেডারেল স্পেস এজেন্সি (রসকসমস)। তা ছাড়া স্নায়ুযুদ্ধের সময় দেশটি রাশিয়ার অংশই ছিল। তবে এখন কাজাখস্তান স্বাধীন রাস্ট্র। রুশ সরকার এখনো এখান থেকে নভোযান উৎক্ষেপণ করে।

১৯৬৮ সালের দিকে রাশিয়ান সরকার তাঁকে আবার মহাকাশে পাঠাতে রাজি হয়। তখনও মিশনের কোনোকিছু সেভাবে নির্ধারিত হয়নি। নিয়তির নির্মম পরিহাস!
মাটিতে নামার পরে ভস্টক-১। পাশে ইউরি গ্যাগারিনের প্যারাসুট

শেষের কথা

প্রকৃতি মাঝেমধ্যে বড় নির্মম আচরণ করে। মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পরে ইউরির স্বপ্নজুড়ে ছিল ফের মহাকাশযাত্রা। কিন্তু এটাই তাঁর কাল হয়ে দাঁড়ায়। দারুণ বিখ্যাত হয়ে যাওয়ায় রাশিয়ার জন্য তিনি এত বেশি মূল্যবান হয়ে গিয়েছিলেন যে রাশিয়ানরা তাঁকে আবারও মহাকাশে পাঠানোর ঝুঁকি নিতে কোনোভাবেই রাজি ছিল না।

এ সময় ইউরি গ্যাগারিন রাশিয়ার স্টার সিটি মহাকাশচারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারি পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সেই সঙ্গে ফাইটার পাইলট হিসেবে কাজ শুরু করেন আবারও। বিমান বাহিনীতেও তাঁর পদোন্নতি হয়। ১৯৬৩ সালের ৬ নভেম্বর বিমান বাহিনীর কর্নেল পদে ভূষিত হন ইউরি।

পরে, ১৯৬৮ সালের দিকে রাশিয়ান সরকার তাঁকে আবার মহাকাশে পাঠাতে রাজি হয়। তখনও মিশনের কোনোকিছু সেভাবে নির্ধারিত হয়নি। নিয়তির নির্মম পরিহাস! একটি সাধারণ রুটিন প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ইউরি গ্যাগারিন। দিনটি ছিল ২৭শে মার্চ, ১৯৬৮।

রেড স্কয়ারের ওয়ালস অব দ্য ক্রেমলিনে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

আরও পড়ুন